পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দুই মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম এবং ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস অবিরাম নৌকার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদিনই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রচারণা চালাচ্ছেন। এছাড়া বাদ বাকি সময়ও নির্বাচনী কাজে ব্যয় করছেন। খাওয়া, ঘুম যেন হারিয়ে গেছে গত কয়েকদিনে। প্রার্থীদের সাথে সাথে প্রচারণায় যুক্ত থাকা আওয়ামী লীগের নেতাদেরও একই অবস্থা। বক্তব্য দিতে দিতে গলা ভেঙে গেছে অনেকের, এরপরও থেমে নেই তারা।
গতকাল রাজধানীর আরামবাগ এলাকায় এক নির্বাচনী গণসংযোগ চালিয়েছেন তাপস। তাপসের শৈশব কেটেছিল আরামবাগে। সেখানে একটি বাড়ির সামনে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন তাপস। এক বৃদ্ধ মহিলা তার মাথায় হাত বুলিয়ে দেন ও দোয়া করেন। আর কল্যাণপুরে গণসংযোগ করেছেন আতিক।
পথসভায় ব্যারিস্টার তাপস নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমাকে সময় দিন, আমি আপনাদেরকে আগামী ৫ বছর সময় দেবো। এছাড়া সিটি নির্বাচন পেছানো প্রসঙ্গে ডিএসসিসির এ মেয়র প্রার্থী বলেন, নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে আমরা সাধুবাদ জানাই। শিক্ষার্থীদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তিনি বলেন, এসএসসি পরীক্ষার সূচি যদি পরিবর্তন করতেই হয় তাহলে আরো আগে করলে সেটা আরো ভালো হতো। এখন সূচি পেছানোয় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় একটু ব্যাঘাত ঘটবে। এছাড়া আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে যে প্রচারণা চালাচ্ছি এতেও শিক্ষার্থীদের একটু সমস্যা হচ্ছে। নির্বাচনের তারিখ না পিছিয়ে যদি এগিয়ে আনা হতো তাহলে শিক্ষার্থীদের এই সমস্যায় পড়তে হতো না।
তিনি বলেন, সিটি নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়েছে। সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনের প্রচারণা চালাচ্ছে। আমরা ঢাকাবাসী মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি একটি সুষ্ঠু, প্রতিদ্ব›িদ্বতামূলক, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। পথসভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারাসহ আরামবাগ, মতিঝিল, পুরানা পল্টন এলাকার স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নৌকা দেবে উন্নয়ন, নৌকা দেবে শান্তি
এদিকে কল্যাণপুরে প্রচারণার সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও নৌকার ব্যাকগ্রাউন্ড লাগে না, নৌকার ব্যাকগ্রাউন্ড নৌকার গিয়ার একটিই, সেটা হচ্ছে উন্নয়নের গিয়ার, নৌকার জোয়ার। নৌকায় যদি ভোট দেন, তাহলে অবশ্যই নৌকা দেবে উন্নয়ন, নৌকা দেবে শান্তি, নৌকা দেবে শৃঙ্খলা, নৌকা দেবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঘোষণা।
তিনি বলেন, আমি গত ৯ মাস দায়িত্ব পালন করেছিলাম। তখন ডিজিটাল সিটি বিনির্মাণের জন্য অনেক কিছু করেছি। অনেক কাজ দেখাতে পারিনি। আসলে ৯ মাসে কাজের ভিজিবিলিটি হয় না। তবে এই ৯ মাসের পরিকল্পনার মধ্যে ছিল কমান্ড সেন্টার। ইতোমধ্যে কমান্ড সেন্টার তৈরি করেছি। এই কমান্ড সেন্টারের মাধ্যমে ঢাকার কোথায় ময়লা পড়ে রয়েছে, পরিচ্ছন্নকর্মীরা কোথা থেকে ময়লা নেয়নি, কমান্ড সেন্টারের মাধ্যমে সে খবর চলে আসবে।
তিনি ঢাকাকে নারীবান্ধব করার ঘোষণা দিয়ে বলেন, নারীবান্ধব শহর গড়তে সিসি ক্যামেরা লাগাবো। সিসি ক্যামেরার টোটাল নেটওয়ার্কটা আমাদের ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কমান্ড সেন্টারের মাধ্যমে চলে আসবে। আলোকিত ঢাকা নির্মাণে ৪২ হাজার লাইট লাগানো হবে ঢাকা শহরে। এই লাইট লাগানোর জন্য কন্ট্রোল প্যানেলও কমান্ড সেন্টারের মাধ্যমে চলে আসবে। নিরাপদ, পরিষ্কার ও আলোকিত ঢাকা গড়তে ইতিমধ্যে আমরা কমান্ড সেন্টারের কাজ শুরু করেছি। আগামী এক বছরের মধ্যে সব চলে আসবে কমান্ডার সেন্টারের অধীনে।
আতিকুল বলেন, যদি শক্ত নেটওয়ার্কিং গঠন করতে পারি, তাহলে আমরা অ্যাপসের মাধ্যমে সবই জানতে পারবো এবং প্রত্যেকেই মেয়র হিসেবে ভূমিকা পালন করতে পারবেন। দুর্নীতিমুক্ত সিটি করপোরেশন গড়ার অঙ্গীকার করে তিনি বলেন, সরাসরি কেউ যদি ট্যাক্স দিতে যায়, তাহলে অসাধু কিছু কর্মকর্তার সাথে নেগোসিয়েশন হয়। এই ফ্ল্যাটের ট্যাক্স এতো ওই ফ্ল্যাটের ট্যাক্স এতো টাকা। এগুলো আর চলবে না। চলতে দেয়া হবে না। অনলাইনের মাধ্যমে সবাই বাড়ির ট্যাক্স দেবেন, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে আর যেতে হবে না। এ ধরনের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে এ বন্দোবস্ত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই জবাবদিহিতা। আমি এবং আমার কাউন্সিলররা যদি জয়লাভ করতে পারি তাহলে এরকমভাবে প্রত্যেক মাসে বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে জবাবদিহিতামূলক টাউন হল মিটিং করবো এবং জনগণের কাছে জবাবদিহিতার মুখোমুখি হবো। আপনারা আমাদের প্রশ্ন করবেন কোন অফিসার খারাপ আচরণ করেছে, কোন কাউন্সিলর খারাপ আচরণ করেছে, মেয়রও যদি খারাপ আচরণ করে বলতে পারবেন।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।