মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাজ্যে হুয়াওয়ের ৫-জি পণ্য নিষিদ্ধ করার ‘তীব্র প্রতিবাদ’ জানিয়েছে চীন। বুধবার চীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনীতিক চাপে নেয়া এই সিদ্ধান্তের ফলে ব্রিটেন বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়বে।
২০২৭ সালের মধ্যে নাসসেন্ট ৫ জি নেটওয়ার্ক থেকে হুয়াওয়ের সরঞ্জামগুলো সরিয়ে ফেলতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেয়ার কয়েক ঘন্টা পরেই ট্রাম্প এই সিদ্ধান্তের জন্য কৃতিত্বের দাবি করেন। তিনি বলেন, যে দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ব্যবসা করতে চায়, তাদের উচিত হুয়াওয়েকে নিষিদ্ধ করা। তবে চীন, যাদের ১৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি ব্রিটেনের থেকে পাঁচগুণ বেশি, তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে যে, এই সিদ্ধান্ত ব্রিটেনে বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্থ করবে। কারণ, চীনা কোম্পানিগুলো লন্ডনে তাদের জাতীয় ও শীর্ষ টেলিকমস প্রতিষ্ঠানকে অপমানিত হতে দেখছে।
এ বিষয়ে সেন্টার ফর ইউরোপীয়ান রিফর্মে চীনা রাষ্ট্রদূত লিউ জিয়াওমিং বলেন, ‘এখন আমি এটিকে শুধুমাত্র হতাশাজনক বলব না, এটি হৃদয়বিদারক।’ ব্রিটেন তাদের সংস্থাটিকে স্রেফ ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আপনি হুয়াওয়ের সাথে যে আচরণ করছেন তা অন্যান্য চীনা ব্যবসায়ীরা খুব নিবিড়ভাবে অনুসরণ করছে এবং বিনিয়োগের জন্য অন্য দেশের ব্যবসায়ীদের আস্থা অর্জন করাও খুব কঠিন হয়ে যাবে।’
প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতে ব্রিটিশ সরকার ঘোষণা দিয়েছিল, দেশের ৫জি বাজার শেয়ারের ৩৫ শতাংশ হুয়াওয়ের অধীনে থাকবে এবং মূল নেটওয়ার্কের প্রধান অংশে হুয়াওয়ের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করবে না। তবে যুক্তরাজ্যের এমন সিদ্ধান্তে নাখোশ হয় ওয়াশিংটন। মিত্র যুক্তরাজ্যের কাছে ট্রাম্প প্রশাসনের চাওয়া ছিল হুয়াওয়ে নিষিদ্ধ করা। মঙ্গলবার বিকেলে ব্রিটিশ ডিজিটাল মন্ত্রী অলিভার ডাউডেন পার্লামেন্ট বলেন, চলতি বছরের শেষ (৩১ ডিসেম্বর) থেকেই টেলিকম অপারেটররা আর হুয়াওয়ের কাছ থেকে যন্ত্রাংশ কিনতে পারবে না। এছাড়া হুয়াওয়ের যন্ত্রাংশ যুক্তরাজ্যের ৫জি নেটওয়ার্ক থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে সরাতে হবে বলে জানান তিনি।
তার এমন বক্তব্যের পর এর প্রতিক্রিয়ায় চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও কঠোর ভাষা ব্যবহার করে। মুখপাত্র হুয়া চুনিয়াং বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ নিয়ে তাদের সহযোগিতা করার অজুহাতে ভিত্তিহীন ঝুঁকির পথ বেছে নিয়েছে যুক্তরাজ্য। এর মাধ্যমে যুক্তরাজ্য তাদের দেয়া প্রাসঙ্গিক প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করেছে।’
বুধবার ব্রিটিশ সরকারের ওই ঘোষণার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবশ্য বলেন, ‘আমরা অনেক অনেক দেশকে দেশকে বিষয়টি বুঝিয়েছি। বেশিরভাগ কাজটা আমি নিজে করেছি; কারণ আমরা মনে করি, এটি (হুয়াওয়ে) আমাদের সবার জন্য একটি অনিরাপদ নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেছে।’ সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।