Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গোপালগঞ্জের কালনা ফেরিঘাটে গ্যাংওয়ে ডুবে পারাপারে দুর্ভোগ

গোপালগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০২০, ১১:৪১ এএম

মধুমতি নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার কালনা ফেরিঘাটের উভয়পাশের পন্টুনের গ্যাংওয়ে ডুবে গেছে। এতে যানবাহন ও যাত্রী পরিবহনে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। ঘাট কর্তৃপক্ষ কোনোমতে জোড়াতালি দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রেখেছে।
গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানাগেছে , বৃষ্টি ও অস্বাভাবিক জোয়ারে মধুমতি নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে । এতে কালনা ফেরি ঘটের উভয় পাশে পল্টুনের গ্যাংওয়ে ডুবে গেছে । পল্টুনে ওঠার সড়কের ইট, সুড়কি উঠে ছোট ছোট অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে । এতে যানবাহন ও সাধারণ জনগন ভোগান্তিতে পড়েছেন। সড়ক বিভাগ আরো জানিয়েছে, কালনা ঘাটে ৫ টি ফেরী রয়েছে। এরমধ্যে ২ টি ফেরী ইঞ্জিন বিহীন । বাকী ৩টির মধ্যে প্রবাহমান স্রোতে চলাচলের উপযোগী রয়েছে মাত্র একটি ফেরী। অন্য ২টি বন্ধ।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার কাশিয়ানী উপজেলার কালনা ফেরিঘাট। এ ঘাট দিয়ে হাজার হাজার যাত্রী খুলনা, নড়াইল, যশোর, বেনাপোল বন্দরে চলাচল করে থাকেন। প্রতিদিন এ ঘাট দিয়ে কয়েক শ’ যাত্রী বাহী বাস, পন্যবাহী ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস, নছিমনসহ অন্যান্য যানবাহন পারাপার হয়।
কাশিয়ানী উপজেলার বুধপাশা গ্রামের সালাউদ্দিন মৃধা সুজন বলেন, ‘মধুমতি নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে নদীর দু’পাড়ের গ্যাংওয়ে পানিতে তলিয়ে গেছে। ৭ দিন ধরে এ অবস্থা চলছে। এতে যানবাহন পারাপার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। লোকজন পানি ঝাঁপিয়ে ফেরি ও খেয়ায় উঠছেন। দ্রæত ত ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজন।’
ট্রাক চালক জয়নাল বলেন, ‘এ ঘাটে ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক পার করতে হচ্ছে। গ্যাংওয়ে ক্রস করার সময় গাড়ির ইঞ্জিনে পানি ঢুকে ক্ষতি হচ্ছে। এ ঘাট পার হওয়ার সময় আতংকে পরাণে পানি থাকে না।’

কালনা ঘাটের ইজারাদার মো. মঞ্জুর হাসান বলেন, ‘নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ফেরিঘাটের পন্টুনের দু’টি গ্যাংওয়ে তলিয়ে গেছে। নদীতে ভাটার সময় কিছুটা দুর্ভোগ কমলেও জোয়ারের সময় এটি বেড়ে যায়। নদীতে স্রোতে তীব্র আকার ধারণ করায় পারাপারে দীর্ঘ সময় লাগছে। এ কারণে ঘাট পারাপারে পরিবহন, ট্রাক ও যাত্রী সাধারণকে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হয়। যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।’

ফেরি চালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, গত সপ্তাহে নদীতে ‘অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্যাংওয়ে ডুবে ঘাটে ফেরিতে পরিবহন ওঠা-নামায় মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন এ ফেরী দিয়ে প্রতিদিন ৪শ থেকে ৫শ যানবাহন পারাপার হতো। ভাটিয়াপাড়া থেকে কালনা ঘাট পর্যন্ত সাড়ে ৩ কিঃমিঃ সড়কের বেহালদশার কারণে এখন প্রতিদিন ২শ থেকে ৩শ যানবাহন চলাচল করে । জোয়ারের সময় পানি বৃদ্ধি পেলেই ফেরি নিয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় ।
গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী সাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘মধুমতি নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় জোয়ারের সময় ঘাটে সমস্যা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা ফেরিঘাটের দু’ পাড়ের পন্টুনের দু’টি গ্যাংওয়ে উচুঁ করে দিয়েছি । তাপরও বিষয়টি স্থায়ী সমাধানে দ্রæত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা

১৫ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ