পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরাইলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তি স্বাক্ষরের প্রতিবাদে গাজা উপত্যকায় বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নাগরিক। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত ওই চুক্তির প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভকারীরা ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রে পতাকা পোড়ানোর পাশাপাশি ছিড়ে ফেলে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পোস্টার। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। অপর দিকে, চুক্তির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ায়। এ সময় দেশটির শত শত মানুষ ইসরাইলের পতাকা ও আবুধাবির যুবরাজের ছবিতে আগুন ধরিয়ে দেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা বলছে, মঙ্গলবার বিকেলে তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ‚তাবাসের সামনে প্রতিবাদী বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। এই সমাবেশে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি দেশটির সুশীল সমাজ এবং বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। বিক্ষোভকারীরা ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের দায়ে অবিলম্বে আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদ‚তকে বহিষ্কারের দাবি জানান। বিক্ষোভকারীদের অনেকের হাতে ছিল ফিলিস্তিনের পতাকা। এ সময় কারও কারও হাতে ইসরাইলবিরোধী প্ল্যাকার্ড-ব্যানার দেখা যায়। ‘ফিলিস্তিন বিক্রয়যোগ্য নয়’ এবং ‘আবুধাবির যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন জায়েদ ডলারের বিনিময়ে বায়তুল মুকাদ্দাসকে বিক্রি করে দিয়েছেন’ লেখা-সহ বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। এছাড়া অনেকে মুহাম্মাদ বিন জায়েদের এমন ছবি বহন করছিলেন যাতে ক্রস চিহ্ন আঁকা এবং ওপরে লেখা ছিল ‘বিশ্বাসঘাতক।’ তিউনিসিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী দল আন-নেহদা এক বিবৃতিতে আরব আমিরাতের পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, আন-নেহদা এই পদক্ষেপের বিরোধী এবং আরব আমিরাত এই পদক্ষেপের মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বকে উসকানি দিয়েছে। ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা ঘোষণার পর ইসরাইল এখন পর্যন্ত তিনটি আরব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সমঝোতায় পৌঁছেছে। ১৯৭৯ সালে মিসর ও ১৯৯৪ সালে জর্ডানের পর বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ইসরাইলের সমঝোতায় পৌঁছানোর কথা জানানো হয়। এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সমঝোতায় পৌঁছানোর চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে ইসরাইল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে ওই চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ। বুধবার গাজার বিক্ষোভ থেকে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করা হয়। ট্রাম্প ঘোষিত মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করায় আব্বাসের প্রতি সমর্থনের কথা জানান বিক্ষোভকারীরা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের নিন্দা করে বিক্ষোভ থেকে সেøাগান দেওয়া হয় সম্পর্ক স্বাভাবিক করা জেরুজালেম ও ফিলিস্তিনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। বিক্ষোভের আয়োজন করে গাজার শাসক দল হামাসসহ ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের দাবিতে সংগ্রামরত আরও কয়েকটি গোষ্ঠী। হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা খলিল আল হায়া আমিরাত ও ইসরাইলের চুক্তির নিন্দা জানিয়ে বলেন। আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।