মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
লাদাখ সীমান্ত নিয়ে চীনের সঙ্গে ভারতের বিরোধ নিরসনে উভয় পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ আলোচনার কথা বলা হলেও এখনো পর্যন্ত পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি। দু’দেশই পাল্লা দিয়ে সীমান্তে সেনা মোতায়েন বাড়িয়ে চলেছে। লাদাখ সীমান্তে ক্রমশই গতিবিধি বাড়ছে চীনা হেলিকপ্টারের। এই পরিস্থিতিতে সেখানে পাল্টা এয়ার ডিফেন্স মিসাইলসহ শক্তিশালী সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে ভারত। গুরুত্বপূর্ণ লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল এলাকায় কাঁধে রাখার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম তাক করে চীনকে কোণঠাসা করার পরিকল্পনা করেছে ভারত। রাশিয়ান প্রযুক্তিতে তৈরি ইগলা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দিয়ে ভারতীয় বাহিনীকে সজ্জিত করা হয়েছে। চীনকে মুখের ওপর জবাব দিতে ভারত সীমান্তে প্রস্তত রেখেছে সুখোই ৩০ এমকেআই, মিগ ২৯ ও মিরাজ ২০০০। ভারতের এএনআই’র সূত্রে বলা হয়েছে, ‘লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার গুরুত্বপূর্ণ কিছু জায়গায় রাশিয়ায় তৈরি ইগলা এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেমসহ সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। ভারতের আকাশসীমায় কোনও চীনা বিমান ঢুকে পড়লে তাকে প্রতিহত করবে এই মিসাইল।’ সাধারণত যুদ্ধক্ষেত্রে বা প্রতিক‚ল পরিস্থিতিতে শত্রুপক্ষের ফাইটার জেট বা হেলিকপ্টারকে আটকাতে বা ধ্বংস করতেই এই মিসাইল ব্যবহার করা হয়।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই লাদাখের বিভিন্ন জায়গায় রেডার বসিয়ে আকাশপথে চীনা জেট বা হেলিকপ্টারের গতিবিধি চিহ্নিত করতে এবং হামলা রুখতে নজরদারি বাড়ানো এবং ভ‚মি থেকে আকাশে ভ‚মি থেকে বাতাসে নিক্ষেপযোগ্য মিসাইল মোতায়েন করেছে ভারত। গালওয়ান, প্যাট্রলিং পয়েন্ট ১৪-এর মতো যে এলাকাগুলিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে চীনা সেনাদের সংঘাত বেঁধেছে, গত কয়েকদিন ধরেই বেশ কয়েকটি চীনা হেলিকপ্টার সেই এলাকাগুলিতে ভারতীয় আকাশসীমার মধ্যে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। পূর্ব লাদাখে আকাশপথে চিনা আগ্রাসন রুখতে ইতিমধ্যেই মে’র শুরু থেকে সুখোই-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমানকে মোতায়েন করে ভারত। এছাড়াও একাধিক উন্নত ট্যাঙ্ক বিমানও মোতায়েন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি চিনের জিনজিয়াং প্রদেশ এবং তিব্বত অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা হোটান, গার গুনসা, কাশঘর, হপিং, ঢোনকা ডিজং, লিনঝি এবং পানঘাট বিমানঘাঁটিগুলির উপরেও নজরদারি চালাচ্ছে ভারত। কারণ সীমান্তে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উত্তপ্ত হওয়ার পর থেকেই এই ঘাঁটিগুলিতে তৎপরতা বাড়িয়েছে চীন। সূত্র: টাইম্স অফ ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।