Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রাষ্ট্রধর্ম বাদ দেয়ার সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া হবে

বিভিন্ন ইসলামী দলের প্রতিবাদ অব্যাহত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০০ এএম

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকার কারণে কারও অধিকার ক্ষুন্ন হয়নি। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের ষড়যন্ত্র সফল হবে না। হাইকোর্টে বারবার শুনানির চেষ্টা করে সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার চক্রান্তের প্রতিবাদে গতকাল বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
খেলাফত মজলিস : হাইকোর্টে বারবার শুনানির চেষ্টা করে সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার চক্রান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে খেলাফত মজলিস। গতকাল এক যুক্ত বিবৃতিতে খেলাফত মজলিসের আমীর প্রিন্সিপাল মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বর্তমান বাংলাদেশের একটি মীমাংসিত বিষয়। এ নিয়ে নতুন করে চক্রান্ত করে কোন লাভ হবে না। যারা এ অপচেষ্টায় লিপ্ত আছেন তাদেরকে সংবিধান ভালোভাবে পড়া উচিৎ। কারণ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সহ আরো গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অনুচ্ছেদকে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কেউ চাইলেও তা পরিবর্তন করতে পারবে না, করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে।

যারা এ বিষয়ে বার বার হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তারা মূলত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা করছেন। তাদের এসব চক্রান্ত আর সহ্য করা হবে না।
বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি : বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা কাজী আবু হোরায়রা ও মহাসচিব মাওলানা আবদুল মালেক নুরী গতকাল এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেছেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম এটা চূড়ান্ত হয়েছে সাংবিধানিকভাবে। এ ব্যাপারে কোন প্রশ্ন উঠানো রাষ্ট্রদ্রোহী কাজ। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হওয়ায় সংখ্যালঘুরা শান্তিতে আছে। কারণ নাগরিক হিসেবে সকলের অধিকার সমান। এদেশে তারা শুধু সমান অধিকার ভোগ করছেনা। তার চেয়েও বেশি ভোগ করছে। ভারতের মুসলমানরা তার ছটাক অধিকারও পাচ্ছেনা। এর পরও তাদের এত গাত্রদাহ কেন? আজ যদি হিসেব নেয়া হয় তাহলে দেখা যাবে দেশের সকল স্তরে সংখ্যার হিসেবে তারা মুসলমানদের অনুপাতে কয়েকগুণ বেশি পদ পদবী দখল করে আছে। তারা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে চাকুরি- বাকুরিসহ সর্বক্ষেত্রে সংখ্যা ভিত্তিক কোটায় আসতে হবে। তাতে তাদের লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে। তাদের জানা উচিত প্রকৃত ইসলাম চর্চা কারি কোন মুসলমান অন্যের ক্ষতিতে বিশ্বাস করেনা। তাদের ক্ষতি করলে তাদের বন্ধুরাই করে। আমরা বলতে চাই রাষ্ট্রধর্ম থাকায় বা হওয়ায় কারও ক্ষতির কোন সম্ভাবনা নেই। এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করে তারাই অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করে দেশে সাম্প্রদায়িকতার মত জঘন্য খেলায় মেতে উঠার চেষ্টা করছে।

বাতিল প্রতিরোধ পরিষদ : বাতিল প্রতিরোধ পরিষদের সভাপতি হাজী জালাল উদ্দিন বকুল বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম আছে ও থাকবে। ইসলামী রাজনীতিও আছে এবং থাকবে ইনশাআল্লাহ। রাষ্ট্রধর্ম বাতিলের যারা স্বপ্ন দেখছেন তারা ইসলাম দেশ স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের শত্রু। এদেরকে এদেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করছে।

ইসলামী ঐক্য আন্দোলন : রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে নতুন করে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা নাস্তিক-মুরতাদরা। তাদের এই ষড়যন্ত্র এদেশের আঠার কোটি তৌহিদী জনতা যেকোনো মূল্যে রুখে দেবে ইনশাআল্লাহ। ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মোস্তফা তারেকুল হাসান এক বিবৃতিতে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম একটি সমাধানকৃত বিষয়। শতকরা নব্বই ভাগ মুসলমানদের দেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকবে এটাই বাস্তবতা। এই আইনের ব্যত্যয় কিছু হলে এদেশের তৌহিদি জনতা কোনভাবেই মেনে নেবে না। দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য মতলববাজদের এই আস্ফালন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ