মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সমাবেশে ভয়াবহ হামলার শিকার হয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে বন্দুকধারীকে শুরুতেই আটকে ফেলতে না পারলে আরও ভয়াবহ পরিণতি হতে পারতো। হামলাকারীকে রুখে দিয়েছিলেন যুবক ইবতাশাম হাসান। তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইমরান খান।
সাক্ষাতের সময় ইবতাশামকে পাকিস্তানের নায়ক (পাকিস্তান কো হিরো হো তুম) বলে উল্লেখ করেন পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) এর প্রধান ইমরান খান।
এই সময় হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই ইবতাশামের টি শার্টে অটোগ্রাফ দেন ইমরান খান। তিনি বলেন, ‘তুমি পাকিস্তানের হিরো। বড় হৃদয়ের মানুষ। অনেক ভালো লেগেছে।’
এ সময় যুবক ইবতাশাম ইমরান খানকে বলেন, ‘আপনিই আমাদের হিরো’। উজিরাবাদের ওই যুবকের বাড়িতে যাওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন ইমরান খান।
ইমরান খানকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছেন বছর তিরিশের সাহসী ইবতাশাম। ইমরানকে লক্ষ্য করে একে-৪৭ অস্ত্র থেকে গুলি চালানোর সময় তৎপর হয়ে ওঠেন ওই যুবক। ঠিক সময়ে তিনি তৎপর না হলে নিহতও হতে পারতেন এ সাবেক পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী। পিটিআই চেয়ারম্যানকে বাঁচিয়ে এখন প্রশংসায় ভাসছেন ওই যুবক।
এআরওয়াই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ সাহসী পাকিস্তানি যুবক বলেন, ‘আমি দাঁড়িয়েছিলাম, হঠাৎ দেখলাম আমার থেকে ১০-১২ ফুট দূরে এক ব্যক্তি পিস্তল বের করে (ইমরান খানের দিকে) তাক করছে। এ সময় আমি ছুটে গিয়ে তাকে ধরে ফেলি।’
ইবতাশাম বলেন, ‘আমি (তার কাছে) পৌঁছানোর আগেই সে এক রাউন্ড গুলি করে ফেলেছে। তার কাছে পৌঁছে আমি প্রথমেই তার বন্দুক ধরা হাতটি ধরে ফেলি। এ সময় (হামলাকারী) যেসব গুলি ছুড়েছে সেগুলো একটাও আর ঠিক লক্ষ্যে আঘাত করতে পারেনি।’
তিনি বলেন, ‘তারপরই সে আমার হাত ছাড়িয়ে সামনের দিকে ছুটে পালানোর চেষ্টা করে। আমিও তার পিছু দৌড়ে কয়েক মিনিটের মধ্যেই ধরে ফেলতে সক্ষম হই, আলহামদুলিল্লাহ। তারপর পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়।’
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে পাঞ্জাব প্রদেশের ওয়াজিরাবাদে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। সাবেক ক্রিকেট তারকা থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া ইমরান খান দেশটিতে আগাম নির্বাচনের দাবিতে লংমার্চ পালন করে আসছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।