নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে দেশের প্রায় সব ডিসিপ্লিনের ক্রীড়াবিদরা যেখানে ঘরবন্দী, সেখানে জাতীয় দলের শ্যুটাররা ঝামেলা এড়াতে ধর্না দিচ্ছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অফিসে! অখ্যাত কোন এক আবদুল কাদেরের পাঠানো উড়ো চিঠির কারণেই রোববার চার শ্যুটারকে এনবিআর অফিসে গিয়ে সাক্ষ্য দিতে হয়েছে। এরা হলেন- দেশসেরা শ্যুটার আব্দুল্লাহ হেল বাকি, অর্নব শারার লাদিফ, রাব্বি হাসান মুন্না ও রিসালাতুল ইসলাম। অভিযোগ রয়েছে শ্যুটারদের এই ঝামেলায় পড়ার পেছনে বাংলাদেশ শ্যুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনের শীর্ষ এক কর্মকর্তার হাত রয়েছে। জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে ফেডারেশনের মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ অপুকে হেয় করার উদ্দেশ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি অপুকে জড়িয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে তাদের রিপোর্টে পেশ করে। যেখানে গুলি ও অস্ত্র ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যাপারে মহাসচিবের যোগসাজশ দেখানো হয়েছে। এই রিপোর্টের ব্যাপারে ইন্তেখাবুল হামিদ অপু বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার আদর্শ ধারণ করি ও সর্বোচ্চ চর্চা করি। তদন্ত কমিটির কাজে আমি সর্বোচ্চ সহায়তা করেছি। তদন্ত কমিটিকে আমি একটি প্রতিবেদন দিয়েছি। আমার প্রতিবেদনের মূল বিষয়গুলোও সবাইকে জানানো উচিত। সেগুলো না জানিয়ে শুধু উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে কয়েকজন ব্যক্তি স্বার্থ রক্ষার্থে ১০টি পয়েন্টের পর্যবেক্ষণ ফলাও করে প্রচার করছেন। যেটা সম্পূর্ণ অর্থে ব্যক্তি স্বার্থ হাছিলের জন্য এবং শ্যুটিংয়ের স্বার্থ পরিপন্থী। ’
তবে শ্যুটিংবোদ্ধাদের ধারণা, আগামী নির্বাচনে মহাসচিব পদে ইন্তেখাবুল হামিদ অপু যেন না দাড়াতে পারেন, সে জন্যই এ রকম চক্রান্ত করা হয়েছে। মহাসচিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে একটি সিন্ডিকেট। যে সিন্ডিকেটে রয়েছেন ফেডারেশনেরই প্রভাবশালী কর্মকর্তা ও তিন সাবেক শ্যুটার। যাদের মধ্যে একজন কোচও আছেন। অভিযোগে জানা যায়, বিকেএসপির কোচ আসবাব আলী ফয়েজ ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি করে আসছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। দুর্নীত দমন কমিশন (দুদক) ফয়েজের দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধান করেছে। দুদকের মামলার ভিত্তিতে ফয়েজ কয়েকদিন জেল খেটে বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় ও অপকর্ম ঢাকতে এই সিন্ডিকেট জোট করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ খেলা শ্যুটিংকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে।
২০১৭ সালে রাইফেল তৈরীর প্রতিষ্ঠান ওয়ালথার থেকে পাওয়া ৮টি রাইফেল জার্মান থেকে দেশে নিয়ে এসেছিলেন শ্যুটাররা। অথচ তিন বছর পর এক উড়ো চিঠির কারণে এনবিআরে সাক্ষ্য দিতে যেতে বাধ্য হয়েছেন শ্যুটাররা। এ নিয়ে চরম বিরক্ত শ্যুটার অর্নব শারার লাদিফ। তিনি বলেন, ‘কি বলবো আর। এখন এনবিআরে যাচ্ছি। মূলত ডেনমার্কের কোচ ক্লাভস ক্রিস্টেনসেনের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় ওয়ালথার কোম্পানী আমাদের আটটি রাইফেল উপহার দেয়। যা আমরাই নিয়ে এসেছি। বিমান বন্দরে আমাদের রাইফেল দেখেছেন কর্মকর্তারা। তারা কিছুই বলেননি। আমরাও জানতাম না যে, এয়ার রাইফেলের জন্য ট্যাক্স দিতে হয়। অথচ আজ আমাদের বলা হচ্ছে চোরাকারবারি। এটা একটি সুস্থ মানুষ কিভাবে বলতে পারে? আমরাতো দেশের তারকা ক্রীড়াবিদ। চার ফুট লম্বা ১২ কেজি ওজনের রাইফেল তো আর পকেটে পুরে আনা যায় না। উল্টো হ্যান্ডলিং চার্জ দিয়েছি। বিভিন্ন ট্রানজিট ঘুরেও এসেছি। অথচ কেউ কিছু বলেনি। আর এখন দেশের মাটিতে আমাদের ট্যাক্স দিতে হবে। দিতে হলে দিব। কিন্তু চোরাকারবারি কেন বলা হল। আমি ইয়ুথ অলিম্পিকে কোটা প্লেস করেছি এই রাইফেল দিয়ে খেলেই। দেশের জন্য এই সম্মানটা চোরাকারবারির মধ্যে পড়ে গেল না? এটা খুবই হতাশাজনক আমাদের জন্য।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।