পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা সিটি নির্বাচনে জমে উঠেছে প্রচারণা। এই নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীরা লড়ছেন সরাসরি দলীয় প্রতীকে। আর কাউন্সিলর প্রার্থীরা পেয়েছেন দলীয় সমর্থন। দুই সিটির প্রতিটি ওয়ার্ডেই ভোটের মাঠে ‘গলার কাটা’ হয়ে রয়েছেন প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা। তবে তাদের সঙ্গে দুই দলেরই সমর্থনবঞ্চিতরা ‘স্বতন্ত্র’ অথবা ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে দলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে রয়েছেন। ফলে এই বিদ্রোহী কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই দলের সমর্থিত প্রার্থীদের জন্য বড় বাধা হয়ে দেখা দিয়েছে। তাই দুই দলের হাই-কমান্ড ও দলীয় সমর্থনপ্রাপ্ত কাউন্সিলর প্রার্থীরা বিদ্রোহীদের ম্যানেজ করতে ঘাম ঝড়াচ্ছেন। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হলেও ভোটের মাঠে যেন বিদ্রোহীরা দলীয় প্রার্থীর সমর্থন ঘোষণা করে প্রচারণা বন্ধ করেন সে জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ বিষয়ে বিদ্রোহীদের মতে, তাদের ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে।
ঢাকার দুই সিটিতে প্রায় পৌনে দুইশ’ কাউন্সিলর প্রার্থী দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে লড়ছেন। এমন প্রার্থীদের নিয়ে বিপাকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। বিদ্রোহী প্রার্থীরা মাঠে থাকায় চিন্তিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। দুই সিটিতে আওয়ামী লীগের ১১২ এবং বিএনপি’র ৬৫ জন বিদ্রোহী প্রার্থী এখনো মাঠে রয়েছেন। এর মধ্যে উত্তর সিটিতে আওয়ামী লীগের ৪০ জন, দক্ষিণে ৭২ জন দলের সিদ্ধান্তের বাইরে প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। অন্যদিকে উত্তরে ২২ ওয়ার্ডে বিএনপির ৩৪ জন ও দক্ষিণে ২৪টি ওয়ার্ডে ৩১ জন বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। তাদের নির্বাচনী মাঠ থেকে সরিয়ে দিতে চেষ্টা চলছে দলীয়ভাবে। তবে দল তাদের সাড়া পাচ্ছে না। নানা কারণে তারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। তাদের কেউ দলীয় ম‚ল্যায়নে হতাশ হয়ে প্রার্থী হয়েছেন। আবার কেউ এলাকায় আধিপত্য কব্জায় রাখার জন্য কাউন্সিলর পদ পেতে চাইছেন। তাই এসব প্রার্থীরা নির্বাচনে মরিয়া হয়ে লড়বেন বলে গোয়েন্দা তথ্যে ধারণা করা হচ্ছে। এ কারণে আগে থেকে সতর্কতাম‚লক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে দুই সিটিতেই অন্তত ২৫টি ওয়ার্ডে নির্বাচন করছেন বিএনপির বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীরা। দল থেকে সমঝোতার চেষ্টা ও কঠোর হুঁশিয়ারির পরও প্রচারাভিযানের মাঠ থেকে সরেননি তারা। কোনো কোনো ওয়ার্ডে সমর্থনবঞ্চিত দলের সর্বোচ্চ তিনজন কাউন্সিলর প্রার্থীও প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে প্রচার কাজ অব্যাহত রেখেছেন। দলীয় সমর্থন পাওয়া প্রার্থীদের মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন তারা।
দুই দলের সংশ্লিষ্ট ও ইসি সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, দুই সিটির ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের অন্তত ৪২ জন স্বতন্ত্র বা বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ডিএনসিসির ১৪টি ওয়ার্ডে ১৭ জন এবং ডিএসসিসির ১৭টি ওয়ার্ডে ২৫ জন।
আবার কোনো কোনো ওয়ার্ডে একাধিক বিদ্রোহীও রয়েছেন। ডিএসসিসির ৩৬ ও ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডে তিনজন করে বিদ্রোহী প্রার্থী দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে ভোটের মাঠে রয়েছেন। সংরক্ষিত কয়েকটি নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদেও রয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী। প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর তারা প্রচারাভিযানেও রয়েছেন।
গত ৩ ও ৪ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বিক্ষুব্ধ প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন। এরপর দুই সিটির নির্বাচন পরিচালনা সমন্বয় কমিটির নেতারা আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের পৃথক বর্ধিত সভায় বিক্ষুব্ধ প্রার্থীদের মাঠ থেকে সরে দাঁড়াতে অনুরোধ জানান। দলের সিদ্ধান্ত না মানলে বহিষ্কার অথবা ভবিষ্যতে পদবঞ্চিত করার হুঁশিয়ারি দেন তারা। এরপর অনেকেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়। তবে অনেক জায়গায় প্রতিদ্ব›িদ্বতায় অনড় রয়ে যান আরও অনেকেই।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, দলীয় সমর্থনের বাইরে যারা কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন তাদের নৈতিক দায়িত্ব হলো নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো। তাদের যদি নির্বাচন করতেই হয়, তাহলে দলীয় পদ ছেড়ে দিতে হবে। আর দলীয় পদ রাখতে হলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। তা না হলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কিন্তু বিগত সময়ে আওয়ামী লীগে যারা বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচন করেছেন দল তাদের বিরুদ্ধে তেমন কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীরা দলের নির্দেশকে তেমন একটা তোয়াক্কা করছেন না। সমঝোতার চেষ্টা ও কঠোর হুঁশিয়ারির পরও ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের অন্তত ২৫টি ওয়ার্ডে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রচারাভিযানের মাঠে রয়েছেন। প্রতীক পেয়ে স্ব-স্ব ওয়ার্ডে প্রচারকাজও অব্যাহত রেখেছেন তারা। দলীয় বিদ্রোহীরা মুখোমুখি অবস্থান নেয়ায় বিপাকে দলীয় সমর্থন পাওয়া কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, ৯ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা পার করার আগেই বিদ্রোহীদের প্রতিদ্ব›িদ্বতা থেকে সরে যেতে বলা হয়। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে জানান শীর্ষ নেতৃত্ব। এমনকি আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। কিন্তু তারা মাঠ তো ছাড়েনইনি উল্টো প্রতীক পাওয়ার পর প্রচারাভিযানেও রয়েছেন।
এদিকে বিদ্রোহী প্রার্থী আর দলের সমর্থন পাওয়া প্রার্থীদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। এর ফলে তাদের মধ্যে চাপা অসন্তোষও বিরাজ করছে। এমন ক্ষোভ নিয়েই তাদের নির্বাচনী প্রচারে নামতে হচ্ছে।
ঢাকা দক্ষিণের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমরা একক প্রার্থী করার চেষ্টা এখনো চালিয়ে যাচ্ছি। সঠিকভাবে বলতে না পারলেও অনেক জায়গায় কাউন্সিলর পদে একাধিক নেতা আছেন। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে যাব। আশা করি, সফল হব। আর যদি না হয় তাহলে যেভাবে আছে সেভাবেই থাকবে। কারণ এখানে তো আমাদের প্রতীক নেই।
ঢাকা উত্তরের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, অনেক বেশি বিদ্রোহী প্রার্থী নেই। অল্প কিছু জায়গায় আমাদের একাধিক প্রার্থী আছেন। আশা করি, সমাধান হয়ে যাবে। সবাই দল সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন। দলটির নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, দুই সিটির অন্তত ২৫টি সাধারণ ওয়ার্ডেই বিদ্রোহী প্রার্থীরা ভোটের মাঠে রয়েছেন। উত্তর সিটিতে ১২ জন এবং দক্ষিণ সিটিতে ১৩ জন।
দুই সিটিতে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী যারা:
ডিএনসিসির ২ নম্বর ওয়ার্ডে ইসমাইল হোসেন বেনু, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক (বর্তমান কাউন্সিলর), ৪ নম্বরে মোফাজ্জল হোসেন, ৫ নম্বরে জুয়েল রানা; ৬ নম্বরে তাইজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পি; ৭ নম্বরে ইয়াকুব আলী ও কাজী স্বপন; ১১ নম্বরে অলিউর রহমান বাবুল ও মনসুর আলী; ১৩ নম্বরে ইসমাইল মোল্লা; ১৪ নম্বরে হুমায়ুন রশিদ জনি (বর্তমান কাউন্সিলর) এবং ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে আজিজুর রহমান স্বপন; ২০ নম্বর ওয়ার্ডে জাহিদুর রহমান দুলাল; ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে আতিকুর রহমান; ২৪ নম্বরে তালুকদার সারওয়ার; ২৫ নম্বরে আশরাফ উদ্দিন কাঞ্চন ও মোকসেদ আলী মোল্লা এবং ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে ইসমাইল চৌধুরী আজাদ, ৪৯ নম্বরে ঢাকা উত্তর সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান নাঈম বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন।
অন্যদিকে, ঢাকা দক্ষিণের ২ নম্বর ওয়ার্ডে জহিরুল ইসলাম ভূঞা ভুট্টু; ৮ নম্বরে ইসমাইল জবিউল্লাহ; ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ক্যাসিনোকান্ডে আলোচিত এ কে এম মোমিনুল হক সাঈদ (বর্তমান কাউন্সিলর); ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ম. ম. মামুন রশিদ শুভ্র ও শেখ সেকান্দার আলী; ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে সাইফুল ইসলাম রনি ও নুরুল আমিন পাটোয়ারী, ১৯ নম্বরের বর্তমান কাউন্সিলর মুন্সি কামরুজ্জামান কাজল, ৩৬ নম্বরে সমিন রায়, বাবুল দাস ও জাহাঙ্গীর ইসলাম, ৩৭ নম্বরে হাজী শাহাবুদ্দিন জনি, ৩৯ নম্বরে ময়নুল হক মনজু (বর্তমান কাউন্সিলর, চাঁদাবাজির অভিযোগে বর্তমানে গ্রেপ্তার ও কারাগারে)।
এ ছাড়া ৫৩ নম্বরে আসাদুজ্জামান মামুন, ৫৪ নম্বরে মনির হোসেন স্বপন; ৫৮ নম্বরে ফিরোজ আহমেদ, ৫৯ নম্বরে আওলাদ হোসেন ও খোরশেদ আলম; ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে সহিদুল ইসলাম; ৬৯ নম্বরে আতিকুর রহমান তোতা মিয়া, সালাউদ্দিন আহমেদ ও শহিদুল ইসলাম; ৭৩ নম্বরে আমিনুল ইসলাম চৌধুরী উজ্জল; ৭৪ নম্বরে আজিজুল হক মেম্বার এবং ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডে আতাউর রহমান।
ডিএনসিসির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্রোহী প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, দল থেকে বলা হয়েছিল যারা বিতর্কিত ও নানা অপকর্মে জড়িত তারা মনোনয়ন পাবে না। কিন্তু এই ওয়ার্ড একজন বিতর্কিত ব্যক্তি আবারও মনোনয়ন পেয়েছেন তাই স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নির্বাচন করছি আমি। আশা করি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবো।
ডিএসসিসির ১৯ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মুন্সি কামরুজ্জামান কাজল ইনকিলাবকে বলেন, আমার পরিবর্তে যাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে সে বিগত কয়েকটি নির্বাচনে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছে। এছাড়া এলাকার বাসিন্দাদের ঢাকাইয়া ও নন-ঢাকাইয়া বিভাজনে বিভক্ত করেছে। তাই এলাকার জনগণের দাবির কারণে আমি নির্বাচন করছি।
দুই সিটিতে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী যারা:
ঢাকা উত্তর সিটির ১২টি সাধারণ ওয়ার্ডে দলের সমর্থনবঞ্চিত কাউন্সিল প্রার্থী ভোটের মাঠে রয়েছেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে জামাল হাসান বাপ্পী; ৫ নম্বরে বুলবুল মল্লিক; ৬ নম্বর ওয়ার্ডে হাবিবুর রহমান ও মোহাম্মদ রিপন; ৭ নম্বরে গোলাম রাব্বানী; ১৬ নম্বরে সেলিম আহমেদ রাজু; ২৩ নম্বরে কামাল আহমেদ দুলু; ২৫ নম্বরে এসএম হাসেম; ৩০ নম্বরে আবুল হাসেম; ৩১ নম্বরে হাসিনা মোর্শেদ কাকলী ও ফরিদউদ্দিন ফরহাদ; ৩৮ নম্বরে আলী হোসেন; ৪০ নম্বরে আতাউর রহমান; ৪৩ নম্বরে রেজাউল করিম, ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে হেলাল তালুকদার, ৪৮ নম্বরে আনোয়ার হোসেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৭৫টি সাধারণ ওয়ার্ডের ১৩টিতেই ভোটের মাঠে রয়েছেন বিএনপির সমর্থন না পাওয়া বিদ্রোহী প্রার্থীরা। বিদ্রোহী প্রাথীরা হলেন ১০ নম্বর ওয়ার্ডে আনোয়ার হোসেন লিপু; ১৩ নম্বরে নজরুল ইসলাম জুয়েল; ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে আবু নাছের লিটন; ৩৭ নম্বরে সুমন ভূঁইয়া; ৩৯ নম্বরে মোজাম্মেল হক মুক্তা; ৪৬ নম্বরে মো. সোহেল ও ঢালী মামুনুর রশীদ; ৫০ নম্বরে আনোয়ার হোসেন স্বাধীন; ৫১ নম্বরে কবির আহম্মেদ; ৫২ নম্বরে বাদল রানা; ৫৫ নম্বরে শহিদুল হক; ৫৯ নম্বরে খোরশেদ আলম খোকন; ৬০ নম্বর ওয়ার্ডে আনোয়ার হোসেন মজুমদার ও হাসান জাহাঙ্গীর, ৬১ নম্বরে শাহ আলম এবং ৬৬ নম্বরে নুরুদ্দিন মিয়া।
দক্ষিণ সিটির ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে অবশ্য প্রার্থিতা সব প্রার্থীর জন্য উন্মুক্ত রেখেছিল বিএনপি। ফলে এই ওয়ার্ডে ওসমান গণি শাহজাহান ও মাসুদ খান রাজেশ প্রার্থী রয়েছেন। এছাড়া ২৫ নম্বর ও ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত কোনো প্রার্থী নেই। এর মধ্যে ২৫ নম্বরে হাজি আলতাফ হোসেন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেয়ায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হয়েছেন। আর ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত মোস্তাফিজুর রহমান ফয়েজের মনোনয়ন বাতিল হওয়া আর প্রতিদ্ব›দ্বী না থাকায় এই ওয়ার্ডেও বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী।
আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা সিটিতে ভোট হবে। দুই সিটিতে মেয়র ছাড়াও ১২৯টি সাধারণ ও ৪৩টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড মিলিয়ে মোট ১৭২ জন নির্বাচিত হবেন। এর মধ্যে ডিএনসিসিতে ৫৪টি সাধারণ ও ১৮টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড আর ডিএসসিসিতে ৭৫টি সাধারণ ও ২৫টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।