২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
গুড়ের এত গুণ আছে যা বলে শেষ করা যাবে না। যেমন, গুড় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। গুড়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। এছাড়াও থাকে জিঙ্ক এবং সেলেনিয়াম। এর ফলে গুড় শরীরকে বিভিন্ন জীবাণু এবং সংক্রামক রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। এছাড়াও, গুড় রক্তে হিমোগ্লােবিনের মাত্রা সঠিক রাখতে সাহায্য করে। তাই গুড় শুধু শরীরকে ভেতর থেকেই নয়, বাইরে থেকে সুস্থ এবং সবল রাখতে পারে। গুড় লিভার ভালো রাখে। গুড় খেলে লিভারের কাজ ভালোভাবে হয় এবং লিভারকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। গুড় লিভার থেকে ক্ষতিকারক উপাদান বের করে দিতে সাহায্য করে এতে লিভারের পাশাপাশি শরীরও ভালো থাকে। তাই রোজ একটুকরো গুড় খেলে শরীর সুস্থ থাকবে।
গুড়ের মধ্যে যে কত রকমের পুষ্ঠিকর উপাদান রয়েছে, তা তো আগেই বলা হয়েছে। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে এটি খুবই সাহায্য করে। একইসঙ্গে, গুড় দারুণ কাজ করে ঋতু স্রাবকালীন পেটে ব্যথা দূর করতে এবং পেটে খিচ ধরে ব্যথা হওয়াও রোধ করতে পারে। ঋতুস্রাবের আগে সব চেয়ে বেশি মানসিক সমস্যা হয়। এই ধরনের উপসর্গকে বলা হয় প্রিমেন্সটুয়াল সিনড্রোম। এই সমস্যা রোধ করতেও গুড় দারুণ কাজ করে। গুড়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রণ এবং ফোলেট থাকে, যা রক্তের মধ্যে লোহিত রক্তকণিকার পরিমাণ সঠিক রাখতে সাহায্য করে। গুড় সব চেয়ে বেশি উপকার করে গর্ভবতী মহিলাদের। তাই এমনি সময় হোক বা গর্ভবতী অবস্থায়, গুড় খাওয়া নারীদের জন্য খুবই উপকারী এবং স্বাস্থ্যকর।
গুড় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এর কারণ গুড় শরীরে হজম করার জন্য জরুরি উৎসেচকের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে ফলে পেট খুব তাড়াতাড়ি পরিষ্কার হয়ে যায়। জ্বর, সর্দি-কাশির হাত থেকে রক্ষা করে গুড়। শীতকালে ঘরে ঘরে শীত লেগে সদি-কাশি, জ্বর হতে থাকে এই ধরণের সমস্যাকে দূর করতে গুড়ের জুড়ি মেলা ভার। গরম পানির সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেলে এ ধরণের সমস্যা দূর হয়। এছাড়াও, চায়ের মধ্যে চিনি না মিশিয়ে গুড় মিশিয়ে পান করলেও উপকার পাওয়া যায়। পেট ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে গুড়। গরমকালে কাজ থেকে বাড়ি ফিরে এলেই গুড়ের বাতাসা ভেজানো পানি বা গুড়ের শরবত অনেকেই পান করেন। বর্তমানে এই অভ্যাসটা অনেকটা কমে এলেও অনেকেই এগুলো মেনে চলেন। আসলে দীর্ঘক্ষণ বাড়ির বাইরে রোধের মধ্যে বা গরমের মধ্যে থাকলে শরীর গরম হয়ে ওঠে। এমনকি, পেটের গন্ডগোলও দেখা যায়। এই অবস্থায় গুড়ের শরবত খুবই কাজ দেয়। কারণ, গুড়ের শরবত শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। গুড় খাওয়ার সব থেকে বড় উপকার হল, এটি রক্ত পরিশোধন করতে ভীষণভাবে সাহায্য করে।
নিয়মিত গুড় খেলে রক্ত পরিষ্ক্রা হয় এবং শরীর সুস্থ থাকে। গুড় যেহেতু সরাসরি আখের রস বা খেজুরের রস থেকে তৈরি হয়, তাই এটি শরীরের কোনো ক্ষতি করে না। উলটো শরীরের যত্নে দারুণ উপকারী ভূমিকা পালন করে। গুড় এমন এক খাদ্য, যা শরীরকে প্রাকৃতিক উপায়ে ভিতর থেকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এই কারণে, বহু চিকিৎসক শরীরকে সুস্থ রাখতে গুড় খাওয়ার পরামর্শ দেন। আসলে গুড় খেলে শরীরের ভিতর থেকে বিষাক্ত উপাদান বেরিয়ে যেতে পারে। এটি যেমন শ্বাসনালীকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্যে করে, তেমনই ফুসফুস, অন্ত্র এবং পেটে খাদ্যনালী পরিষ্কার রাখতে পারে। যাঁরা কয়লা খনি, দূষণ বা ধূলোবালির মধ্যে কাজ করেন, তাঁদের জন্য গুড় অত্যন্ত উপকারী।
আফতাব চৌধুরী
সাংবাদিক, কলামিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।