গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধে প্রতিবেশী হিসেবে ভারতের ভূমিকা থাকলেও স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতের প্রতিটি পদক্ষেপই ছিল বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য চরম হুমকি। বিশেষ করে সীমান্ত হত্যার পরিসংখ্যান ক্রমাগত বাড়ছেই। এমনকি করোনা মহামারীকালে সীমান্তে বাংলাদেশীদের পাখির মতো গুলি করা হচ্ছে। যা সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতিরই বহিঃপ্রকাশ। এমতাবস্থায় বন্ধুত্বের নামে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমুদ্র বন্দরে ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তি বাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্য প্রতিষ্ঠার নব্য ষড়যন্ত্র। অবিলম্বে দেশবিরোধী ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তি বাতিল করতে হবে।
আজ ২৩ শে জুলাই ২০২০ইং বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে ইশা ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে “ভারতীয় আধিপত্যবাদ প্রতিষ্ঠায় গৃহীত দেশবিরোধী চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তি” বাতিলের দাবীতে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, আমরা অত্যান্ত পরিতাপের সাথে লক্ষ করেছি- ২০১০ সালে ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট ফি ছিল যথাক্রমে সড়ক ও রেলপথে প্রতি কন্টেইনার ১০ হাজার টাকা, সড়কপথে কাভার্ড ভ্যান (প্রতি টন) ১ হাজার টাকা, জাহাজ যোগে বা রেলপথে (প্রতি টন) ১ হাজার টাকা এবং বিমা কাভারেজ বাধ্যতামূলক কিন্তু বর্তমানে তা কমিয়ে যথাক্রমে সড়ক ও রেলপথে প্রতি কন্টেইনার মাত্র ৫০০ টাকা, সড়কপথে কাভার্ড ভ্যান (প্রতি টন) মাত্র ২০ টাকা, জাহাজ যোগে বা রেলপথে (প্রতি টন) মাত্র ২০ টাকা এবং বিমা নিষ্প্রয়োজন করা হয়েছে। এটা কোন নীতিকে সামনে রেখে করা হয়েছে তা আমাদের বোধগম্য নয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি এম হাছিবুল ইসলাম দেশবিরোধী ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তির তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে সম্পাদিত দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ভিত্তিতে বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দর “অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরীক্ষামূলকভাবে” ব্যবহার করে ভারতের আসাম ত্রিপুরা রাজ্যে পণ্য পরিবহনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। যা বাংলাদেশের চরম স্বার্থবিরোধী। একইসাথে বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরে ভারতের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার দূরভিসন্ধি।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭৫ সালে ভারত পরীক্ষামূলকভাবে ২১ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ৪১ দিনের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালুর কথা বলেছিল। কিন্তু পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা সেই বাঁধ আজ ৪৫ বছরেও বন্ধ হয়নি। তাই এই পরীক্ষামূলক চুক্তির মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে বিকিয়ে দেয়ার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। ছাত্র সমাজকে নিয়ে দেশবিরোধী সকল পাঁয়তারা রুখে দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ।
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল করীম আকরামের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রিয়াদ, প্রচার ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক কে এম শরীয়াতুল্লাহ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক এম এম শোয়াইব, অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক মুহাম্মাদ ইবরাহীম হুসাইন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সদস্য সুলাইমান দেওয়ান সাকিবসহ ঢাকা মহানগর ও ঢাকাস্থ ক্যাম্পাস নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল প্রেসক্লাব থেকে পল্টন অভিমুখে হাউজ বিল্ডিং চত্বরে এসে সমাপ্ত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।