পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
তুরস্কের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ‘আটমাকা’ সর্বশেষ পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র শিগগিরই তুর্কি প্রতিরক্ষা বাহিনীর অস্ত্র ভান্ডারে যুক্ত হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষা শিল্পের (এসএসবি) প্রধান ইসমাইল দেমির। এক টুইট বার্তায় দেমির বলেন, ‘আটমাকা’ এবারের পরীক্ষায় ২০০ কিলোমিটারের বেশি দ‚রের একটি লক্ষ্যে সফলভাবে আঘাত করেছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি শীঘ্রই তুর্কি সামরিক বাহিনীর অস্ত্র ভান্ডারে যুক্ত হবে। দ‚রপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রটি টার্গেটে নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম। এটি নৌ বাহিনীকে অত্যাধুনিক সেবা দেয়ার জন্য প্রস্তুত এবং ভ‚মি থেকে ভ‚মিতে নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের প্রতীক হিসেবে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এই অ্যান্টি শিপ মিসাইলটি ২০০৯ সালে প্রথম তৈরির ঘোষণা দেয়া হয় এবং ২০১৮ সালের নভেম্বরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়। ২০১৮ সালে এসএসবি ও রকেস্টান এর মধ্যে মিসাইলটি ব্যাপক আকারে উৎপাদনের বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ‘আটমাকা’ মিসাইলটি যে কোন আবহাওয়ায় ব্যবহার যোগ্য, এটি স্থির বা চলমান টার্গেটের বিরুদ্ধেও কার্যকর। অপরদিকে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের কাতার সফর উপলক্ষে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী মুহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল থানি তার তুরস্কের সাথে কৌশলগত সম্পর্ক নিয়ে ব্যাপক প্রশংসা করেছেন। শুক্রবার এক টুইট বার্তায় বিন আব্দুলরহমান বলেন, কাতার ও তুরস্কের কৌশলগত সম্পর্ক দিনকে দিন উন্নত হচ্ছে। অর্থনৈতিক, বিনিয়োগ, ব্যবসায়িক, জ্বালানি এবং প্রতিরক্ষা খাতে বিশেষ উন্নতি লাভ করেছে। এতে আমাদের উভয় দেশের স্বার্থ রক্ষা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান কাতার সফরে যান দেশটির আমির তামিম বিন হামাদ আল থানির সাথে বিশেষ সাক্ষাতের জন্য। এরদোগানের সাথে তুরস্কের অর্থমন্ত্রী বেরাত আলবায়রাক, জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হুলুসি আকার, যোগাযোগ বিষয়ক পরিচালক ফাহরেত্তিন আলতুন, প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালান এবং তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হাকান ফিদান প্রমুখ সফরসঙ্গী ছিলেন। এরদোগানের সফর নিয়ে কাতারের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী লোলওয়াহ আল খাতার বলেন, দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গভীরতা নিশ্চিত করতেই তিনি এ সফরে এসেছিলেন। আল-জাজিরা টেলিভিশন দেয়া এক সাক্ষাতকারে আল খাতর বলেন, দোহা ও আঙ্কারার মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে দারুণ মিল রয়েছে। তিনি বলেন, উভয় দেশ লিবিয়ার ঐকমত্যের সরকারকে সমর্থন করে এবং স্কিরাত চুক্তির ভিত্তিতে লিবিয়ার রাজনৈতিক সমাধানকে সমর্থন করে। লিবিয়ার আন্তর্জাতিক সমর্থনপ্রাপ্ত সরকারের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে জেনারেল হাফতার আক্রমণ চালিয়ে আসছে। যার ফলে এক হাজারের অধিক মানুষ এই সহিংসতার মারা গেছেন। ডেইলি সাবাহ, ইয়েনি শাফাক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।