পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
সেলাইবিহীন দুই টুকরা সাদা কাপড় ও মুখে মাস্ক পরে এবং নির্দিষ্ট শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সুশৃঙ্খলভাবে কাবা শরিফ তাওয়াফ করছেন হজযাত্রীরা। মাথায় রং-বেরঙের ছাতা। নির্দিষ্ট দূরত্বে চিহ্নিত রেখার ওপর দিয়ে তাওয়াফ করছেন তারা। অথচ অন্যান্য বছর প্রচণ্ড ভিড় থাকে এখানে। পবিত্র কাবা শরিফ স্পর্শ করার জন্য রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয় হজযাত্রীদের। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনে এই ছবি প্রকাশ করার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে যায়।
এই সব দৃশ্য আবারও বিস্ময় জাগালো মুসলিমদের শৃঙ্খলা ও নিয়মকানুন মানার দৃশ্য।
১০ হাজার মানুষ এক সঙ্গে প্রতিটি কার্যক্রম একসঙ্গে কিভাবে পালন করছে তা নিয়ে রিতিমত বিস্ময় সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবরে। আর সেই ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সব খানে। সবাই মুগ্ধ নয়নে দেখছেন কিভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যেও নিয়ম কানুনের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাজিররা হজ করছেন।
জানা যায়, হজের জন্য মনোনীতদের প্রত্যেকের করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে। হজ শুরুর আগেই দুই ধাপে কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। হজে অংশগ্রহণকারী ও আয়োজকদের বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। রোগ প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুসারে এ বছর হজের সময় কাবা শরিফ স্পর্শ বা চুম্বন নিষিদ্ধ থাকবে। হজের প্রতিটি কাজে একজন থেকে অন্যজনের শারীরিক দূরত্ব থাকবে ১.৫ মিটার (পাঁচ ফুট)। তাওয়াফ, নামাজ, সাঈ প্রতিটি কাজেই এই দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এছাড়া মিনা, আরাফাহ ও মুজদালিফায় ২ আগস্ট পর্যন্ত হাজিদের জন্য অবস্থান নির্ধারিত থাকবে।
হজ পালনের জন্য সমবেত ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরপরই পবিত্র মসজিদুল হারাম (কাবা শরিফ) থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে মিনায় পৌঁছান।
এবার করোনা সংক্রমণ এড়াতে বিদেশিদের হজে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করেছে সৌদি সরকার। আর হজের জন্য যাদের (সৌদি আরবে বসবাসরত বিদেশি বাসিন্দা ও সৌদি নাগরিক) মনোনীত করা হয়েছে তাদের বয়স ২০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে।
বুধবার সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সৌদির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রিভেনটিভ হেলথের সহকারী উপমন্ত্রী ড. আব্দুল্লাহ আসিরি এবার হজ পালনের বিষয়ে বলেন, ‘হজযাত্রীরা যাতে করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র হজ পালন করতে পারেন, সেজন্য আমরা সব ধরনের চেষ্টা করে যাচ্ছি। ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রীসহ (পিপিই) সব ধরনের স্বাস্থ্যকর পণ্য তাদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়েছে।’
সিএনএনের আরেকটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মাদুর পেতে নির্দিষ্ট দূরত্বে বসে ইবাদতে মশগুল হজযাত্রীরা।
এ বিষয়ে ড. আসিরি বলেন, ‘হজের এমন কিছু বিধি-বিধান পালনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে যা আমরা চাইলেও তাদেরকে এক হওয়া থেকে পৃথক করতে পারি না। তাদেরকে এক জায়গায় হতে হয় (যেমন নামাজের সময়)। তাই আমরা জায়গাগুলো এমনভাবে প্রস্তুত করেছি যাতে করে হজযাত্রীরা নির্দিষ্ট দূরত্বে হজের বিধান পালন করতে পারেন এবং এসব জায়গায় পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়েছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।