মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সীমান্তে চীনের সামনে টিকতে না পেরে চীনা অ্যাপের উপরে ক্ষোভ ঝাড়ছে মোদি সরকার। যার জেরে আবারও চীনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল স্ট্রাইকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এ দফায় আরও ৪৭টি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। গত মাসের শেষে প্রথম ডিজিটাল স্ট্রাইকে ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল টিকটক-সহ চীনের ৫৯টি অ্যাপ। তবে, এতে চীনের থেকে ভারতেরই ক্ষতি বেশি হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
ভারতের ইলেকট্রনিক্স ও ইনফরমেশন টেকনোলজি মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, যারা ব্যান হওয়া অ্যাপ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে চালাবে বা সক্রিয় রাখবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। ৫৯টি চীনা অ্যাপ প্রস্তুতকারকদের ব্যান অর্ডার কঠোরভাবে মেনে চলতে আগেই সতর্ক করেছিল ভারত সরকার। যারা নির্দেশ মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে কেন্দ্রের তরফে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছিল। এর দিনকয়েকের মধ্যেই এবার আরও ৪৭টি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।
এর আগে, লাদাখে দু দেশের মধ্যে উত্তেজনা যখন চরমে ওঠে, তখন টিকটকসহ চীনের ৫৯টি অ্যাপ ভারতে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করে কেন্দ্র। পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আবার ভারতীয় সংবাদপত্র ও ওয়েবসাইটগুলির অ্যাক্সেস বন্ধ করে বেইজিং। ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) সার্ভার ছাড়া ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কোনও ওয়েবসাইট চীনে বসে দেখা যাবে না। কারণ ভারতীয় ওয়েবসাইটগুলির অ্যাক্সেস বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে, চীনা অ্যাপ বন্ধ করলেও চীনা সাইটগুলির ক্ষেত্রে কোনওরকম বিধিনিষেধ এখনও আরোপ করা হয়নি ভারতে। চীনে ওয়েবসাইটগুলি বন্ধ করা হলেও ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলি এখনও পর্যন্ত আইপি টিভির মাধ্যমে অ্যাক্সেস করা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুন টিকটক, ইউসি ব্রাউজার, শেয়ার-ইট, উই-চ্যাট, ক্যামস্ক্যানার-সহ মোট ৫৯টি মোবাইল অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্র। যা চীনের বিরুদ্ধে ‘ডিজিটাল স্ট্রাইক’ বলে উল্লেখ করা হয়। কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের দাবি ছিল, ভারতের সুরক্ষা, সংহতি, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং এ দেশের সাধারণ মানুষের তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই আইনের ৬৯ক ধারায় এই সিদ্ধান্ত।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে সংঘর্ষের পরে চীন বিতর্কিত এলাকার বেশিরভাগ অংশই দখলে নিয়ে নেয়ায় এবং তাদের কাছে সেই জমি উদ্ধারে মোদি সরকারের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার কারণে, মুখ রক্ষার খাতিরে এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ভারত। চীনের ওই অ্যাপগুলো বিশ্বজুড়েই জনপ্রিয়তার শীর্ষে। ফলে, সেগুলো ব্যবহার করতে না পারলে ভারতের তরুণ প্রজন্মই হতাশ হবে ও পিছিয়ে পড়বে। এতে, ওই অ্যাপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফা কিছু কমে গেলেও সামগ্রিকভাবে চীনের শক্তিশালী অর্থনীতিতে তা কোন প্রভাবই ফেলবে না। মোদিরও তা অজানা থাকার কথা না। কিন্তু, লোক দেখানোর জন্য হলেও চীনের বিরুদ্ধে এর বেশি আর কিই বা করতে পারেন তিনি। সূত্র : টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।