Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাশ্মীরিদের সংগ্রামে সমর্থন অব্যাহত থাকবে : পাকিস্তান

জঙ্গি গোষ্ঠী সম্পর্কে ব্রিটিশ গণমাধ্যমের খবর প্রত্যাখ্যান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ জুলাই, ২০২০, ১২:০১ এএম

কাশ্মীরে শহীদ দিবস উপলক্ষে সেখানকার অধিবাসীদের প্রতি আবারো দৃঢ় সমর্থন ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে,কাশ্মিরী জনগণ ভারতের বলদর্পী নীতির বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে তার প্রতি ইসলামাবাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে। কাশ্মীরের ৭৯তম শহীদ দিবস উপলক্ষে পাকিস্তান এ বিবৃতি দিয়েছে। ১৯৩১ সালের ১৩ জুলাই ডোগরা শিখ শাসকের বাহিনীর গুলিতে অন্তত ২২ জন মুসলমান শহীদ হন। এ কারণে কাশ্মীরে প্রতি বছর ১৩ জুলাই শহীদ দিবস হিসেবে পালিত হয়। পাকিস্তানের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, কাশ্মীরিদের ওপর ভারতীয় বাহিনীর হামলা এবং হত্যা-নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে যা নিন্দনীয়। ইসলামাবাদ সেখানকার জনগণকে রক্ষায় এগিয়ে আসতে আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহŸান জানিয়েছে। বিবৃতিতে বিশ্বসমাজের উদ্দেশে বলা হয়েছে, কাশ্মীরের মজলুম মানুষদের জীবন রক্ষায় সবাই এগিয়ে আসুন। ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরে বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের চেয়ে আরও কঠোর করেছে। ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বছরের পর বছর ধরে হাজার হাজার ভারতীয় সেনা মোতায়েন রয়েছে। গত তিন দশকে সেখানে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। কাশ্মীরের জনগণ সেখানে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ইশতেহার বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আসছে। নিরাপত্তা পরিষদের ইশতেহারে গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মীর অঞ্চলের ভবিষ্যত নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ভারত সরকার জাতিসংঘের ইশতেহার বাস্তবায়ন করতে অসম্মতি জানিয়ে আসছে। এ কারণে ভারত সরকার এখন পর্যন্ত সেখানে গণভোট আয়োজন করেনি। অপর এক খবরে বলা হয়, পাকিস্তানে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর ব্যাংক একাউন্ট খুলে দেয়া হয়েছে বলে ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলোতে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামাবাদ। পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আয়েশা ফারুকি মঙ্গলবার ইসলামাবাদে এক বক্তৃতায় ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলোর খবর প্রত্যাখ্যান করে বলেন, পাকিস্তান সরকার নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর ব্যাংক একাউন্টের পাশাপাশি তাদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে। তিনি দাবি করেন, এমনকি জাতিসংঘের সন্ত্রাসী তালিকা থেকে যেসব জঙ্গির নাম বাদ দেয়া হয়েছে তাদের ব্যাপারেও ইসলামাবাদের নীতিতে পরিবর্তন আসেনি এবং তারা তাদের ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করতে পারছে না। পাকিস্তান সরকার ২০১৮ সালে ‘এফএটিএফ’ভুক্ত দেশগুলোর অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর এই আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়েছে। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিদের পাশাপাশি নিষিদ্ধ ঘোষিত সব জঙ্গি গোষ্ঠীর ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করেছে। কোনো দেশ এফএটিএফ’ভুক্ত দেশ হতে পারলে তার পক্ষে বিদেশি পুঁজি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার কাজ সহজ হয়। এ ছাড়া, এই আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কালো তালিকাভুক্ত দেশগুলো নানা ধরনের আর্থিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত খবরের সত্যতা প্রমাণিত হলে এফএটিএফ পাকিস্তানকে তার কালো তালিকায় ফেলে দিতে পারে। ডন, পার্সটুডে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কাশ্মীর


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ