মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীন রোবট থেকে শুরু করে স্যাটেলাইট জ্যামার পর্যন্ত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মহাকাশেও তার শক্তি সঞ্চয় করে চলেছে এবং প্রতিপক্ষের স্যাটেলাইট ব্যবস্থায় আঘাত করে শত্রুদের অন্ধ ও বধির করে দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। বুধবার ‘চায়না মিলিটারি পাওয়ার রিপোর্ট ২০২০’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগন।
২ শ’ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং’র নেতৃত্বাধীন চীন তার স্থল, জল এবং আকাশসীমায় শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি মহাকাশে শক্তি অর্জনে জোরদার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং সঙ্কট বা সঙ্ঘাতের সময় শত্রুদের মহাকাশ ভিত্তিক আক্রমণ প্রতিহত বা পরাস্ত করার জন্য বিভিন্ন স্থানে মহাকাশ সংক্রান্ত ক্ষমতার সম্প্রসারণ করে চলেছে। চীনের সেনাবাহিনী (পিএলএ) কাইনেটিক কিল মিসাইল, স্থল লেজার এবং মহাকাশ কক্ষপথে রোবট স্থাপন সহ একই সাথে বহু অত্যাধুনিক প্রযুক্তি অর্জন এবং বিকাশ অব্যাহত রেখেছে। সেইসাথে, মহাকাশে নজরদারির সক্ষমতা বাড়িয়েছে যা, তাদের সীমানার মধ্যের স্থানগুলি নিরীক্ষণ করতে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ২০১৮ সালের শেষদিকে নাগরিক, বাণিজ্যিক বা সামরিক তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি অপারেটদের এবং পিএলএ’র তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করার জন্য ১ শ’ ২০ টিরও বেশি উপগ্রহের সমন্বয়ে রিমোট পরিচালিত একটি নিরীক্ষণমূলক স্যাটেলাইট বহর তৈরি করে চীন।
২০১৯-২০২০ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুসারে, চীন সরকার তার মহাকাশ কর্মসূচিতে ভারতের তুলনায় ৭ গুণ বেশি ব্যয় করেছে (১.৫ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় ১১ বিলিয়ন ডলার)। অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে, চীন ভারতের তুলনায় আরও অগ্রণীভাবে সামরিক উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করছে। চীনের মহাকাশ শিল্প ঐতিহাসিকভাবে পিএলএ দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে এবং দ্রুততার সাথে এর গোয়েন্দাবৃত্তি, নজরদারি, প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তা নির্ণয় (আইএসআর), দিক নির্দেশনা ও যোগাযোগের উপগ্রহগুলির সম্প্রসারণ ঘটাচ্ছে।
পিএলএ স্ট্র্যাটেজিক সাপোর্ট ফোর্সেস-এসএসএফ’র কৌশলগত মহাকাশ অঞ্চল, সাইবার ও স্নায়ূ যুদ্ধের সক্ষমতা এবং মিশনগুলি শুধুমাত্র ভৌগলিক সীমায় আবদ্ধ নয় এবং স্বাধীনভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। পাশাপাশি, এগুলি চীনের বৈশ্বিক শক্তি প্রদর্শনের কর্মসূচিগুলির সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে। দিক নির্দেশিত-পারমানবিক অস্ত্র এবং উপগ্রহ জ্যামারগুলির উন্নয়ণ সাধনের পাশাপাশি চীনের একটি স্থলভিত্তিক অ্যান্টি-স্যাটেলাইট (অ্যাস্যাট) ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যা ভারতের সংগ্রহেও একটি রয়েছে এবং গত বছর প্রদর্শিত হয়েছিল। এটি মহাকাশের নিম্ন উচ্চতার কক্ষপথে যে কোনো উপগ্রহকে ধ্বস করে দিতে পারে।
চীন এই লক্ষ্যে আরো অ্যাসাট সংগ্রহ করছে বলে আশঙ্কা করছে পেন্টাগন। পেন্টাগন বলেছে, যদিও পিআরসি (চীন) ২০০৭ সালে আস্যাট সংক্রান্ত কোনও নতুন কার্যক্রমের অস্তিত্বের প্রকাশ্য স্বীকৃতি দেয়নি, তবে, পিএলএ’র প্রতিরক্ষাবিদরা প্রায়শই হুমকিমূলক কাউন্টারস্পেস প্রযুক্তির খবর প্রকাশ করেন। তারা শত্রুদের শক্তি নিরীক্ষার পাশাপাশি, তাদের যোগাযোগ উপগ্রহগুলিকে ধ্বংস, হস্তক্ষেপ এবং ক্ষতি সাধনের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। সেইসাথে তারা শত্রুর নজরদারিকে ‘অন্ধ ও বধির করে দেয়া’র অন্যতম উপায় হিসেবে তাদের নেভিগেশন এবং প্রাথমিক সতর্কীকরণ উপগ্রহে সুপরিকল্পিতভাবে আক্রমণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সূত্র : ইন্ডিয়া টাইম্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।