পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) সভাপতি ও জম্মু এ কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ, তিনি ছয়টি রাজনৈতিক দলের একটি জোট গঠনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সোমবার বলেছেন যে ‘গোপকার ঘোষণা’র আলোকে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে এসব দল শিগগিরই লাদাখ ও জম্মুতে প্রচারকাজ শুরু করবে। শ্রীনগর থেকে নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্য ড. আবদুল্লাহ এক বিশেষ সাক্ষাতকারে দি হিন্দুকে বলেন, সা¤প্রতিক যৌথ বিবৃতি আসলে গত বছরের ৪ আগস্ট আমরা যা বলেছিলাম, তারই পুনরাবৃত্তি। আমরা আশা করব, মেহবুবা মুফতি শিগগির মুক্তি পাবেন, আমরা কেবল কাশ্মীরের জন্যই নয়, জম্মু, লেহ ও কার্গিলের মানুষদেরও এই আন্দোলনে নিয়ে আসব। এটা আমাদের অধিকারের জন্য লড়াই। গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে কয়েক মাস ধরে বন্দী থাকা আবদুল্লাহ বলেন, এখন কোনো এক দল বা একজন ফারুক আবদুল্লাহর একতরফা সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য হবে না। আমাদের লক্ষ্য হলো এই রাজ্যের মর্যাদা ও জনগণের সম্মান পুনরুদ্ধার। এটা ক্ষমতার জন্য লড়াই নয়। ভবিষ্যতে এটির নির্বাচনী জোটে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনাও নাকচ করে দেননি তিনি। প্রবীণ এই নেতা বলেন, আমরা একসাথে বসে চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব। তিনি তার বন্দী জীবনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, তার সাথে অপরাধীর মতো আচরণ করা হয়েছে। ড. আবদুল্লাহ বলেন, আমাকে চোর বলা হয়েছে, কঠোর আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। যেন আমি সন্ত্রাসী। আমি একজন এমপি, অথচ ফোনও দেয়া হয়নি। মনে হয়েছে, সন্ত্রাসী হলে বোধহয় বেশি সুবিধা পেতাম। তিনি বলেন, বন্দী সময়ে দরজায় তার মেয়েকে পড়ে যেতে দেখাটা ছিল তার জীবনের সবচেয়ে দ্বিতীয় সবচেয়ে কঠিন মুহ‚র্ত। তিনি বলেন, তার চিকিৎসার জন্য আমাদেরকে কয়েক দিন ডাক্তারের কাছে যেতে হয়েছিল। তা ছিল সবচেয়ে মর্মান্তিক ঘটনা। আমাকে সব কিছু বহন করতে হতো। কোরআনের কারণেই আমি বেঁচে আচি। আমি প্রতি দিন কোরআন তেলায়াত করি। ড. আবদুল্লাহ জম্মু ও কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতার নতুন অধ্যায়ের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, তার পর্যায় থেকেই সব সিদ্ধান্ত হয়। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের ঘোষণা দেয়ার জন্য তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়া আর কাউকে বেছে নেননি। যেন দেখাতে পারেন তিনি এর ঊর্ধ্বে। দি হিন্দু, এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।