মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
খারাপ আবহাওয়ার কারণে আমিরাতের মঙ্গল অভিযান কয়েকদিনের জন্য পিছিয়ে গেলো। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাত শুক্রবার মঙ্গলগ্রহে অভিযান চালাতে তাদের প্রথম স্যাটেলাইট পাঠাবে জানান গেছে। যে অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘হোপ মিশন।’
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আমিরাতের মতো ক্ষুদ্র উপসাগরীয় দেশের জন্য এ হবে অভাবনীয় সাফল্য। আর এর পেছনের রূপকার এক নারী। যার নাম সারাহ বিনতে ইউসিফ আল আমিরি।
‘হোপ মিশনের’ বৈজ্ঞানিক দলের প্রধান সারাহ। একইসঙ্গে দেশটির অ্যাডভান্সড সায়েন্স বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী। নবীন এই বিজ্ঞানী ইতিমধ্যে আরব বিশ্বের নারীদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন।
১৯৮৭ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সারাহর জন্ম। বয়স মাত্র ৩২। কিন্তু মহাকাশে যাওয়ার স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলেন একেবারে ছোটবেলা থেকে।
তিনি বলেন, “আমার স্বপ্ন ছিল মহাকাশ থেকে আমি পৃথিবীকে দেখবো। কিন্তু আপনাকে সব সময় শুনতে হতো এটা অসম্ভব। বিশেষ করে আপনি যদি এমন একটা দেশে থাকেন, যে দেশটা একেবারেই নতুন।”
সারাহ আল-আমিরি পড়াশোনা করেছেন কম্পিউটার সায়েন্সে, আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব শারজাহতে। তার বরাবরই আগ্রহ ছিল এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার। কিন্তু তখন আমিরাতের কোন মহাকাশ কর্মসূচিই ছিল না।
পড়াশোনা শেষে তিনি যোগ দেন এমিরেটস ইনস্টিটিউশন ফর অ্যাডভান্সড সায়েন্স এন্ড টেকনোলজিতে। সেখানে তিনি কাজ করেছেন দুবাইস্যাট-১ এবং দুবাইস্যাট-২ প্রকল্পে। ইউএই’র পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন এরপর। ২০১৬ সালে তাকে এমিরেটস সায়েন্স কাউন্সিলের প্রধান করা হয়। সব মিলিয়ে শুরু থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মঙ্গল অভিযানের সঙ্গে জড়িত তিনি।
সারাহ আল-আমিরি এখন তার স্বপ্ন পূরণের অপেক্ষায় ক্ষণ গুনছেন। তিনি বলেন, “আমি খুবই নার্ভাস বোধ করছি। এই অভিযানের জন্য আমরা সাড়ে ছয় বছর ধরে কাজ করেছি। মহাকাশের যে বিশালত্ব, এটিকে জানা এবং বোঝা যেরকম জটিল, সেটা আমাকে মোহিত করেছিল। এই মহাকাশযান নিয়ে আমরা পরীক্ষার পর পরীক্ষা চালিয়েছি, যাতে সব ধরনের পরিস্থিতিতে এটা টিকে থাকে। আমাদের এসব কাজের ফসল এখন একটি লঞ্চপ্যাডে একটি রকেটের ওপর বসে আছে। এটি যাবে এমন এক গ্রহে, যে গ্রহটি আমাদের কাছ থেকে মিলিয়ন মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে।”
আমিরাতের স্যাটেলাইটটির ওজন ১ দশমিক ৩ টন। জাপানের দুর্গম তানেগাশিমা মহাকাশ বন্দর থেকে রকেটের মাধ্যমে এটি উৎক্ষেপণ করা হবে।
এটি বুধবার উৎক্ষেপণ করার কথা ছিল। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় এখন উৎক্ষেপণের সময় শুক্রবার পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।