পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
করোনার কারণে স্থবির দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি কয়েক ধাপে বাড়িয়ে তা এবার ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে তাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অক্টোবর মাসে আদৌ খোলা সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে শিক্ষাব্যবস্থা স্বাভাবিক করা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।
সার্বিক করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ ক্লাসরুমের তালা আদৌ খোলা সম্ভবপর হবে কিনা বা ক্লাসরুমের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে কিনা তা করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না। সুতরাং, শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতির উদ্ভাবন ও তার প্রচলন এখন সময়ের দাবি। আমরা যদি তা করতে না পারি তাহলে আরও পিছিয়ে পড়বো।
করোনাকালীন ও করোনা পরবর্তী শিক্ষা ব্যবস্থার করণীয় নির্ধারণে সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক ভার্চুয়াল সভার আয়োজন করে, যেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে এইচএসসি পরীক্ষা এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণের বিষয়ে বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতি কী হতে পারে সে বিষয়ে একটি প্রস্তাব তৈরি করতে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে। এদিকে ক্লাসে ফেরা সম্ভব না হলে কেউ কেউ অটো পাশের কথাও ভাবছেন।
ইতোমধ্যেই করোনার রোষানলে পড়ে চলতি বছরের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট জেএসসি ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট জেডিসি পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষা সমাপনী পিএসসি পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবে খুলবে তা বলা মুশকিল। তবে করোনার ভয়াবহতা সহসা যে দেশ থেকে যাচ্ছে না, তা বলাই যায়।
প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা না হলেও শিক্ষার্থীদের ক্লাস মূল্যায়নের মাধ্যমে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করা হবে বলে সরকারি ঘোষণায় জানা গেছে। তবে দ্রæত স্কুল খোলা সম্ভব হলে পঞ্চম শ্রেণি ছাড়া অন্যান্য ক্লাসেরও পরীক্ষা নেওয়া হবে।
করোনা পরিস্থিতিতে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী পরীক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে না নেওয়ার সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থী-অভিভাবক সকলেই নিরাপদ বোধ করছেন। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। অনেকদিন থেকেই প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা বাতিল করার দাবি জানিয়ে আসছেন অভিভাবকসহ শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। অনেকেই মনে করেন, এধরনের পরীক্ষা বাতিল হওয়া উচিত। গবেষণায় দেখা গেছে, এই পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের কোনো কাজে আসছে না। শিশুদের প্রতিভা বিকাশের জন্য প্রয়োজন সম্পূর্ণ আনন্দদায়ক পরিবেশ তৈরি করে শিক্ষাদান করা। কোনরকম ভয়-ভীতি যেন তাদেরকে স্পর্শ করতে না পারে তা নিশ্চিত করা আবশ্যক। পরীক্ষা ভীতি থেকে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মুক্ত রাখা গুরুত্বপূর্ণ এবং বাঞ্চনীয়।
আমরা যারা বড় হয়েছি, আমরা তো কখনো এত পরীক্ষার সম্মুখীন হইনি। শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসবে শেখার জন্য, পরীক্ষা মোকাবেলা করার জন্য নয়। পরীক্ষা যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার জন্য নয়। এই সত্য কথাটা আমরা বড় হয়ে ভুলে গেছি। নিদারুণভাবে চাপিয়ে দিয়েছি অবুঝ শিশুদের মাথায় বস্তাভরা বই এবং ভীতিকর পরীক্ষার বোঝা। আমাদের উপলব্ধি করা উচিৎ, যে বোঝার চাপে বয়স্কদের কোমর ভাঙ্গে এবং শিশুদের ভাঙ্গে মাথা। কিন্তু একই সঙ্গে বই ও পরীক্ষার চাপে শিশু শিক্ষার্থীদের একসাথে মাথা ও কোমর দুটোই ভাঙ্গে। অথচ আদরে-সোহাগে, মমতায় ভয়-ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারলে একদিন এই কোমলমতি শিশুরাই একেকটি মহীরুহে পরিণত হতে পারে। তাই কোমলপ্রাণ শিশু শিক্ষার্থীদের বেলায় পরীক্ষাভীতি কাম্য নয়।
পিএসসি পরীক্ষার মতো জেএসসি পরীক্ষাও শিক্ষার্থীদের মানবিক বিকাশে কোন কাজে লাগবে তা গবেষণার দাবি রাখে। শিক্ষার্থীদের চাপের মধ্যে ফেলে তাদের প্রতিভাকে নষ্ট করা যাবে না। যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা যাবে না। শিক্ষার্থীদের প্রতি একান্তভাবে সহানুভূতিশীল হতে হবে এবং পরীক্ষাভীতি থেকে মুক্তি দিতে হবে। সেজন্য পিএসসির মতো জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষাও বাতিল করা আবশ্যক। বিষয়টি সরকার গুরুত্বসহকারে ভেবে দেখা হবে বলেই দেশের সচেতন অভিভাবক ও শিক্ষাবিদরা মনে করেন।
করোনাকালে অনলাইন শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে জাতির সামনে আবির্ভূত হলেও তা নিয়ে দেখা দিয়েছে ভিন্ন শঙ্কা। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, অনলাইনে শিক্ষা গ্রহণ করার ফলে ঘরে বসে ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা গ্রহণ করতে গিয়ে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীর দৃষ্টি শক্তির উপরে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। দীর্ঘক্ষণ শিক্ষার্থীরা টিভি স্ক্রিন, ল্যাপটপের মনিটর অথবা মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে চোখ রাখার কারণে অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে শিশুদের দৃষ্টিশক্তির উপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, যা দেশের আগামী প্রজন্মের স্বাস্থ্য ঝুঁকিকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ ভাগ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন কারণে এখনও অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে সম্পৃক্ত করা যায়নি। বিদ্যুৎ বিভ্রাট, দারিদ্র্য, ইন্টারনেটের চড়াদাম, শিক্ষার্থীদের অ্যান্ড্রয়েড ফোন না থাকা, নেটের গতিহীনতা এর জন্য বহুলাংশে দায়ী। এসব সমস্যা সমাধানে সরকারি উদ্যোগ অপ্রতুল। দেশের সকল শিক্ষার্থীকে অনলাইন শিক্ষায় সম্পৃক্ত করা না গেলে শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্য তৈরি হবে, যা জাতি হিসেবে মোটেই কাম্য নয়।
বেসরকারি পর্যায়ের শিক্ষা যেমন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি মেডিকেল কলেজে নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও সরকারি প্রতিষ্ঠানে সীমিত আকারে ক্লাশ হলেও পরীক্ষা নেয়া সম্ভবপর হচ্ছে না। কবে বা কী পদ্ধতিতে তা নেয়া হবে তা এখনো পরিষ্কার নয়। এতে করে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বিরাট বৈষম্য তৈরি হচ্ছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে সেশন জট তৈরি হবার সমূহ আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। শিক্ষাবর্ষ নির্ধারিত সময়ে শেষ করা এখন অনেকটা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজসমূহে নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়া হলেও সরকারি মেডিকেলে এ সংক্রান্ত উদ্যোগ একেবারেই অনুপস্থিত। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সীমিত পরিসরে বিভিন্ন প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে অনলাইনে ক্লাস গ্রহণ প্রক্রিয়া চালু থাকলেও কবে এবং কীভাবে পরীক্ষা গ্রহণ করা যাবে সে সংক্রান্ত সুস্পষ্ট কোনো নির্দেশনা না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দিয়েচ্ছে না ইউজিসি বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সার্বিক বিচারে শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে ব্যাপক বৈষম্য তৈরি হয়েছে। এই বৈষম্য দূরীকরণে ইতোমধ্যেই সার্বজনীনভাবে করোনাকালীন বা করোনা পরবর্তী দেশের শিক্ষাব্যবস্থা কীভাবে চালু রাখা যায় বা বিকল্প শিক্ষার্থী মূল্যায়ন পদ্ধতি কীভাবে সার্বজনীন করা যায় সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা ইতোমধ্যেই ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন। যত দ্রæত সরকারি পর্যায়ে বিশেষজ্ঞ মতামতের ভিত্তিতে একটি সমন্বিত অনলাইনভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা এবং শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পদ্ধতি নির্ধারণ করা যাবে তত দ্রæত শিক্ষা ক্ষেত্রের বর্তমান অচলাবস্থা দূর করা সম্ভবপর হবে। জোড়াতালি দিয়ে বা যেনতেন প্রকারে সার্টিফিকেট প্রদান বা উচ্চ শিক্ষায় ক্লাস ও পরীক্ষা গ্রহণ কোনোভাবেই শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করবে না। বরং শিক্ষা ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি সঙ্কট তৈরি করবে, যা জাতি গঠনে নেতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। মূলত করোনাকালে আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। শহরকেন্দ্রিক অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকটাই সফল বা দৃশ্যমান। কিন্তু গ্রাম অঞ্চলে যে সমস্ত শিক্ষার্থী বসবাস করে তাদের জন্য বিদ্যুৎ সমস্যা বা অনলাইনের ধীরগতি এই প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে। এছাড়া বর্তমান বাজেটে অনলাইনের খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষ বা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের পক্ষে টাকা খরচ করে এমবি ক্রয় করে এ ধরনের ক্লাসে অংশগ্রহণ করা অনেক সময় সম্ভবপর হয়ে উঠছে না। এক্ষেত্রে সরকারি সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পড়েছে ভিন্ন সঙ্কটে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী গ্রামের গরিব ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। তাদের অনেকের নেই অ্যান্ড্রয়েড ফোন। অ্যান্ড্রয়েড ফোন না থাকার কারণে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকদের পক্ষে ছাত্রদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা সম্ভবপর হচ্ছে না। অনেকের বাড়িতে আবার টেলিভিশন না থাকার কারণে করোনাকালে অন্যের বাড়িতে যে ক্লাস করবে বা পাঠদানে অংশগ্রহণ করবে সেটাও হয়ে উঠছে না। এমন বহুবিধ সমস্যার মধ্যে দেশের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থায় এক বড় ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এই অচলাবস্থা নিরসনে সম্মিলিতভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে কাজ করতে হবে। করোনাকালীন ও করোনা পরবর্তী শিক্ষা পলিসি নির্ধারণ করতে হবে। এই সঙ্কট উত্তরণে শিক্ষাব্যবস্থায় প্রযুক্তির ব্যবহারকে সহজলভ্য করে শিক্ষার্থী মূল্যায়নের বিকল্প পদ্ধতি নির্ধারণে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। তা করা না গেলে শিক্ষাব্যবস্থার অধঃপতনকে কোনোভাবেই রোধ করা যাবে না।
করোনাকাল যদি দীর্ঘায়িত হয় তাহলে কী উপায়ে তা মোকাবেলা করে শিক্ষাকে সচল রাখা যাবে তা নিয়ে কালবিলম্ব না করে অক্টোবর মাসের মধ্যেই বিকল্প কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি, শহর-গ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত সুবিধা-অসুবিধা বিচার বিবেচনা ও চুলচেরা বিশ্লেষণ করে তা করতে হবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান করোনাকালে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারলে সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ কেন পারছে না তা খতিয়ে দেখে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করে শিক্ষা ক্ষেত্রের চলমান সঙ্কট দূরীকরণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার দুটো বিকল্প পদ্ধতি নিয়ে কাজ করতে পারে।
১. যদি করোনাকাল দীর্ঘায়িত হয় তাহলে শিক্ষা কার্যক্রম অর্থাৎ ক্লাস, পরীক্ষা ও বিকল্প শিক্ষার্থী মূল্যায়ন পদ্ধতি কেমন হবে তা নির্ধারণ করে অগ্রসর হতে পারে।
২. আর যদি নভেম্বরে ক্যাম্পাস ভিত্তিকক্লাস ও পরীক্ষা ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়া সম্ভবপর হয় (যদিও সে সম্ভাবনা খুবই কম) তাহলে সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে অল্প সংখ্যক কোর্সের পরীক্ষা নিয়ে কীভাবে চলতি শিক্ষাবর্ষ সমাপ্ত করা যায় সরকার সে পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে পারে।
তবে যেটাই করা হোক না কেন তা করতে হবে দ্রæত সময়ের মধ্যে।
লেখক: প্রফেসর, আইবিএ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।