Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভোলার লালমোহনে প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষার নতুন ফলাফলে বাদ পড়েছে পূর্বের ১২৪ জন শিক্ষার্থী।

ভোলা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০২৩, ৩:৫৯ পিএম

ভোলার লালমোহনে প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষার নতুন ফলাফলে পূর্বের ১২৪ জন শিক্ষার্থী বাদ পড়েছে। টেলেন্টপুলে বাদ পড়েছে ২৫ জন ও সাধারণ বৃত্তি কোঠায় বাদ পড়েছে ৯৯ জন। নতুন যোগ হয়েছে ১২৭ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ২৫ জন ট্যালেন্টপুল ও ১০২জন সাধারণ কোঠায়।
জানা গেছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ভুল ফল প্রকাশ হলে এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। ওই তালিকায় ৭০ জন ট্যালেন্টপুল থাকলেও বুধবার রাতে সংশোধিত ফলাফলে ২৫ জন বাদ পড়েছে এবং নতুন ২৫ জন যোগ হয়েছে। একইভাবে সাধারণ কোঠায় পূর্বের ১২৪ জনের মধ্যে ৯৯ জন বাদ পড়েছে। সাধারণে যোগ হয়েছে নতুন ১০২ জন। ট্যালেন্টপুলে ৭০ জনের সংখ্যা ঠিক থাকলেও সাধারণে ১২৪ থেকে ১২৭ জন বৃত্তিপ্রাপ্ত হয়েছে।
লালমোহন ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের খাদিজা খানম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থেকে ৩জন বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয় বলে জানান প্রধান শিক্ষক তাসলিমা। প্রথম প্রকাশিত ফলাফলে তাদের ২জনের সাধারণ কোঠায় বৃত্তি আসে। এরা হলেন ৩৮৮ রোলধারী মো. ছাবিত ও ৩৮৯ রোলধারী ওয়ালি হাসান রুহান। তাদের বৃত্তি প্রাপ্তির খবরে পরিবারে ও স্কুলে খুশির বন্যা বইলেও একদিন পরের ফলাফলে তা ম্লান হয়ে যায়। সংশোধিত ফলাফলে তাদের বৃত্তি আসেনি। একইভাবে চরভূতা ইউনিয়নের কুড়ালিয়া কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম তালিকায় সাধারণ কোঠায় বৃত্তি পায় ৪০৬ রোলধারী মুনিয়া ও ৪০৭ রোলধারী তামান্না। এসব শিক্ষার্থীরা বৃত্তি প্রাপ্তির খবরে উল্লসিত হলেও সংশোধিত ফলাফলে তাদের আর বৃত্তি আসেনি। কালমা ইউনিয়নের লেজ ছকিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৩৪ রোলধারী সালমান নামের শিক্ষার্থী ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেলেও সংশোধিত তালিকায় ওই শিক্ষার্থীর নামও আসেনি।
এব্যাপারে কুড়ালিয়া কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মন্টু লাল নন্দী ও উত্তর-পূর্ব হরিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াহিয়া খান জানান, ২৮ ফেব্রুয়ারি বৃত্তির ফল প্রকাশ হলে যারা বৃত্তি পেয়েছে তাদের পরিবারে আনন্দে মিষ্টি বিতরণ হয়েছে। কিন্তু এখন বৃত্তি না পেয়ে তারা হতাশ।
লালমোহন মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও লালমোহন হা-মীম রেসি: একাডেমির কয়েকজন অভিভাবক জানান, এবারের হযবরল ফলাফল শিক্ষক, অভিবাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে অনেক হতাশা সৃস্টি করেছে। উপরোক্ত দুই প্রতিষ্ঠান পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যালয় হওয়ায় বৃত্তি পাওয়ার উপযোগি শিক্ষার্থী থাকলেও প্রথম তালিকায় বৃত্তিই আসেনি। এতে অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ সৃস্টি হয়। সংশোধিত তালিকায় অবশ্য আশানুরুপ ফলাফল আসে। তবে এরকম কর্মকান্ডে কোমলমতি শিশুদের মনে প্রভাব পড়ে বলে জানান অভিভাবকরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিক্ষার্থী

১০ নভেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ