নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জাতীয় দল ব্যস্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে, এবার শুরু হচ্ছে যুব দলের ব্যস্ততাও। একটি চার দিনের ও পাঁচটি এক দিনের ম্যাচ খেলতে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। গতকালই সফরের সূচি প্রকাশ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। সফরটি নিয়ে পিসিবির পরিচালক জাকির খান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক দলগুলোকে আতিথেয়তা দেওয়ার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। গত ১৫ বছরে কোনো যুব দলের পাকিস্তানে প্রথম সফর এটি। একই সঙ্গে ২০১৯ সালের নভেম্বরে নারী দল এবং ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় দলের পর এ নিয়ে তৃতীয়বার পাকিস্তানে কোনো দল পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। এই সফর দুই দলের খেলোয়াড়দের নিজেদের দক্ষতা তুলে ধরার ভালো সুযোগ করে দেবে।’
১৯ দিনের সফরে বাংলাদেশের যুবারা পাকিস্তানে যাবেন ১ নভেম্বর। সর্বশেষ ২০০৭ সালের নভেম্বরে গিয়ে দুটি চার দিনের ও পাঁচটি এক দিনের ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। পাকিস্তানের মাটিতে যেকোনো যুব দলের সর্বশেষ আন্তর্জাতিক সফরও সেটিই। এবারের সফরে শুরুতে থাকছে চার দিনের ম্যাচ, প্রথম ম্যাচ শুরু ৪ নভেম্বর। ৪৫ ওভারের পাঁচটি ওয়ানডের সিরিজ শুরু হবে ১০ নভেম্বর থেকে। সফরের সবকটি ম্যাচই হবে ফয়সালাবাদের ইকবাল স্টেডিয়ামে।
এবারের দলটির জন্য এটি প্রথম বিদেশ সফর হতে যাচ্ছে। তবে চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছিল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। টাইগার যুবারা যেদিন ঢাকা ছাড়ার কথা তার ৫ দিন পরই দেশে শুরু হবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (এইচএসসি)। এবারের ক্যাম্পে থাকা ক্রিকেটারদের পাঁচজনই এইচএসসি পরীক্ষার্থী। একই সময় পরীক্ষা ও সিরিজ হওয়ায় বিসিবির পক্ষ থেকে কোনো বাধ্যবাধকতা রাখা হয়নি। বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ম্যানেজার আবু ইনাম মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ‘ছেলেদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা কেউ যদি পরীক্ষা দিতে চায়, তাতে আমাদের পক্ষ থেকে সমর্থন আছে। আমরা চাই যে তারা পড়াশোনা নিয়মিত করুক।’
বিসিবির সমর্থন থাকলেও ক্রিকেটারদের মাঝে কিছুটা সংশয় আছে। জায়গা হারানোর ভয়ও কাজ করছে তাদের। তাই এ বছর পরীক্ষা না দিয়ে সুযোগ মিললে পাকিস্তান সফরে যেতে চান তারা। সেক্ষেত্রে আগামী বছর পরীক্ষা দেওয়ার ভাবনা তাদের। একজন তো বলেই ফেললেন, ‘আমি পাকিস্তান সফরে যেতে চাই। পরীক্ষা আমি চাইলেও পরের বছর দিতে পারব। কিন্তু এই সফরটা আমার নিজের সামর্থ্য প্রমাণের জন্য জরুরি।’ যদিও সর্বশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলা আরিফুল ইসলামের ভাবনাটা ভিন্ন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।