শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
ড. গুলশান আরা
বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ এক বিরল সাহিত্যপ্রতিভা, সেই সঙ্গে বিরল সাহিত্য ব্যক্তিত্বও। তার ব্যক্তিত্বে একদিকে যেমন ছিল অটল গাম্ভীর্য অন্যদিকে ছিল লঘু চপল হাস্যরস। কেবলমাত্র সাহিত্যেই এ অভিব্যক্তি ধরা পড়েনি জড়িয়ে আছে তার ব্যক্তি জীবনেও। ¯িœগ্ধ চন্দ্রালোকের মত মায়াবী হাসিতে উল্লসিত করতেন পরিপার্শ্বজনকে। ব্যক্তি রীন্দ্রনাথ কেমন রসিক ছিলেন সে সম্বন্ধে তার সুহৃদরা যা উল্লেখ করেছেন বিভিন্ন পরিপ্রেক্ষিতে তা থেকে কয়েকটি তুলে ধরা হলো পাঠকদের উপভোগের জন্য।
আমরা জানি এবং তার ফটোগ্রাফিতে দেখি বুক লুটানো দাড়ি ছিল রবীন্দ্রনাথের। পরিণত বয়সে তার নিজের দাড়ি নিয়েও রসিকতা করেছেন রবীন্দ্রনাথ।
সে আমলে একজন বিখ্যাত এবং নামকরা সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। জোড়া সাঁকের ঠাকুর বাড়িতে একবার বসেছে গোপেশ্বরের সঙ্গীত জলসা। সেই জলসায় শ্রোতা হিসাবে উপস্থিত রবীন্দ্রনাথ। তো গান শুরু করলেন গোপেশ্বর বাবু। বেশ কয়েকটি গান গেয়ে তার পালা শেষ করলেন গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার উপস্থিত শ্রোতারা ধরলেন রবীন্দ্রনাথকে- তাকেও একখানা গান গাইতে হবে, নইলে ছাড়াছাড়ি নাই। অগত্যা রাজি হলেন রবীন্দ্রনাথ। হাসিহাসি মুখে কৌতুক করে বললেনÑ গোপেশ্বরের পর কি এবার দাড়িশ্বরের পালা!
একদিন রবীন্দ্রনাথ তার ভক্ত ও ছাত্রছাত্রীদের সামনে গান গাইছেন- ‘হে মাধবী, দ্বিধা কেন?’
এমন সময় ভৃত্য বনমালী আইসক্রিমের প্লেট নিয়ে ঘরের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। বনমালী ভাবছে ঘরে ঢুকবে কি ঢুকবে না রবীন্দ্রনাথ গান গাইছেন, এ সময় ঘরে ঢুকলে বিরক্ত হবেন কিনা কে জানে? রবি ঠাকুর বনমালীর দিকে তাকিয়ে গাইলেন, ‘হে মাধবী, দ্বিধা কেন?’
বনমালী আইসক্রিমের প্লেট রবীন্দ্রনাথের সামনে রেখে লজ্জায় ঘর থেকে বেরিয়ে গেল।
রবীন্দ্রনাথ বলেন- ‘বনমালীকে যদিও মাধবী বলা চলে না। তবে তার দ্বিধা মাধবীর মতই ছিল। আর আইসক্রীমের প্লেট নিয়ে দ্বিধা করা মোটেই ভাল নয়।’
রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে। সেখানেই কি কারণে যেন একটা সভা বসেছে। যেখানে অর্থাৎ যে ঘরে সভা হবে সে ঘরটি সম্বন্ধে কেউ কেউ বলছিলেন ঘরটি বেশ সুন্দর, জাঁকজমকপূর্ণ। রবীন্দ্রনাথ আলাপের ফাঁকে বলে উঠলেন, এ ঘরে একটা বাঁ-দোর আছে। কবির কথায় ঘরশুদ্ধ লোক হতবাক, এ ওর মুখের দিকে তাকিয়ে বাঁদর খুঁজছে। অবস্থা দেখে মুচকি মুচকি হাসলেন রবীন্দ্রনাথ। তিনি বললেন, ‘বাঁদব নয়, আমি বাঁ-দোরের কথা বলছি। দেখছো না ঘরটির ডান দিকে একটি দরজা ও বাঁ দিকেও একটা দরজা রয়েছে।’
মংপুতে মৈত্রয়ী দেবীর আতিথ্য গ্রহণ করেছেন কবি রবীন্দ্রনাথ। তিনি নিরামিষ খেতে পছন্দ করেন তাই রোজই বিভিন্ন রকমের নিরামিষ রান্না হয়। তো বৈচিত্র্য আনার জন্য মগজ (ইৎধরহ) রান্না হয়েছে। কবি বিস্ময়ে বললেন এ পদার্থটি কি? মৈত্রী দেবী উত্তর দিলেন ইৎধরহ। কবির চোখে মুখে দেখা দিল কপট গাম্ভীর্য। তিনি বললেন, বিশ্বকবির ব্রেনে ঘাটতি পড়েছে কথাটা সোজাসুজি জানালেই হতো। এত কৌশল করা কেন? থাকগে, এ তর্কের চাইতে জরুরি ব্যাপার যখন সামনে, তখন আর হাত গুটিয়ে বসে থাকা কেন?
একদিন সকালবেলায় জল খাবার খেতে বসেছেন রবীন্দ্রনাথ। প্রমথনাথ এসে তার পাশে বসলেন। উদ্দেশ্য গুরুদেবের খাবারে ভাগ বসানো। ফল, লুচি, মিষ্টি সব কিছুরই ভাগ পেলেন তিনি। কিন্তু তার নজর এক গ্লাস সোনালি রঙের শরবতের দিকে। সেটা তাকে দেওয়া হয়নি। তার ভাব লক্ষ্য করে কবি বললেন, কী হে এই শরবত চলবে নাকি? প্রমথ তো রাজির উপরে রাজি। যা হোক অমনি গুরুদেব বড় এক গ্লাসে সেই শরবত প্রমথকে দেয়ার আদেশ দিলেন। শরবত এলো বড় গ্লাস ভর্তি হয়ে। প্রমথনাথ এক চুমুক খেয়েই বুঝলেন সেটা চিরতার শরবত। রবীন্দ্রনাথ তার দিকে চেয়ে মিটিমিটি হাসছেন। ভাবখানা যেনÑ ‘কেমন জব্দ’!
এক সাহিত্যসভায় উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন বনফুল অর্থাৎ সাহিত্যিক বলাই চাঁদ মুখোপাধ্যায়ও। সাহিত্য আসরে খুবই চমৎকার একটা বক্তৃতা দিলেন। সভায় উপস্থিত সবাই বলাই চাঁদের বক্তৃতার খুব প্রশংসা করলেন। রবীন্দ্রনাথ অত্যন্ত সূক্ষ্ম রসবোধে বললেন, ‘বলাই তো ভাল বক্তৃতা দেবেই, কারণ বলাই তো ওর কাজ!’
সাহিত্যিক বনফুলের ছোটভাই একবার রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে দেখা করার জন্য শান্তিনিকেতনে আসেন। কবি তখন কানে ভাল শুনতে পান না। অনিল কুমার কবির সেক্রেটারী, তিনি বলে দিলেন একটু জোরে কথা বলতে কারণ এখন কবি কানে ভাল শুনতে পান না।
কবিকে জানানো হলো- ইনি সাহিত্যিক বলাই চাঁদ মুখোপাধ্যায়ের ছোটভাই। কবির ঠোঁটে ঠাট্টার বাঁকা হাসি। তিনি বললেন, ‘তুমি বলাইয়ের ভাই কানাই নাকি?’ ভদ্রলোক অনিল কুমারের নির্দেশ মনে রেখে চেঁচিয়ে বলে উঠলেন, ‘না, আমি অরবিন্দ।’ কবি এবারও ঠাট্টার হাসি জড়িয়ে বললেন, ‘কানাই নয়, এ দেখছি একেবারে সানাই!’
চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় গেছেন শিলাইদহে জমিদার রবীন্দ্রনাথের কাছে লেখা আনতে। চারুচন্দ্র তখন ‘প্রবাসী’ পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত। রবীন্দ্রনাথ তখন অবস্থান করছিলেন পদ্মার ওপারে বজরায়। নদীর ঘাট থেকে বজরা পর্যন্ত একটা তক্তার (কাঠের) সাঁকো পেতে দেয়া হয়েছে। চারুচন্দ্র পা টিপে টিপে নৌকায় উঠে আসছেন। বজরার ছাদ থেকে এ দৃশ্য দেখে রবীন্দ্রনাথ সাবধান করলেন চারুকে, ‘সাবধানে পা ফেলো। এ জোড়াসাঁকো নয়!’
রবীন্দ্রনাথের দাওয়াত এসেছে গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে। আপ্যায়নের মহা-আয়োজন। বহু রকমের রান্নায় খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা। খেতে বসলেন কবি সঙ্গে ক্ষিতি মোহনসেন শাস্ত্রী। গৃহকর্তা নিজের হাতে পরিবেশন করছেন। ক্ষিতি মোহন ডিম খেতে গিয়েই বুঝলেন ডিমটা পচা। কি করবেন এখন? আড়চোখে দেখছেন কবি কি করেন। কবিও বুঝলেন ডিমটি ভাল না, পচা ডিম। তবুও তিনি ভাতের সঙ্গে ডিমটা মুখে দিলেন। ক্ষিতি মোহন পড়লেন মহাবিপদে। পচা ডিম তিনি খাবেন কি করে? কি আর করবেন গুরুদেবের দেখাদেখি অগত্যা ঐ পচা ডিম তিনিও গিললেন। পচা ডিম এক মুহূর্তও সহ্য হলো না তার। সঙ্গে সঙ্গেই বমি করে ফেললেন তিনি।
সুযোগ বুঝে কবিকে জিঙ্গেস করলেন, ‘আপনি ঐ পচা ডিমটা হজম করলেন কি করে? আমি তো খেয়েই বমি।’ রবীন্দ্রনাথ হেসে বললেন, ‘আমি তো পচা ডিম খাইনি, তাই বমিও করিনি।’ ক্ষিতি মোহন অবাক হয়ে বললেন, ‘সে কী কথা! আমি স্বচক্ষে দেখলুম ডিমটা আপনি মুখে দিলেন।’ উত্তরে কবি বললেন, ‘আমি সেই ডিম খেয়েছি নাকি? আমি আমার সাদা দাড়ির ভিতর দিয়ে সেই ডিম চাপকানের মধ্যে চালান করে দিয়েছি। এখন মানে মানে বাড়ি ফিরতে পারলেই বাঁচি!’
শান্তিনিকেতনে একটি ছেলে ভর্তি হয়েছে নাম তার ভা-ারে, তখনও রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তার পরিচয় হয়নি। একদিন রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনের পথ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন, তার পরনে দীর্ঘ আলখাল্লা, মাথায় টুপি। ভা-ারে তাকে দেখে ছুটে গিয়ে তার হাতে আধুলি মানে আটআনা পয়সা দিয়ে এলো। অন্য ছেলেরা জানতে চাইলো, ‘তুই কি দিলি গুরুদেব কে?’
‘গুরুদেব কোথায়? ও তো একজন ফকির। মা বলেছে ফকিরকে দান করলে পুণ্যি হয়।’ সোজা উত্তর ভা-ারের।
অল্পদিনেই বোকা গেল ভা-ারে খুব দুরন্ত ছেলে। তার দৌরত্ম্যে ছাত্র-শিক্ষক সবাই অস্থির। নালিশ গেল গুরুদেবের কাছে। গুরুদেব তাকে ডেকে বললেন, ‘ভা-ারে তুই কত ভালো ছেলে। তুই একবার আমাকে একটা আধুলি দিয়েছিলি। কেউ তো আমাকে একটা পয়সাও কখনো দেয় না। তুই যদি দুরন্তপনা করিস তা হলে কি চলে?’
শোনা যায়, গুরুদেবের কথায় ভা-ারের কথায় দুষ্টুমি কিছুটা কমে ছিল।
রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনের ছেলেদের বকাঝকার পক্ষপাতি ছিলেন না। আঘাত করতেও চাইতেন না। তো একবার প্রমথনাথ বিশী সম্পর্কে একটা নালিশ এলো। নালিশ গুরুতর প্রমথকে না বকলেই নয়। অনিচ্ছা সত্ত্বেও গুরুদেব অনেকক্ষণ ধরে বকলেন। তিনি থামলে প্রমথ বললেন, ‘কিন্তু ঘটনা হলো আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।’ রবীন্দ্রনাথ হাঁক ছেড়ে বাঁচলেন। বললেন, ‘বাঁচলি। তোকে বকাও হলো আবার তুই কষ্টও পেলি না।’
শান্তিনিকেতনের ছেলেদের সাথে ফুটবল খেলছে অন্য এক প্রতিষ্ঠানের ছেলেরা। খেলা শেষে দেখা গেল শান্তিনিকেতনের ছেলেরা আট গোলে জিতেছে। তারাতো মহাখুশি। জানাতে গেল গুরুদেবকে। গুরুদেবও খুশি। তবে কপট ঠাট্টায় বললেন, ‘জিতেছো ভাল। তাই বলে আট গেল দিতে হবে? ভদ্রতা বলেও তো একটা কথা আছে।’
একবার এক ভদ্রলোককে বললেন রবীন্দ্রনাথ, ‘আপনাকে আমি দ- দেব।’
ভীষণ বিব্রত হয়ে ভদ্রলোক জানতে চাইলেন, ‘কেন, আমি কি অপরাধ করেছি?’
রবীন্দ্রনাথ লোকটির বিব্রতভাব বুঝতে পেরে হাসি হাসি মুডে বললেন, ‘গতকাল আপনার লাঠি মানে দ-টা আমার এখানে ফেলে গিয়েছিলেন। এই নিন আপনার দ-!’ বলে তার দিকে লাঠিটা বাড়িয়ে দিলেন।
স্বনামধন্য রাজনীতিবিদ, প্রথিতযশা সাহিত্যিক, ছাত্রছাত্রী, তার ভৃত্য সবার সঙ্গেই চলতো তার বিশুদ্ধ হাস্যরস।
একবার রবীন্দ্রনাথ ও গান্ধীজী একসঙ্গে বসে সকালের নাশতা করছিলেন। গান্ধীজীকে দেওয়া হয়েছিল ওটসের পরিজ (চড়ৎৎরফমব ড়ভ ঙধঃং) কারণ গান্ধীজী লুচি পছন্দ করতেন না। তবে রবীন্দ্রনাথ খাচ্ছিলেন গরম গরম লুচি।
গান্ধীজী তাই দেখে বলে উঠলেন, ‘গুরুদেব, তুমি জানো না যে তুমি বিষ খাচ্ছো।’ উত্তরে রবীন্দ্রনাথ বললেন, ‘বিষই হবে; তবে এর অ্যাকশন খুব ধীরে। কারণ, আমি বিগত ষাট বছর যাবৎ এই বিষ খাচ্ছি।’
এক দোল পূর্ণিমার দিনে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘটে কবি ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের। তো পরস্পর নমস্কার বিনিময়ের পর দ্বিজেন্দ্রলাল পকেট থেকে আবির বের করে রবীন্দ্রনাথকে রঞ্জিত করে দিলেন। রবীন্দ্রনাথ অসন্তুষ্ট না হয়ে সহাস্যে বললেন, ‘এতদিন জানতাম দ্বিজেন বাবু হাসির গান ও নাটক লিখে সকলের মনোরঞ্জন করে থাকেন। আজ দেখছি শুধু মনোরঞ্জন নয়, দেহরঞ্জনেও তিনি একজন ওস্তাদ।’
ঘরের জানালা খেলো। ঘুমাচ্ছেন রবীন্দ্রনাথ। ফুটফুটে জ্যোৎ¯œায় ভরে গেছে ঘর। আলোতে ঘুমাতে কষ্ট হচ্ছে কবির। তিনি ভৃত্য মহাদেবকে ডেকে বললেন, ‘ওরে মহাদেব, চাঁদটা একটু ঢাকা দে বাবা।’
আদেশ শুনে মহাদেব হতভম্ব। কিভাবে চাঁদকে ঢাকা দেবে সে? বুঝতে পেরে গুরুদেব হেসে বললেন, ‘জানালাটা বন্ধ কর, তাহলেই চাঁদ ঢাকা পড়বে।’
নিজের জন্মবার্ষিকী নিয়েও কৌতুক করেছেন রবীন্দ্রনাথ। সৌমেন্দ্রনাথ ঠাকুর বললেন, ‘আমরা আপনার শতবার্ষিকী করব।’ কবি তখন প্রায় শেষ শয্যায়। তবু বললেন, ‘শতবার্ষিকী মানে তো মাত্র পঁচিশ টাকা। ওতে আমার কোন মোহ নাই।’ এর মানে কি? সৌমেন্দ্রনাথ অসুস্থ কবির দিকে বোকা দৃষ্টিতে চাইলেন। কবি ব্যাখ্যা দিলেন, ‘শতবার্ষিকী মানে শতবার, সিকি মানে পঁচিশ টাকা তাইতো?’
[বিভিন্ন গ্রন্থ ও পত্রিকা থেকে সংগৃহীত]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।