পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যেই প্রবল বৃষ্টির জেরে পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় পৃথক দুর্ঘটনার জেরে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ২৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। পাঞ্জাব প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর বাড়ি ভেঙে পড়েছে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। উদ্ধারকারী দলের লোকজন চেষ্টা চালালেও প্রতিকূল পরিস্থিতির জন্য তাতে ব্যাঘাত ঘটছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার লাহোরের হরবংশপুরা এলাকায় একটি বাড়ি ভেঙে পড়ে চার জনের মৃত্যু হয়। জখম হন আরও পাঁচ জন। অন্যদিকে শেখুপুরা জেলায় বাড়ি চাপা পড়ে মারা গেছেন কমপক্ষে ৯ জন। মান্ডি বাহাউদ্দিন জেলাতেও বাড়ির তলায় চাপা পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক মহিলা ও তার চার সন্তান। পাঞ্জাব প্রদেশের চকওয়াল জেলার একটি কয়লাখনিতে ঊমিধসের ফলে তিনজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন বেশ কয়েকজন। আর ফয়সালাবাদ জেলায় বাড়ির ছাদ ভেঙে ও বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন তিন জন। এখনও পর্যন্ত সব জায়গার খবর পাওয়া যায়নি। তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
বুধবার থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রবল বর্ষণ শুরু হবে বলে জানানো হয়েছিল পাকিস্তানের আবহাওয়া দপ্তর-এর তরফে। সেই ঘোষণা সত্যি করে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। এখনও তিন থেকে চারদিন এই বৃষ্টি চলবে বলে জানা গেছে। এর ফলে পাঞ্জাব প্রদেশের পাশাপাশি খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পরিস্থিতিও খারাপ হবে বলে আশঙ্কা করেছেন আবহাওয়াবিদরা। সূত্র : বিদেশি গণমাধ্যম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।