পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল থাকার বিষয়টি ২০১৬ সালে আদালত রায় দেয়ার পরে একটি মীমাংসিত বিষয় নিয়ে আবারো লিগ্যাল নোটিশ করায় বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা ও পতিবাদ জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, এদেশের মুসলমানরা বুকের তাজা রক্ত দিবে তবু সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল হতে দেবে না। এ উগ্রসাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী দেশের শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করতে চায়। একটি সাংবিধানিক ও মীমাংসিত বিষয় নিয়ে যারা বারবার উস্কানি দিচ্ছে তাদেরকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এ ব্যাপারে আজ বুধবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন: বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরীয়ত মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেন, সংবিধানকে পরিপূর্ণ ধর্মনিরপেক্ষকরণের নামে আবারও কতিপয় উগ্রবাদী ও নাস্তিক্যবাদী কুচক্রিমহল বাংলাদেশ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। এ উগ্রসাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী দেশের শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করতে চায়। একটি সাংবিধানিক ও মীমাংসিত বিষয় নিয়ে যারা বারবার উস্কানি দিচ্ছে তাদেরকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। গুটি কয়েক উগ্রহিন্দু ও নাস্তিক্যবাদীর প্রস্তাবে সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে বাদ দেয়া হলে এদেশের ৯২ ভাগ মুসলিম জনতা গর্জে উঠবে এবং আন্দোলনের দাবানল সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে।
গতকাল মঙ্গলবার কামরাঙ্গীরচর মাদরাসায় বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের এক জরুরি বৈঠকে সভাপতির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দলের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াযী, নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দীন, মাওলানা সাজেদুর রহমান ফয়েজী ও মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও মাওলানা গাজী আতাউর রহমান এক যুক্ত বিবৃতিতে
বলেন, মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশকে স্পেনের মত বিধর্মী রাষ্ট্রে পরিণত করতে একটি মহল দীর্ঘদিন যাবৎ ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
যারা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধান থেকে বাদ দিতে চায়, তারাই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী, বাংলাদেশের দুশমন, স্বাধীনতা বিরোধী, ইসলাম ও মুসলমানদের দুশমন। এদেশের মুসলমানরা প্রয়োজনে বুকের তাজা রক্ত দিবে তবু সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল হতে দেবে না।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ:
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার কোনরূপ চক্রান্ত বরদাশত করা হবে না। এ দেশে কেবল রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নয়, বরং ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়াই যুক্তিযুক্ত। বাংলাদেশের সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দিয়ে তদস্থলে ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠা ও ইসলামী চেতনাবোধ ধ্বংসের চক্রান্তের প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর উদ্যোগে পল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে এক জরুরি বৈঠকে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দিয়ে তদস্থলে ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠা ও ইসলামী চেতনাবোধ ধ্বংসের চক্রান্তের প্রতিবাদে আগামীকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
দলের সহ সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, মহাসচিব আল্লামা নূর হোছাইন কাসেমী, সহসভাপতি মাওলানা জহিরুল হক ভূঁইয়া, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী।
খেলাফত মজলিস : খেলাফত মজলিসের আমীর অধ্যক্ষ¬¬ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের এক বিবৃতিতে বলেছেন, এ দেশের তাওহিদী জনতা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে যেকোন ষড়যন্ত্র সহ্য করবে না। এ ধরণের যে কোন ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা হবে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ছিলো, আছে এবং ভবিষ্যতে থাকবে ইনশাআল্লাহ।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর শায়খুল হাদীস আল্লামা ইসমাঈল নূরপুরী ও মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা হবে। যারা ইসলাম ও মুসলামানদের বরদাস্ত করতে পারে না তাদের বাংলাদেশে থাকার কোনো অধিকার নেই। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট: ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও মহাসচিব আল্লামা এম এ মান্নান ও এম এ মতিন বলেন, বাংলাদেশে সকল ধর্মের সম্প্রীতি বজায় রয়েছে। এহেন শান্তিময় বাংলাদেশকে অশান্ত করার এক মিশন নিয়ে একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করছে। এমন ভুঁইফোঁড় সংগঠনের অন্যায় ও অযৌক্তিক আইনী নোটিশে সরকার বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা পা দেবেন না এমনটিই আমরা আশা করি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।