মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বন্ধু রাষ্ট্র পাকিস্তানকে এবার নিজেদের তৈরি অত্যাধুনিক টাইপ-২০৪ ক্লাস ফ্রিগেটের চারটি যুদ্ধ জাহাজ দিচ্ছে চীন। পাকিস্তানের নৌ বাহিনীর ক্ষমতা অনেক বেড়ে যাবে।
পাকিস্তানের জন্য চীনের এত আয়োজন মূলত চীর প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে ঠেকাতে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকরা। একদিকে পাকিস্তানের সাথে ভারতের কাশ্মির সমস্যা অন্যদিকে ভারতীয় সীমান্তে চীনের ব্যাপক উপস্থিতি। তারই মধ্যে আবার নেপালের ভূমি দাবি। সব মিলিয়ে ভূরাজনৈতিক দিক দিয়ে বেশ চাপে ভারত এমনটাই মতামত সামরিক বিশ্লেষকদের।
চীন কর্তৃক নির্মিত অত্যাধুনিক টাইপ -২০৪ ক্লাস ফ্রিগেটের চারটি যুদ্ধ জাহাজের প্রথমটি পেতে যাচ্ছে পাকিস্তান। রোববার এক সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে চীনের সাংহাইয়ে এর উদ্বোধন করা হয়েছে।
পাকিস্তান নৌবাহিনী জানায়, এটি পাকিস্তান নৌবাহিনীর জন্য অত্যাধুনিক ফ্রিগেট নির্মাণের বড় মাইলফলক। এই জাহাজ আমাদের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এই রণতরীতে সর্বশেষ অত্যাধুনিক অস্ত্র সংযোজন করা হয়েছে। দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে ভূমিতে আক্রমণ উপযোগী এই জাহাজে রয়েছে এন্টি-এয়ার অস্ত্র। এর যুদ্ধ পরিচালন ব্যবস্থা ও সেন্সর পাকিস্তান নৌবাহিনী ব্যাপক সুবিধা দিবে।
২০১৭ সালে ইসলামাবাদ চায়না শিপবিল্ডিং ট্রেডিং কোম্পানীর (সিএসটিসি) সাথে দুটি টাইপ-০৫৪ এ/পি রণতরী নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর করে। পরের বছর আরো দুইটি রণতরী নির্মাণের চুক্তি করে পাকিস্তান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পাকিস্তানের নৌবাহিনী প্রধান কমোডর আফজার হুমায়ুন একে “ প্রতিরক্ষা খাতে পাকিস্তান-চীনের নতুন যুগ” বলে অভিহিত করেন।
তিনি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ভেতরেও নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাওয়ায় নির্মাতা কোম্পানীর প্রতি বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
বেইংজিয়ের সাথে অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা খাতের অন্যতম অংশীদার ইসলামাবাদ ২০১৬ সালে ভারতের সাথে পাল্লা দিতে আটটি চীনা ইয়ান শ্রেণীর টাইপ-০৪১ ডিজেল সাবমেরিন ক্রয়ের জন্য পাঁচ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে। যা ২০২৮ সাল নাগাদ পাকিস্তানের হাতে পৌঁছাবে।
এছাড়াও বেইজিংয়ের উচ্চাভিলাষী বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের ৬৪ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্পটি নির্মাণে চীন-পাকিস্তান সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত এই মেগা প্রকল্পটির উদ্দেশ্য, চীনের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ উত্তর-পশ্চিম জিনজিয়াং প্রদেশেদের সাথে পাকিস্তানের গওয়াদার বন্দর সংযুক্ত করা। এ লক্ষে পণ্য পরিবহনের জন্য রাস্তা ও রেলপথ নির্মাণ এবং তেল ও গ্যাস পাইপলাইনের মাধ্যমে চীনের ঐ অংশে পাঠানো হবে। ইয়েনি শাফাক
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।