পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দিয়ে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ চালুর দাবিতে লিগ্যাল নোটিশ দেয়ায় ক্ষোভে তোলপাড় চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল থাকার বিষয়টি ২০১৬ সালে আদালত রায় দেয়ার পরে একটি মীমাংসিত বিষয় নিয়ে আবারও লিগ্যাল নোটিশ করায় ক্ষোভে ফুসছে দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষেরা। এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় বইছে নেট দুনিয়ায়।
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি সাংবিধানিক ও মীমাংসিত বিষয় নিয়ে যারা বারবার উস্কানি দিচ্ছে তাদেরকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার জোর দাবি উঠেছে। এ ব্যাপারে বুধবার রাজধানীতে মানববন্ধনও অনুষ্ঠিত হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ১০ জনকে ওই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান ‘বাংলাদেশ মাইনরিটি সংগ্রাম পরিষদ’র পক্ষে অশোক কুমার সাহা।
ফয়সাল আমিন লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশের ইতিহাসে, কালেমা না পড়লে কাউকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে? শুকর খাওয়ার জন্য কাউকে পিটিয়ে হত্যা কর হয়েছে? রাষ্ট্রীয়ভাবে ৫০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী কোনো মন্দির ভেঙে মসজিদ বানানো হয়েছে? উত্তরঃ না। ধর্মীয় সম্প্রীতির দিক দিয়ে প্রতিবেশী বর্বর দেশের(ভারত) তুলনায় হাজারগুনে শান্তির দেশ বাংলাদেশ। তারপরও কেন আমাদের ধর্ম "ইসলাম" নিয়ে তাদের এত চুলকানি? আসলে এরা এমন এক বর্বর জাতি, এরা যেখানেই থাকবে সেখানেই ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করে দাঙ্গা বাধাবেই।’’
আজাদুর রহমান লিখেছেন, ‘‘এদেরকে অতিসত্বর আইনের আওতায় আনুন নাইলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। এরা চাচ্ছে এই ধরনের কিছু লিখে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য। বিভেদ তৈরি করে দেওয়ার একটা ফন্দি। গন্ডগোল লাগানো একটা ফন্দি। উন্নয়নশীলকে উন্নয়নশীল না করার জন্য এটা একটা এদের একটা তাবিজ।’’
মোঃ মিলন লিখেছেন, ‘‘মনে হচ্ছে আর মুখবন্ধ করে থাকা হচ্ছেনা. হাত গুটিয়ে বসে থাকার দিন শেষ। ভারতের দালালদের এই দেশ থেকে বিতাড়িত
করতেই হবে। বাংলার মুসলমানদের কি এখনো ঘুম ভাঙ্গার সময় হয়নি কি?’’
আহমেদ সালেহ লিখেছেন, ‘‘এখন কেন পরিবর্তন করা হবে আগে কেন করা হল না। এই একটা চাল আওয়ামী লীগকে জাতির কাছে কালার করার জন্য। এই চাল সরকার এই পাদে পা দিলে জনগণ প্রতিবাদ করবে। চিন্তার বিষয় আছে আগে কেন এই প্রতিবাদ হল না। এই চালটা ঠান্ডা মাথার চাল। বিএনপি সময় কেন এই সব কথা উঠলো না।’’
রুমা লিখেছেন, ‘‘দেশীয় ইন্ডিয়ান রাজাকারের জয়জয়কার। এদের থামানো সম্ভব নয়। আর সংখ্যালঘু শব্দ ব্যবহার করে, সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানের সব উচ্চ পদ দখল করে রেখেছে, এমন কোনও উপজেলা নেই যেখানে যে কোনও প্রশাসনিক সেক্টরে অন্তত পক্ষে একজন নেই। দাদা/দিদিরাই দেশ চালায়।’’
আফিফা তাসনিম লিখেছেন, ‘‘এটা নিয়ে মাথা ব্যাথা যাদের, যে সংবিধান থেকে ইসলামকে তুলে দিতে চান আশা করি তাদের বাংলাদেশ থেকে অন্য কোন দেশে চলে যাওয়াই ভালো। কারন এই দেশ যতদিন আছে ইসলাম থাকবে, থাকবেনা আপনাদের মত নাস্তিকরা।’’
রিপন আহমেদ লিখেছেন, ‘‘সাহস কতো নব্বই পারসেন্ট মুসলমানদের দেশে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম হবে না তে কি হবে, সাহস পেলো কোথায় থেকে লিগাল নোটিশ দেওয়ার খুঁজে দেখা উচিত।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।