Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

এবার সমুদ্রে মুখোমুখি চীন-ভারত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০২০, ৪:৫৮ পিএম

লাদাখের পরে এবার দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের যুদ্ধ জাহাজ নিয়ে নতুন করে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ভারতকে ওই জাহাজ সরাতে বলেছে চীন। তবে, ভারত তাতে রাজি হয়নি। সম্প্রতি ভারত-চীন কূটনৈতিক বৈঠকে এ বিষয়ে নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়েছে চীন। তবে ভারতীয় সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখান থেকে যুদ্ধ জাহাজ সরানোর কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই।

ভারতের সরকারি সূত্রে খবর, গালওয়ান সংঘর্ষের পরেই দক্ষিণ চীন সাগরে একটি যুদ্ধজাহাজ পাঠায় ভারত। ওই সাগরের অধিকাংশ অংশই নিজেদের বলে দাবি করে বেইজিং। সেখানে অন্য দেশের যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি নিয়েও আপত্তি রয়েছে তাদের। কিন্তু মার্কিন নৌসেনা সেখানে বেশ কয়েকটি জাহাজ মোতায়েন রেখেছে। ভারতীয় যুদ্ধজাহাজটি মার্কিন নৌসেনার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল। কূটনৈতিক স্তরে ওই জাহাজের উপস্থিতি নিয়ে আপত্তি জানায় চীন। আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে মালাক্কা প্রণালী ও যে পথ দিয়ে চীনা যুদ্ধ জাহাজ ভারত মহাসাগরে ঢোকে সেখানেও যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছিল ভারত। ভারতের নৌসেনা সূত্রের দাবি, মালাক্কা প্রণালীতে চীনা নৌসেনার উপরে নজরদারির জন্য শীঘ্রই স্বয়ংক্রিয় ডুবোজাহাজ এবং বেশ কিছু সেন্সর মোতায়েন করবে দিল্লি।

গত মে মাস থেকে লাদাখ সীমান্তে ভারত-চীন সংঘাত শুরু হয়। জুনে তা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছয়। গালওয়ানে সংঘর্ষে বহু ভারতীয় সেনার প্রাণ যায়। তার পরেই সম্প্রতি দক্ষিণ সাগরে ভারতীয় নৌ সেনার প্রথম সারির যুদ্ধ জাহাজ মোতায়েন করে ভারত। বস্তুত, ২০০৯ সাল থেকেই দক্ষিণ চীন সাগর অঞ্চলে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করেছে ভারত। পেট্রলিং বাড়িয়েছে। তবে গালওয়ান সংঘর্ষের পর খানিকটা আক্রমণাত্মক ভাবেই চীন সাগরে যুদ্ধ জাহাজ নিয়ে পৌঁছে যায় ভারতীয় নৌ সেনা। যদিও এ বিষয়ে নৌ সেনা বা সরকারের তরফে কোনও বিবৃতি দেয়া হয়নি। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য অনুযায়ী, খানিকটা চুপিসারেই ওই অঞ্চলে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করে ভারত।

গালওয়ান সংঘাতের পরে ভারত এবং চীনের মধ্যে একাধিক বৈঠক হয়েছে এবং হচ্ছে। সরকারি স্তরে, কূটনৈতিক স্তরে এবং সেনা স্তরে বৈঠক হয়েছে। সাম্প্রতিকতম কূটনৈতিক বৈঠকে চীন জানিয়েছে, ‘সমুদ্রে ভারত যে ভাবে যুদ্ধ জাহাজ পাঠিয়ে রেখেছে, তা তাদের পক্ষে মানা সম্ভব নয়। ভারতকে দ্রুত ওই জাহাজ সরাতে হবে।’ ভারত অবশ্য যুদ্ধ জাহাজ সরানোর বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। বস্তুত, শুধু ভারত নয়, দক্ষিণ চীন সাগরে গত কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপান তাদের শক্তি বৃদ্ধি করেছে। সূত্র জানিয়েছে, ভারতীয় যুদ্ধ জাহাজ লাগাতার মার্কিন যুদ্ধ জাহাজের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে। মহড়াও হচ্ছে। শুধু দক্ষিণ চীন সাগরই নয়, মালাক্কা প্রণালীতেও ভারতীয় নৌ সেনা পর্যাপ্ত যুদ্ধ জাহাজ মজুত রেখেছে। মালাক্কা প্রণালী ভারত মহাসাগর এবং আন্দামান সাগরের যোগসূত্র। বস্তুত, এই অঞ্চলে চীনের নৌ সেনা কোনও রকম কার্যকলাপ চালাচ্ছে কি না, তার দিকে নজর রাখা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের অনেকেরই বক্তব্য, লাদাখ সংঘাত দ্রুত কাটার কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। দুই পক্ষই অনড় মনোভাব দেখাচ্ছে। গত ২৯ আগস্ট রাতে প্যাংগং অঞ্চলে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ফলে এই পরিস্থিতিতে স্থল সীমান্তে তো বটেই, সমুদ্রেও দুই পক্ষ সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে। প্রস্তুতি যত বাড়ছে, বিতর্কও তত তীব্র হচ্ছে। সূত্র: ডয়চে ভেলে।



 

Show all comments
  • Md Shajan Chowdary ৩১ আগস্ট, ২০২০, ৫:৫৯ পিএম says : 0
    ভাই মিসাইল ছুডে দেন ইন্ডিয়ার দিকে.. বাংলাদেশের পক্ষ থেকে.... শুভকামনা চায়নার জন্য....
    Total Reply(0) Reply
  • S M Iqbal Hossain ৩১ আগস্ট, ২০২০, ৬:০০ পিএম says : 0
    শুরু করা হোক
    Total Reply(0) Reply
  • Shah Masud Ahmed ৩১ আগস্ট, ২০২০, ৬:০০ পিএম says : 0
    Well-being for Chaina...
    Total Reply(0) Reply
  • Emdad ৩১ আগস্ট, ২০২০, ৬:৩২ পিএম says : 0
    Bai India ar chin juddo suru hoy na keno?
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Ali ১ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১০:০৮ এএম says : 0
    দ্রুত চায়নার সাথে সংঘর্ষ শুরু হোক এই কামনা করি। কারণ ভারত বাংলাদেশের মানুষকে বর্ডারে পাখির মত গুলি করে মারছে। তারা নাকি আবার আমাদের বন্ধু? ভারত আওয়ামীলীগের বন্ধু ঠিক, কিন্তু বাংলাদেশের জনগণের বন্ধু না।
    Total Reply(0) Reply
  • সাগর ১ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৭:১০ পিএম says : 0
    ৭১সালথেকে আমাদেরকে শোষণ করতেছে, মেজর জলিল বাঁধা দিয়েছিলেন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ