Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদী উত্তাল

বাঁধ ভেঙে ২০ টি গ্রাম প্লাবিত, হাজারো মানুষ পানিবন্দি

ভোলা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ আগস্ট, ২০২০, ৪:৪৬ পিএম

ভোলায় মেঘনার উত্তাল জোয়ারের চাপে বেড়ী বাঁধ ভেঙ্গে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে ভোলা সদর, বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান উপজেলার অন্তত ২০টি গ্রাম।
পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ।

গত বুধবার, বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি ও অমাবশ্যার জোয়ারের ফলে বেরীবাধের ভেঙ্গে গিয়ে এলাকায় পানি ঢুকে দু’দিন ধরে পানিবন্দি হয়ে দুর্বিষহ দিন কাটাচ্ছেন বানভাসি মানুষ। পানিতে ঘর, ফসলি জমি, মাছের ঘের নস্ট হয়ে বিভিন্ন গৃহস্থালি মালামাল হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন তারা। অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু স্থানে।
চরম দুর্ভোগ পড়েছেন ভানবাসী মানুষগুলো।

বাপাউবো ডিভিশন ১ সুত্রে জানা যায় শুক্রবার (২১ আগস্ট) মেঘনার পানি বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) ছিল ১১৪ সেন্টিমিটার। এতে আরেক দফায় তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকা।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, গত কয়েকদিন থেকেই ঝুঁকির মুখে ছিল ভোলার ইলিশা ইউনিয়নের মুরাদসফিউল্লা গ্রামের সাজিকান্দি পয়েন্টের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। মেঘনার পানি বিপৎসীমার ১১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই পয়েন্ট দিয়ে ভেঙে যায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি। এতে জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে তলিয়ে যায় মানুষের ঘরবাড়ি।

বর্তমানে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে ইলিশা ইউনিয়নের তিনটি গ্রামসহ জেলার উপকূলবর্তী ২০টি গ্রামের মানুষ। জোয়ারের পানিতে ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় গত দু’দিন ধরে অনেকের ঘরে রান্নার চুলা জ্বলছে না। অনেকেই তিনবেলা ঠিকমতো খেতে পাচ্ছেন না। দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। ঘর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু স্থানে। দ্রুত বাঁধ মেরামতের দাবি বানভাসি এসব মানুষের।

এলাকাবাসী অনেকেই মনে করছেন আম্পনের থেকে বাপাউবো অভিজ্ঞততা কাজে লাগিয়ে সতর্ক থাকলে এত বেশী ক্ষতি হতনা। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ সমস্যার জন্য বাপাউবো গাফিলতি রয়েছে। আজ পরিবার পরিজন নিয়ে চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। পানিতে ঘর তলিয়ে যাওয়ায় রান্না হয়নি। ঘরের অনেক জিনিসপত্র ভেসে গেছে।
পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। তাদের অনেকে এখন দুর্ভোগের মধ্যে আছেন। কেউ কেউ আবার খোলা আকাশের নিচে। স্থানীয় জনগন মনে করছেন শুকনো মৌসুমে টেকসই বাঁধ মেরামত করে মানুষদের দুর্ভোগ লাগবের দাবি অসহায় মানুষের।
বাপাউবো ডিভিশন ১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান বলেন জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণ ও উজানের পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় এমন জোয়ার হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
তিনি বলেন, জোয়ারের পানির চাপে তিন উপজেলা গতকাল পর্যন্ত যেসব বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো মেরামতের কাজ অব্যাহত রয়েছে। নতুন করে কোনস্থনে ক্ষতি হয়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা

১৫ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ