পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সুযোগ পেলেই ‘সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ তুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, আমরা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছি একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের জন্য। আমরা সব ধর্মের মানুষ একত্রে এ দেশে বসবাস করি। বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ, সম্প্রীতির দেশ।
গতকাল শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সার্ক কালচারাল সোসাইটি আয়োজিত ‘সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে প্রয়োজন বাংলাদেশ ও ভারতের গণমানুষের সুদৃঢ় ঐক্য’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে তিনি এসব বলেন।
ইসলাম ধর্ম বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম থাকা উচিত নয় বলে মন্তব্য করে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি বিভিন্ন জায়গায় বলেছি, বিবিসিতে বলেছি, আমি কখনোই বিশ্বাস করি না, ইসলাম ধর্ম বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম থাকা উচিত। এটা আমাদের কৌশল। আমরা সুযোগ পেলে, সময় পেলে ইনশা আল্লাহ এটাকে সংবিধান থেকে তুলে দেব।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি ’৭৫ সালের পরে যুবসমাজকে বিভ্রান্ত করেছিল। দীর্ঘ প্রায় ২১ বছর ক্ষমতায় থেকে তারা তিলে তিলে সুকৌশলে দেশকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছিল। সামরিক, বেসামরিক, স্বৈরাচাররা ক্ষমতায় থেকে দেশকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল। একটি অসাম্প্রদায়িক গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা তারা করেছিল। রাজ্জাক বলেন, অনেক কষ্ট করে দেশকে ধ্বংসযজ্ঞ থেকে ফিরিয়ে আনতে অনেক কৌশল অবলম্বন করতে হয়েছে, অনেক সময় লেগেছে। আমরা এখন অনেক উন্নতি করেছি। সারা পৃথিবী জানে, বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে। আমরা এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই, এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
সার্ক কালচারাল সোসাইটির সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কমিটির সম্পাদক শ্রী প্রীতম ঘোষ, আসাম ও ভারতের পদ্মশ্রী পদকপ্রাপ্ত সমাজকর্মী শ্রী অজয় দত্ত, আসাম প্রদেশ কমিটির মুখপাত্র শিলাদিত্য দেব প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।