পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাছে ক্ষতিকর রাসায়নিক মিশিয়ে বিক্রির অপরাধে সাত বছরের কারাদন্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ) বিল-২০২০’ সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।
গতকাল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বিলটি উত্থাপন করেন। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, সামরিক শাসনামলে প্রণীত এ বিষয়ে ১৯৮৩ সালের আইনটি রহিত করে বাংলায় নতুন আইন প্রণয়নের জন্য বিলটি উত্থাপন করা হয়েছে। বিলে নিরাপদ মাছের উৎপাদন নিশ্চিত করতে মৎস্য খামারিদের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা এবং মৎস্য পণ্যে ভেজাল দিলে বা খামারে নিষিদ্ধ ওষুধ ব্যবহার করলে দুই বছরের কারাদন্ড ও সর্বোচ্চ ৮ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
বিলে মৎস্যের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে সকল প্রকার কোমল ও কঠিন অস্থি বিশিষ্ট মৎস্য, সাধু ও লবণাক্ত পানির চিংড়ি, উভচর জলজপ্রাণী, কচ্ছপ, কুমির, কাঁকড়া জাতীয় প্রাণি, শামুক, ঝিনুক, ব্যাঙ এবং এসব জলজপ্রাণীর জীবন্ত কোষকে মৎস্য হিসেবে গণ্য করা হবে। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের ক্রেতাদের পণ্যের গুণগত ও প্রক্রিয়াগত মানসম্পর্কিত চাহিদা, রফতানিযোগ্য পণ্যের বহুমুখীতা এবং আন্তর্জাতিক বাজারের বিস্তৃতি ও প্রতিযোগিতা ইত্যাদি মোকাবেলায় বিদ্যমান অধ্যাদেশের সীমাবদ্ধতা পরিলক্ষিত হয়।
প্রস্তাবিত আইনে মৎস্য ও মৎস্যপণ্যে ভেজাল, অপদ্রব্যের মিশ্রণ ও অনুপ্রবেশ করানো এবং ক্ষতিকারক রাসায়নিক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিলটি পাস হলে মৎস্য ও মৎস্যপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় তাজা মাছ প্রক্রিয়া করতে হবে। পঁচা, দূষিত, ভেজাল ও অপদ্রব্য মিশ্রিত মৎস্য ও মৎস্যপণ্য বাজারজাত করা যাবে না। আইন অমান্য করলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পরিদর্শক বা পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা কোনো ব্যক্তিকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রশাসনিক জরিমানা করতে পারবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।