মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
হিউস্টনে চীনা কনস্যুলেট বন্ধের বদলা হিসাবে এবার সিচুয়ান প্রদেশের চেংদুতে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে চীন। গতকাল এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়ে চীন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রকে ‘যোগ্য জবাব’ দিতে তারা এ সিন্ধান্ত নিয়েছে।
গত মঙ্গলবার, আচমকাই হিউস্টন শহরের চীনা কনস্যুলেট বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যার পর বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। সেই সময়ই বেইজিং হুমকি দিয়েছিল, মার্কিন সিদ্ধান্তের প্রতিশোধ নেয়া হবে। তারই প্রেক্ষিতেই এবার মার্কিন দূতাবাস বন্ধ করে দিল চীন। শুক্রবার তারা জানিয়েছে, চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর চেংদু-র মার্কিন কনস্যুলেটের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। অর্থাৎ চেংদু থেকে বের হয়ে আসতে হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। ফলে, দুই দেশের মধ্যে নতুন করে ঠান্ডা যুদ্ধ শুরু হলো বলে মনে করা হচ্ছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই পদক্ষেপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অযৌক্তিক পদক্ষেপের বৈধ এবং প্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়া। এমন জটিল পরিবেশ তৈরির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে বলা হয়েছে, ‘বর্তমানে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক যেখানে গিয়ে ঠেকেছে চীন সেটা দেখতে চায় না এবং এর দায়ভার সম্পূর্ণরূপে যুক্তরাষ্ট্রকেই নিতে হবে। আমরা আরো একবার যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের ভুল সিদ্ধান্তগুলো প্রত্যাহার করে নিতে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরির অনুরোধ করছি।’
১৯৮৫ সালে চীনের চেংদু শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই মার্কিন কনস্যুলেটটি। এই দূতাবাসে প্রায় ২০০ জন কর্মী কাজ করতেন। তার মধ্যে স্থানীয় চীনা কর্মীর সংখ্যাই প্রায় ১৫০ জন। দূতাবাস বন্ধ হওয়ায় তারা প্রত্যেকেই কাজ হারাবেন। কনস্যুলেটটি তিব্বতের খুব কাছে হওয়ার কৌশলগত দিক দিয়েও সেটি যুক্তরাষ্ট্রেরর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ ছিল, হিউস্টনের ওই চীনা দূতাবাস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে হুমকির হয়ে উঠছিল। ‘মেধাস্বত্ব’ চুরি করতে চীন সরকার তার দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র পাঠাচ্ছে। চীনা নাগরিকরা ভিসা আবেদনে প্রকৃত পরিচয় বা চীনের সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের সম্পর্কের তথ্য গোপন করে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছে। এমনকি চীন সেনাবাহিনীর বিজ্ঞানীদের গবেষণার নামে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে বলে অভিযোগ তাদের। তবে, বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আসন্ন নির্বাচনে ভোট জিততেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প।
প্রসঙ্গত, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। বাণিজ্য যুদ্ধ, হংকংয়ে চীনের আধিপত্য, দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি এবং করোনাভাইরাস মহামারীর মত বিষয় নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিরোধ তুঙ্গে উঠেছে। সূত্র : টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।