Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলাঃ ওসি প্রদীপ টানা ১৫ দিনের রিমান্ডেও মুখ খুলেনি

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৫:৩৪ পিএম

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফের বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ১৫দিনের রিমান্ডেও মুখ খুলেনি। তাই ১৫ দিনের বেশি রিমান্ড আবেদনের সুযোগ না থাকায় তাকে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার (১সেপ্টম্বর) বেলা ৪টার দিকে র‌্যাবের একটি দল তাকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (টেকনাফ-৩) আদালতে হস্তান্তর করেছেন। এর আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রদীপকে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খায়রুল ইসলাম সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ১৫ দিনের রিমান্ডেও বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ স্বীকারোক্তি দেয়নি। ১৫ দিনের পর আর রিমান্ড চাওয়ার আইনগত সুযোগ নেই। তাই নিয়ম মতে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

গত শুক্রবার (২৮ আগস্ট) একই আদালত প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক (বরখাস্ত) লিয়াকত আলী, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতের তৃতীয় দফায় ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। তবে লিয়াকত ও নন্দদুলাল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

কিন্তু ওসি প্রদীপ স্বীকারোক্তি না দেয়ায় তাকে সোমবার ৪র্থবারের মতো একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। চতুর্থ দফায়ও স্বীকারোক্তি দেয়নি প্রদীপ কুমার দাশ।

অন্যদিকে অন্যদিকে এই মামলায় গ্রেফতার এপিবিএন এর তিন সদস্যও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। কিন্তু স্বীকারোক্তি না দেয়ায় পুলিশের মামলার সাক্ষী তিনজনকে আজ মঙ্গলবার চতুর্থ দফায় আরো তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর মেরিনড্রাইভের তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

তিনি মারিশবনিয়ার একটি পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ির নীলিমা রিসোর্টে ফিরছিলেন। এ সময় তার সাথে থাকা ক্যামেরাম্যান সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে আটক করে পুলিশ। পরে নীলিমা রিসোর্ট থেকে শিপ্রা দেবনাথকে আটক করা হয়। দুজনই এখন জামিনে মুক্ত।
মেজর (অব.) সিনহা খুনের ঘটনায় গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মো. রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে ৯ জনকে আসামি করা হয়।
এরপর সাত অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন এপিবিএন সদস্য এবং পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীকে গ্রেফতার করে মামলার তদন্ত সংস্থা র‌্যাব।



 

Show all comments
  • a aman ১ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৬:৪৩ পিএম says : 0
    POLICE officers may apply lethal force to save their own life or stop a crime. But the issue is In western world and Europe if any Officer fire a shot toward anyone or terminate a threat , not matter good or bad reason the Officer will be immediately taken out of front line duty and Independent police complaint commission will investigate each shooting incident. If they find the officer was wrong he will be prosecuted. They will also monitor officers personal health and well being. Also if anything to learn from this they will recommend . They will check everything before the officer allowed back into front line duty again. In Bangladesh there is nothing like this . That is the reason same officer kept on Killing people in the name of cross fire.
    Total Reply(0) Reply
  • Shahin Alam Mridha ১ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৭:৩১ পিএম says : 0
    গভীর জলের মাছ,
    Total Reply(0) Reply
  • Md Rejaul Karim ১ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৭:৫৪ পিএম says : 0
    মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাসেদ হত্যাকাণ্ড ১৫ দিন রিমান্ডে ও ওসি প্রদ্বীপ খুলেনি ??? তাহলে প্রদ্বীপ জ্বালিয়ে ছাড়লো ।।।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Kowaj Ali khan ১১ নভেম্বর, ২০২০, ৩:০৩ এএম says : 0
    ওসি প্রদিপকে জুতা দিয়া বাইরাইয়ামূখ খোলা হোক এবং ................ এবং ওদের ফাঁসি অতি সত্বর কারয্যকর করা হোক। ইনশাআল্লাহ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মেজর সিনহা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ