গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর মোহাম্মাদপুর লালমাটিয়ায় ঢাকা শিশু ও নবজাতক জেনারেল হাসপাতালের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে রিমা (২৬) নামের এক নারী ‘আত্মহত্যা’র চেষ্টা।
মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে এই ঘটনা টি ঘটে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত রিমার দেবর সবুজ জানান, তার ছেলে তাসিনের পাইলসের জটিল সমস্যা রয়েছে। ৮/১০দিন আগে দ্বিতীয় দফায় তাকে লালমাটিয়া ঢাকা শিশু ও নবজাতক জেনারেল হাসপাতালের ৭০৮ কেবিন ভর্তি করা হয়। ৩/৪ দিন আগে তার পাইলসের অপারেশন করা হয়। এরপর থেকে সে ওই হাসপাতালের এনআইসিইউ’তে ভর্তি আছে।
তিনি আরো জানান, ‘চিকিৎসকরা জানিয়েছে তাসিনের অবস্থা তেমন ভালো না। এই খবর জানার পরে রিমা সন্ধ্যার দিকে স্বজনদের বলে আমি বাইরে থেকে একটু আসছি । এর কিছুক্ষণ পরেই শোনা যায় যে, সে ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েছে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। সে ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েছে নাকি এমনিতেই পড়ে গেছে তা বলতে পারছি না। তবে সন্তানের শারীরিক অবস্থা নিয়ে তিনি হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ফেনী সদর উপজেলার আলোকদিয়া ভূইয়াবাড়ি এলাকায়। বাবার নাম হাশেম মিয়া। স্বামীর নাম মো. ডালিম। তার একমাত্র ছেলে তাসিন (৩)।
হাসপাতালেরর ম্যানেজার মো. আমিনুর রহমান জানান , ‘হাসপাতালটি আটতলা। হাসপাতালের ছাদে নামাজের জায়গা রয়েছে। আর চারপাশে বুক সমান বাউন্ডারি দেওয়া। ছাদ থেকে এমনিতেই পড়ে যাওয়ার মত উপায় নেই। আমাদের মনে হচ্ছে, সে লাফিয়ে নিচে পড়তে পারে। ভবনের পাশের একটি একতলার ছাদের উপর থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ বক্সের ইনচার্জ (পরিদশর্ক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ওই নারীর অবস্থা শঙ্কটাপন্ন। তাকে ভর্তি রাখা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।