মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর সংসারও ভাঙছে ট্রাম্পের, এমন তথ্য দিলেন ট্রাম্পের সাবেক রাজনৈতিক সহযোগী ওমারোসা এম নিউম্যান। তার ‘আনহিঞ্জড : অ্যান ইনসাইডারস অ্যাকাউন্ট অব দ্য ট্রাম্প হোয়াইট হাউজ’ নামের বই সম্প্রতি আমাজান বাজারে এনেছে। এ বইতে ট্রাম্প সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য তুলে ধরেছেন লেখক। দ্য পলিটিকোকে এক সাক্ষাতকারে ওমারোসা এম নিউম্যান জানান, ট্রাম্প ও মেলানিয়ার সম্পর্ক দীর্ঘদিন থেকেই ভালোভাবে যাচ্ছে না। সর্বশেষ ফ্লয়েড হত্যার পর ট্রাম্পের কন্যা ট্রাম্পবিরোধী আন্দোলনে নেমেছিলেন। মেলানিয়ারও সমর্থন ছিল। ট্রাম্প এসব কারণে ক্ষুব্ধ। নির্বাচনের আগেই ডিভোর্স হতো, কিন্তু ডিভোর্স নির্বাচনে ইস্যু হতে পারে বলে নির্বাচনের পরেই ডিভোর্স হবে। ডিভোর্স দিতে চাইছেন তৃতীয় স্ত্রী ও মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। কিন্তু ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালে এই কাজে বিপদ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন মেলানিয়া। কারণ, মেলানিয়ার জন্ম স্লােভেনিয়ায়। পরে তিনি মার্কিন নাগরিকত্ব পান। লেখিকা জানান, স্ত্রী কীভাবে নাগরিকত্ব পেয়েছেন তা ভালো করেই জানেন ট্রাম্প। তিনি সেই অস্ত্র মেলানিয়ার বিরুদ্ধে প্রয়োগ করতে পারেন। তবে মেলানিয়া এসব তথ্য উড়িয়ে দিয়েছেন। মেলানিয়া এ ব্যাপারে মিডিয়ার কাছে এখনও কিছু বলেননি। দ্য পলিটিকো এ খবর জানিয়েছে। এদিকে, নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল মেনে নেয়ার বিষয়ে প্রকাশ্যে প্রতিশ্রুতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে জনমত জরিপে এগিয়ে থাকা ডেমোক্রেট দলের চ্যালেঞ্জার, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে আক্রমণ করে বক্তব্য রেখেছেন তিনি। এ সময়ে দক্ষিণাঞ্চলীয় গর্ব হিসেবে পরিচিত কনফেডারেট ফ্লাগ কি কোনো আপত্তিকর প্রতীক কিনা সে বিষয়েও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান ট্রাম্প। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল-জাজিরা। ফক্স নিউজের উপস্থাপক ক্রিস ওয়ালেসকে রোববার একটি সাক্ষাতকার দেন ট্রাম্প। এতে তিনি নির্বাচনের ফল মেনে নেয়া সম্পর্কে বলেন, এখনই কঠোরভাবে এমন নিশ্চয়তা দেয়ার মতো সময় নয়। ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে তিনি এই একই রকম বক্তব্য দিয়েছিলেন। সাম্প্রতিক জরিপে ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী জো বাইডেনকে এগিয়ে থাকা নিয়েও তিনি উপহাস করেন। করোনা পরিস্থিতিকে গুরুত্ব না দিয়ে তিনি ওকলাহোমায় নির্বাচনি সমাবেশেরও আয়োজন করেন সম্প্রতি। তিনি বলেছিলেন, তার সমর্থকরাও করোনাকে ভয় করে না। তাই ১০ লাখ লোক তার জনসভায় আসবে। কিন্তু ১০ লাখ তো দূরের কথা, ১০ হাজার লোকও যায়নি সেখানে। পরে ট্রাম্প ভীষণ লজ্জা পেয়ে আপাতত আর জনসভা করবেন না বলে ঘোষণা দেন। তবে ট্রাম্প বেশি ভয় পেয়েছেন হোয়াইট হাউজে বেশ কয়েক জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর। পলিটিকো, আল-জাজিরা, ফক্স নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।