বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফতুল্লার ভোলাইল গেদ্দার বাজার এলাকায় বাবার ছুরিকাঘাতে ছেলে সোহাগ খুন হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন সোহাগের মা মনোয়ারা বেগম। দুজনকে কুপিয়ে জখম করার পর হারেজ নিজের পেটেও ছুরি দিয়ে আঘাতের পর আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। হারেজ পেশায় একজন রিকশাচালক।
এলাকাবাসী জানায়, পারিবারিক কলহরে জের ধরে মাদকাসক্ত রিকশাচালক হারেজ গত রাত ২টায় এ ঘটনা ঘটায়। আহত অবস্থায় এদের উদ্ধার করে এলাকাবাসী নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার ছেলে সোহাগকে (১৫) মৃত ঘোষণা করেন। মুমূর্ষ অবস্থায় মনোয়ারা ও ঘাতক হারেজকে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, ময়মনসিংহের ত্রিশালের রিকশাচালক হারেস মিয়া পরিবার নিয়ে ফতুল্লার পশ্চিম ভোলাইল শাহ আলমের টিনের ঘরে ভাড়া থাকেন। তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম স্থানীয় একটি মিনি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। এছাড়া ছেলে সোহাগ স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন আর মেয়ে বিথী আক্তার (১২) ভোলাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী।
হারেস তার স্ত্রীকে পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ করতেন। এ নিয়ে প্রায় সময় তাদের সংসারে ঝগড়া করতো। গত মঙ্গলবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে রাত ২টার দিকে হারেস মিয়ার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে তার স্ত্রীকে আঘাত করেন। পরে মাকে বাঁচাতে যায় ছেলে সোহাগ। তখন হারেস তার ছেলে সোহাগকেও ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেন। পরে হারেস নিজের পেটে নিজেই ছুরিকাঘাত করেন।
এ সময় আরেক ঘরে থাকা মেয়ে বিথী ঘুম থেকে উঠে এসব দেখে চিৎকার করলে লোকজন এসে সোহাগসহ হারেস ও মনোয়ারা বেগমকে নারায়ণগঞ্জ শহরের জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সোহাগকে মৃত ঘোষণা করেন এবং স্বামী-স্ত্রীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ঢাকা তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মারা যাওয়া সোহাগের লাশ উদ্ধার করে ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।
ওসি তদন্ত সাহাদাত হোসেন জানান, হারেজ ও তার স্ত্রী মনোয়ারার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সেখানে পুলিশ প্রহরা রয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান ও ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আসলাম হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।