স্কটল্যান্ডের এবারডিন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন ক্লেওন। তার মা-বাবা থাকেন গ্রিসের মেলিসিয়া শহরে। মার্চে
লকডাউন শুরু হয় ব্রিটেনে। সেখানে আটকে যান ক্লেওন।
লকডাউন শুরু থেকেই বাড়ি ফিরতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ট্রেন, বাস না চলায় বাড়ি ফেরার ইচ্ছে থাকলেও কোনো উপায়ই ছিল না। ক্লেওন আটকে পড়েন স্কটল্যান্ডেই। তারপর তার ইচ্ছেরই জয় হয়। তিনি ঠিক করেন
লকডাউনের নিয়ম মেনেই বাড়ি ফিরতে হবে।
লকডাউনে সাইকেল চালানোয় কোনো বিধিনিষেধ ছিল না। তাই দু-চাকার যানটিকেই সঙ্গী বানিয়ে নেন ক্লিওন।
স্কটল্যান্ড থেকে গ্রিস যাবেন সাইকেলের প্যাডেল চেপেই! দূরত্ব ৩,২১৮ কিলোমিটার। তিন-চার শ’ মাইল হলেও বিষয়টা স্বাভাবিক ছিল, কিন্তু এই পথের বাড়ি আসার পথটাই যে এটা, তাই বাধ্য হয়ে পিঠে ৩০ কেজি ওজনের ব্যাগ নিয়ে রওনা দেন ক্লেওন পাপাডিমিত্রিউ।
সাইকেলে পাড়ি দেয়ার আগে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস ব্যাগে নেন ক্লেওন। রাস্তায় খাওয়ার জন্য পিনাট বাটার, পাঁউরুটি, সার্ডিন মাছ। পথে প্রয়োজন হতে পারে এমন আরো টুকটাক অনেক কিছু। সঙ্গে নেন থাকার জন্য একটা তাঁবু।
ক্লেওনের যাত্রা শুরু হয় ১০ মে। হল্যান্ড চলে আসেন নৌকায়। এরপর দু’চাকায় চেপে পার হন জার্মানি, অস্ট্রিয়া, ইতালি। ইতালি পৌঁছে ফের নৌকায় চড়ে চলে যান গ্রিসের পাত্রানসে। সেখান থেকে ফের সাইকেল। এভাবেই তার সাত সপ্তাহ কেটে যায়। আর একটা সময়ে পৌঁছেও যান নিজের শহর মেলিসিয়ায়।