পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
বেলুনের সাহায্যে ইরানে ফায়ারবোমা ও রকেট হামলার কথিত অভিযোগে রোববার গাজা উপত্যকায় হামাসের অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। গত এক সপ্তাহ ধরেই রাতের বেলা এমন হামলা চালাচ্ছিল তারা। সেনাবাহিনী বলেছে, শনিবার দিবাগত রাতে গাজা-ইসরাইল সীমান্তে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ইসরাইলের সেনাবাহিনীর দাবি, এ সময় কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি ‘দাঙ্গাকারী’ টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিস্ফোরক পদার্থ ও গ্রেনেড ছোড়ে নিরাপত্তা বেড়া লক্ষ্য করে। এক পর্যায়ে তারা এর কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ইসরাইলের সেনাবাহিনী বলেছে, তারা টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে একটি সেনা কম্পাউন্ডে এবং একটি আন্ডারগ্রাউন্ডে। এগুলো হামাসের দখলে ছিল। রোববার দিনের শুরুতে ইসরাইলি বাহিনী বলে, তাদের দিকে গাজা থেকে দুটি রকেট ছোড়া হয়েছে। তবে ইসরাইল তার আয়রন ডোম নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যবহার করে তা ধ্বংস করে দিতে সক্ষম হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল-জাজিরা। হামলার জবাবে হামাসের মুখপাত্র ফাউজি বারহোম বলেছেন, এই আগ্রাসী নীতি গাজায় আমাদের জনগণের জীবনকে আরো সঙ্কটময় করে তুলেছে। তাদের নিত্যদিনের জীবনধারাকে বিকল করে দিয়েছে। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইকে বিঘ্নিত করছে। অথচ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক দেশগুলো এ বিষয়ে নীরব। গাজা উপত্যকার সঙ্গে পণ্য পরিবহনের সীমান্ত পয়েন্ট কারিম আবু সালেম বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইল। ইসরাইলের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, শনিবারের সংঘর্ষ ও রকেট হামলার পর ইসরাইলি সেনাবাহিনী পুরো গাজা উপত্যকায় ফিশিং জোন বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তী নোটিশ না দেয়া পর্যন্ত তা বন্ধ থাকবে। আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।