প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
জনপ্রিয় চিত্রনায়ক, প্রযোজক ও বিশিষ্ট শিল্পপতি অনন্ত জলিল হিরো আলমকে তার নতুন সিনেমায় সুযোগ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। নানা কারণে বিতর্কিত হওয়া সত্ত্বেও তাকে চলচ্চিত্রে একটি সম্মানজনক অবস্থান সৃষ্টি করে দেয়ার মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এ সুযোগ দিয়েছিলেন। পঞ্চাশ হাজার টাকা সাইনিং মানি দিয়ে চূড়ান্তও করেছিলেন। এরপর থেকে চলচ্চিত্রাঙ্গণের বিশিষ্টজনরা বিতর্কিত হিরো আলমকে নিয়ে সিনেমা না করার জন্য তাকে পরামর্শ দেন। তারপরও তিনি তাকে নিয়ে সিনেমা করার সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। তবে বিশিষ্টজনদের পরামর্শ শুনে তিনি যখন ব্যক্তিগতভাবে খোঁজ-খবর নেন, তখন তিনি হিরো আলমের বিতর্কিত নানা কর্মকা-ের কথা জানতে পারেন। তার ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে কর্মজীবনের এসব বিতর্কিত কর্মকা- জেনে তিনি ব্যথিত হন এবং সিদ্ধান্ত নেন, তাকে নিয়ে সিনেমা করবেন না। বিষয়টি তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেন। এ ব্যাপারে অনন্তর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি চেয়েছিলাম, যেহেতু একটি ছেলে চলচ্চিত্রে প্রতিষ্ঠিত হতে চায়, তাই আমার সিনেমার মাধ্যমে যদি তা হয়, তবে ক্ষতি কি! চেয়েছিলাম হিরো হওয়ার জন্য যে ধরনের বৈশিষ্ট্যের প্রয়োজন হয়, তা না থাকলেও তাকে অন্যভাবে উপস্থাপন করে একটি শক্ত অবস্থান গড়ে দিতে। যখন তাকে চুক্তি করলাম, তখন চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বিশিষ্টজনরা আমাকে তার নেতিবাচক দিক তুলে ধরে তাকে না নেয়ার পরামর্শ দেন। তাদের পরামর্শ ছিল, ছেলেটি ইতোমধ্যে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সংগঠন এবং নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করে অসম্মানজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। চলচ্চিত্রের এর আগে কেউ এ ধরনের কর্মকা-ে লিপ্ত হয়নি। অনন্ত বলেন, শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের সঙ্গে সে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিল। আমি আন্তরিকতা এবং মানবিকতার কারণে তাদের মধ্যকার এ বিবাদ মিটিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেই এবং মিটিয়ে দেই। তারপরও সে বিভিন্ন সময়ে বিরূপ মন্তব্য করা অব্যাহত রাখে। এতে আমি যে উদ্যোগ নিয়েছিলাম, সে তার কোনো মূল্যই দেয়নি। এ থেকে বুঝতে পারি, কেউ নেতিবাচক চরিত্র বজায় রাখলে তা সংশোধন করা কঠিন। কয়লা ধুইলেও ময়লা যায় না। অথচ আমি তাকে আন্তরিকভাবেই সহযোগিতা করতে চেয়েছিলাম। অনন্ত বলেন, একজন মানুষকে তার অবস্থান বুঝে কথা বলা উচিৎ। চলচ্চিত্র এবং এ সংশ্লিষ্ট মানুষদের নিয়ে কথা বলার আগে এ সম্পর্কে ভালোভাবে জানা দরকার। গ্রুমিংয়ের প্রয়োজন হয়। কখন কি কথা কিভাবে বলতে হবে, তা জানা ও শেখা প্রয়োজন। আমি তাকে এই সুযোগই দিতে চেয়েছিলাম। দুঃখের বিষয়, সে তার বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী নানা মন্তব্য করে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অনেকের বিরাগভাজন হয়েছে। তিনি বলেন, হিরো আলমের পক্ষে বোঝা সম্ভব হয়নি, আমার অবস্থান এবং আমি কী ধরনের সিনেমা নির্মাণ করি। এখন হয়তো সে তার বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী আরও নেতিবাচক মন্তব্য করতে পারে। এতে আমার কিছু যায় আসে না। কারণ, ভাল-মন্দ বোঝার মতো শিষ্টাচার এবং জ্ঞান-বুদ্ধি তার কতটুকু তা বোধ করি সবাই জেনে গেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।