মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সরকারের পদত্যাগ, সংবিধান পরিবর্তন এবং বিরোধী বিক্ষোভকারীদের হয়রানি বন্ধের দাবিতে থাইল্যান্ডে ব্যাপক বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ আগে থাইল্যান্ডে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এরপর থেকে প্রত্যেক দিনই বিক্ষোভ হচ্ছে এবং তাদের দাবি-দাওয়া এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। সরকারও ধরপাকড় চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, করোনা আইন লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনেছে।
থাই আইন অনুযায়ী, রাজপরিবারের সমালোচনা করলে দীর্ঘদিন কারাভোগের বিধান রয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, বিক্ষোভকারীরা রাজতন্ত্র, সংবিধান ও রাজনৈতিক সংস্কার তথা বর্তমান শাসন কাঠামোর আমূল পরিবতন চাচ্ছেন এবং এজন্য প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান-ওছার পদত্যাগ দাবি করেছেন। সাবেক সেনাপ্রধান প্রায়ুত ২০১৪ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাজাকে তার নিয়ন্ত্রণে নেন। পাঁচ বছর জান্তা শাসনে নতুন সংবিধান প্রণয়নের পর গত বছর নির্বাচনে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। বেসামরিক সরকার পরিচালনার জন্য প্রায়ুতকে ভোট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এটিই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ প্রায়ুত আগের চরিত্রেই আছেন।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, সংসদ ভেঙে দিতে হবে। সংবিধান নতুন করে প্রণয়ন ও নাগরিকদের হয়রানির সব বিধান বিলুপ্ত করতে হবে। তাদের ১০ দফা দাবির মধ্যে রাজপরিবারের সমালোচনায় ১৫ বছর কারাভোগ থেকে মৃত্যুদণ্ডের আইনও রয়েছে। শিক্ষার্থীদের এসব দাবিতে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নিচ্ছেন।
বিবিসি জানায়, ব্যাংককের ওই সমাবেশে রাজতন্ত্রের সংস্কারের জন্য সরকারের পদত্যাগের পাশাপাশি সংবিধান সংশোধনেরও দাবি জানিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০১৪ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রায়ুত চান-ওছার ক্ষমতা দখলের পর থাইল্যান্ডে এটাই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। বিশাল এই বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে রাখতে আনুমানিক ৬০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করেছে সরকার। আগামীতে বিক্ষোভ আরও বড় রুপ নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।