পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সংবিধান সংশোধন করে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার ইচ্ছা সরকার বা আওয়ামী লীগের নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘সংবিধানে রাষ্ট্রধর্মের বিষয়টি একটি মীমাংসিত বিষয়। মীমাংসিত বিষয়টি নিয়ে কেউ কোনো মন্তব্য করে থাকলে এটি তার একান্ত নিজস্ব বিষয়।’ গতকাল সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানম -িস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মিলাদ মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি দলীয় কার্যালয়কে আধুনিকায়ণ করা হবে। প্রতিটি কার্যালয়ে উপযুক্ত পরিবেশ বজায় রাখা হবে।’ উল্লেখ্য, গত শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সার্ক কালচারাল সোসাইটি আয়োজিত ‘সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে প্রয়োজন বাংলাদেশ ও ভারতের গণ-মানুষের সুদৃঢ় ঐক্য’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘আমি বিভিন্ন জায়গায় বলেছি, বিবিসিতে বলেছি, আমি কখনোই বিশ্বাস করি না, ইসলাম ধর্ম বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম থাকা উচিত। এটা আমাদের কৌশল। আমরা সুযোগ পেলে, সময় পেলে ইনশা আল্লাহ সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দেব।’ তার এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই বক্তব্য রাখেন।
বিতর্কিতরা মনোনয়ন পাবেন না
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, যেসব এমপি নিজ এলাকায় বিতর্কিত হয়ে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছেন তাদের আগামী সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শনিবার রাতে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের তৃণমূলে কলহ-বিরোধ রয়েছে স্বীকার করে সড়কে শৃঙ্খলা আনার মতোই দলে শৃঙ্খলা আনা বড় কঠিন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পরবর্তী সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের বর্তমান পাঁচ এমপি মনোনয়ন পাচ্ছেন না বলে বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের প্রসঙ্গ টেনে ওই এমপিরা কারা এবং এরকম কোনো তালিকা আছে কি-না তা জানতে চাওয়া হয় নতুন সাধারণ সম্পাদকের কাছে।
উত্তরে এরকম কোনো তালিকা নেই জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তবে সবার এসিআর প্রধানমন্ত্রীর কাছে আছে। যারা ইতোমধ্যে নিজ নিজ এলাকায় বিতর্কিত, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছেন, তাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে না। তাদের বিকল্প প্রার্থী আমরা দেখছি।
তিনি বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো কঠিন লড়াই। আমার পার্টিকেও শৃঙ্খলাবদ্ধ করা সড়ক পরিবহনের মত একটা কঠিন লড়াই। আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয়ভাবে ঐক্যবদ্ধ, তবে তৃণমূলে কলহ আছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। নেত্রী দলের চেয়ে উচ্চতায় অনেক উপরে। কিন্তু দলটা অনেক দুর্বল। শেখ হাসিনার মত শক্তিশালী নয়।
সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যাকা-সহ বেশকিছু হত্যাকা-ের বিচার বিষয়ে জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী বলেন, এ মুহূর্তে আওয়ামী লীগের দুইজন এমপি কারাগারে আছেন। বর্তমান সরকারের তিনজন মন্ত্রীকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে। আগে কোনো সরকারের আমলে এরকম হয়নি। আপনারা কি সেটা দেখেন না? সরকার এসব ব্যাপার হালকাভাবে নিচ্ছে না। বিশ্বজিৎ হত্যাকা-সহ কিছু শিশু হত্যার বিচার হয়েছে। দুয়েকটি ঘটনা হয়ত তদন্তে বা অন্য কোথাও সমস্যা হচ্ছে। তাই একটু ধীরে এগুচ্ছে। বড় দৃষ্টান্ত হলো দলীয় এমপিরা কারাগারে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ার ও সাধারণ সম্পাদক মহসিন চৌধুরী, সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান ও আলী আব্বাস, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী
কর্ণফুলী টানেলের স্থান পরিদর্শন
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল প্রকল্পের স্থান পরিদর্শন করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল পতেঙ্গা নেভাল এলাকায় মন্ত্রী টানেল প্রকল্পস্থান পরিদর্শনে যান বলে মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা আবু নাছের জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, দুইদিন চট্টগ্রামে অবস্থানের পর সকালে ঢাকা ফেরার আগে টানেলের স্থান পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। এসময় মন্ত্রী টানেলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী ইফতেখার কবির ও নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তিন হাজার পাঁচ মিটার দীর্ঘ এ টানেল নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে আট হাজার ৪৪৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, যার মধ্যে চার হাজার ৭৯৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা দেবে চীনের এক্সিম ব্যাংক। প্রকল্পের বাকি তিন হাজার ৬৪৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে দেয়া হবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে সেতু কর্তৃপক্ষ।
গত ১৪ অক্টোবর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ঢাকা সফরের সময় এই ঋণচুক্তি হয়। এছাড়া কর্ণফুলী টানেল নির্মাণে চীনের সঙ্গে একটি কাঠামো চুক্তিও হয়েছে। ওইদিন শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যৌথভাবে কয়েকটি প্রকল্পের ফলক উন্মোচন করেন, যার মধ্যে কর্ণফুলী টানেলও রয়েছে। কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পের নির্মাণ কাজের পরামর্শক হিসেবে গত মাসে দেশি-বিদেশি ছয় প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে কর্ণফুলীর ওপারে গড়ে উঠবে আরও একটি শহর। উন্নয়ন ও বিনিয়োগ সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাবে কর্ণফুলী টানেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।