মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভবন প্রাঙ্গণে গতকাল রকেট হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানির অনার গার্ডের ছয় সদস্য আহত হয়েছেন। গতকাল আফগানিস্তানের ১০১তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কর্মকর্তারা যখন মধ্য কাবুলে জড়ো হচ্ছিলেন, ঠিক তখনই এ রকেট হামলার ঘটনা ঘটল। খবর এএফপি।
দুই কর্মকর্তা জানান, প্রেসিডেন্ট গানি বিখ্যাত আর্গ প্রাসাদের বাইরে তার ভাষণ শেষ করার পরই রকেটটি প্রাঙ্গণে আঘাত হানে। এতে প্রেসিডেন্টের অনার গার্ডের ছয় সদস্য আহত হন। তবে প্রেসিডেন্ট গানি অক্ষত রয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। কিন্তু মুখপাত্র তারেক আরিয়ার বলেছেন, রাজধানীতে দুটি গাড়ি থেকে মোট ১৪টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়। এর অধিকাংশই নিক্ষেপ করা হয় বেসামরিক ভবন লক্ষ্য করে। দুর্ভাগ্যবশত এ হামলায় চার শিশুসহ ১০ বেসামরিক মানুষ আহত হয়েছে। এ ঘটনায় দুই সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তারেক।
পুলিশ কর্মকর্তা জান আঘা জানান, প্রথম রকেটটি বিস্ফোরিত প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের ভবনের কাছে। দ্বিতীয়টি ন্যাটো কমান্ড ও মার্কিন দূতাবাসের প্রাঙ্গণে। এতে কেউ হতাহত হয়নি। এই হামলার পর যেখান থেকে রকেট ছোড়া হয়েছে সেখানে হেলিকপ্টার দিয়ে বোমা ফেলেছে আফগান বাহিনী।
প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের রকেটটি বিস্ফোরিত হওয়ার সময় আফগান প্রেসিডেন্ট টেলিভিশনে সরাসরি ভাষণ দিচ্ছিলেন। বিস্ফোরণের শব্দও তিনি শুনতে পান। সরাসরি ভাষণ থামিয়ে তিনি বলেন, তারা যদি ভেবে থাকে রকেট হামলায় আফগানদের পরাজিত করা যাবে তাহলে তারা ভুল করছে।
যেখানে রকেটটি বিস্ফোরিত হয় তা আফগান রাজধানী কাবুলের সবচেয়ে সুরক্ষিত এলাকা। এখানে রয়েছে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ও সরকারি ভবন। চারপাশে সিমেন্ট দিয়ে বিস্ফোরণ দেয়াল ও কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে। মার্কিন দূতাবাসের আশেপাশের অনেক সড়কই বন্ধ। গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও স্থাপনার কাছাকাছি সড়কগুলোও যান চলাচলের জন্য বন্ধ করে রাখা হয় নিরাপত্তার জন্য।
এই হামলার ব্যাপারে তালেবানদের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। হামলাটির দায়ও কেউ স্বীকার করেনি। তবে রোববার আফগান প্রেসিডেন্টের শর্তযুক্ত অস্ত্রবিরতি প্রত্যাখ্যান করে তালেবানরা। ওই দিনই তারা উত্তরপূর্ব কান্দজ প্রদেশের কয়েকটি বাস থেকে দেড়শোর বেশি যাত্রীকে অপহরণ করে। যদিও আফগান নিরাপত্তাবাহিনী অপহরণের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই নারী ও শিশুসহ প্রায় ১৬০ জন বন্দীকে উদ্ধার করে। এরপরই এই হামলার ঘটনা ঘটে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।