Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রকাশ্যে উচ্চ আদালতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করছেন সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সাজ্জাদ : প্রতিবাদে মোহাজিরদের মানববন্ধন

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০২০, ৫:৪৭ পিএম

উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা প্রকাশ্যে অমান্য করে মোহাজিদের জমিতে বনায়নের নামে সরকারের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া সহ জবর দখল ও ক্ষমতার অপব্যবহার পূর্বক মামলাবাজির ঘটনায় সিলেট বিভাগী বন কর্মকর্তা এস, এম সাজ্জাদ হোসেন ও তার স্থানীয় সহযোগীদের শাস্তি দাবী করে পালন করা হয়েছে এক মানববন্ধন কর্মসূচী। আজ (শুক্রবার) বিকেল সাড়ে ৩টায় গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল সোনাটিলা এলাকায় এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়।

মানব বন্ধনে বক্তারা বলেন, সিলেট বিভাগীয় বনকর্মকর্তা এস, এম, সাজ্জাদ হোসেস তার সহযোগীদের নিয়ে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করছেন প্রকাশ্যে। গত ৭ জুলাই সাজ্জাদ সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিশ করার পর আরো বেপরোয়া সাজ্জাদ ও তার বাহিনী। ১৯৮৫ সালে মোহাজিদের জমি গোপনে রেকর্ড করে সিলেট বনবিভাগ। সেই রেকর্ডকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৪ ইং উচ্চ আদালতে একটি রীট মামলা ( ২৯১৩/১৪) দায়ের করেন মোহাজির প্রতিনিধি মো: রফিকুল ইসলাম রফিক। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ৪ অক্টোবর মামলাভূক্ত জমিতে মামলা নিস্পত্তি না হ্ওয়া পর্যন্ত বন বিভাগের যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিতের নির্দেশ দেন মাহমান্য হাইকোর্ট। উক্ত আদেশ বাস্তবায়নের জন্য সিলেট জেলা প্রশাসকের লিখিত নির্দেশে ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্থানীয় বন বিভাগের সারি রেঞ্জ কর্মকর্তাকে তাদের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধের জন্য পত্র প্রেরণ করেন (স্মারক নং (১০০৮)। এমনকি বন অধিদপ্তরের লিগ্যাল ইউনিটের উপ-বন সংরক্ষক ড. মো: জাহিদুর রহমান মিয়া ২০১৮ সালের ১৫মার্চ সিলেট বিভাগীয় বন কর্র্মকর্তা বরাবরে একটি পত্র (পত্র নং ২২.০১.০০০০.০১২.৩২.২৯৩.১৪/১৩৫) প্রেরণ করে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রীট পিটিশন (নং২৯১৩/১৪) এর সর্বশেষ আদেশ মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়। অপরদিকে মোহাজিরদের অধিগ্রহনকৃত জমির সীমানা চিন্থিত করণ, রেকর্ডকরণ আদেশের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোয়াইনঘাট কর্তৃক গঠিত একটি কমিটি ২০১৯ সালের ১ ফ্রেবুয়ারী জমির উপর সীমান চিন্থিত করে একাধিক সাইনবোর্ড স্থাপন করেন। কিন্তু গত ২৭ জুলাই বিকেল ৫টার সময় স্থানীয় বিট কর্মকর্তা মো: জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল দূর্বৃত্ত সাইনবোর্ডগুলি গুড়িয়ে দেয়। এছাড়া মামলাভূক্ত জমিতে আদালতে নিষেধাজ্ঞা স্বত্ত্ব্ওে মিথ্যা বিবরণ দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক বৈআইনী ভাবে শতাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে মানবন্ধনে জানান মোহাজিররা। তারা আরো বলেন, এছাড়া সবুজায়নের নামে বৃক্ষরোপন কার্যক্রম চালিয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা। জোরপূর্বক বৈআইনীভাবে জমি ভাড়া দিয়ে কোটি টাকা ভাগবাটোয়ারা করে পকেটস্থ করছেন ডিএফও সাজ্জাদ ও তার সহযোগীরা, এমন কথা বলেন বক্তারা। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মোহাজির প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম রফিক, ফরমান আলী, রইছ আলী, কাশেম আলী সরকার, কোরবান আলী, ইয়াসিন আলী প্রমুখ।



 

Show all comments
  • গোলাম মোস্তফা ১৫ আগস্ট, ২০২০, ১১:১০ পিএম says : 0
    তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশ করুন। ফরেস্টের জমি রফিকুল ইসলাম গংরা জবরদখল করে ভাড়া দিচ্ছে। সরকার ১৯৮৫ সনে রিজার্ভ ( সংরক্ষিত বন) ঘোষনা করেন। রিজার্ভ ঘোষনার পূ্র্বে ভূমি নিয়ে কারো আপত্তি আছে কিনা নোটিশ দেয়া হয়েছে। কোন আপত্তি না থাকায় রিজার্ভ ঘোষনা করা হয়েছে। ত্রাণ মনত্রণালয় হতে মোহাজিরদের পূ্র্ণবাসনের জন্য ১৯৫৬ সনে গেজেট মুলে যে ভূমি দেয়া হয়েছে তা এই মৌজার ভূমি নয়।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মানববন্ধন

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ