নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের কারণে বেশ কিছুদিন ধরেই অস্থির দেশের শুটিং অঙ্গন। বাংলাদেশ শুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনের সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী ও মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ অপু’র দ্বন্দ্ব শেষ পর্যন্ত শুটারদের নিয়ে যায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পর্যন্ত। বিশ্বস্ত সুত্র জানায়, সভাপতি অনৈতিক কাজকে সমর্থন করেন না বলেই মহাসচিবের সঙ্গে তার দূরত্ব ক্রমেই বেড়ে গিয়ে শুটিং অঙ্গনকে অস্থির করে তোলে। একের পর এক অভিযোগ বেড়িয়ে আসে মহাসচিব অপুর বিরুদ্ধে। অস্থিরতা কাটাতেই ফেডারেশনের পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে (এনএসসি) গঠন করতে হয় তদন্ত কমিটি। ৩০ জুলাই এনএসসি পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) শাহ আলম সরদারকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। আইন কর্মকর্তা এসএম কবিরুল হাসান ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক কমিটির অন্য দুই সদস্য। সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছিল। যার শেষ কর্মদিবস ছিল বুধবার। এদিন তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন এনএসসিতে জমা দিয়েছে। তবে প্রতিবেদনে কি আছে তা জানা না গেলেও শোনা যাচ্ছে, অ্যাডহক কমিটির পথেই হাঁটছে শুটিং ফেডারেশন। খুব শিগগরিই এখানে অ্যাডহক কমিটির ঘোষনা দেবে এনএসসি। বিশ্বস্ত সূত্র আরো জানায়, ফেডারেশনের বিশেষ একজন শীর্ষ কর্তাকে সুবিধা করে দিতেই এনএসসি’র এই অ্যাডহক কমিটির ফর্মূলা। যাতে নির্বিঘেœ নিজের কাজ চালিয়ে যেতে পারেন ওই কর্তা।
শুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনের সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী এবং মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ অপু’র মধ্যকার সম্পর্কটা সাম্প্রতিক সময়ে ভালো যাচ্ছে না। তাদের রেষারেষির বলি হচ্ছিলেন শুটাররা। বিদেশ থেকে অস্ত্র আনার ব্যাপারে এনবিআরে গিয়ে সাক্ষাৎকার দিতে হয়েছে শুটারদের। যা তাদের জন্য অসম্মানজনক। তাছাড়া ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটি যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল সেখানে মহাসচিবের বিরুদ্ধে অসঙ্গতি খুঁজে পান কমিটির সদস্যরা। সভাপতির বিরুদ্ধেও মিডিয়ায় খবর এসেছে। শীর্ষ কর্তাদের দ্বন্দ্বের সত্যতা যাচাইয়ে এনএসসির তদন্ত কমিটি সঠিক কাজটিই করবে বলে শুটিংবোদ্ধাদের ধারণা ছিল। আসলেই কি কমিটির সদস্যরা তা করেছেন? নাকি ফেডারেশনের কোনো এক শীর্ষ কর্তাকে খুশী করতে তার মতো করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন? এমন প্রশ্ন শুটিং সংশ্লিষ্টদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।