পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
(পূর্ব প্রকাশিতর পর)
বিশ্বনবী বিদায় হজ্বের ভাষণে বললেন: ‘চরণে দলিনু অন্ধ যুগের বংশ অহঙ্কার’। তিনি ঘোষণা দিলেন ‘লাইসা লিল আরাবিয়্যি ফাদলুন আলাল আজামীয়্যি, ওয়ালা লিল আজামিয়্যি ফাদলুন আলাল আরাবিয়্যি, কুল্লকুম আবনাউ আদামা ওয়া আদামু মিন তুরাব।’ ‘অনারবদের ওপর আরবদের এবং আরবদের ওপর অনারবদের কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই, তোমরা সকলেই এক আদমের সন্তান এবং আদমের সৃষ্টি মাটি থেকে।’
‘ধূলায় রচিত আদম তনয় গর্ব কিসের তার।
নহে আশরাফ আছে যার শুধু বংশের পরিচয়
সেই আশরাফ জীবন যাহার পুণ্য কর্মময়।’
কেন বংশগত বৈষম্য? সবাইতো এক আদমের সন্তান। সাদা হোক, কালো হোক, লাল হোক, হলুদ হোক, আর্য হোক, অনার্য হোক, আরব হোক, অনারব হোক সকলের উৎস এক, মূল এক।
কেন দেশগত বৈষম্য? ‘লাহু মুলকুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ।’ ‘লিল্লাহি মা ফিস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ।’ আলমে নাসুত, আলমে মালাকুত, আলমে জাবারুত- এই চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র, নীহারিকাপুঞ্জময় মহাকাশ, ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য লোক, অতিন্দ্রীয় লোক, এই সাগর, পাহাড়, মরুবিয়াবান, শস্য, শ্যামলার বৈচিত্র্যে ভরপুর এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়ায় বিভক্ত, ধনে ধান্যে পুষ্পে ভরা, আমাদের এই বসুন্ধরা এবং সব মিলে যে মহাজগৎ- মহাবিশ্ব এর একচ্ছত্র ও নিরঙ্কুশ মালিক তো একমাত্র আল্লাহ।
কোনো ভাষাকে কেন তুচ্ছ ভাবা? সব ভাষাইতো ওই মহাপ্রভূরই দান, ওই মহামহিমেরই নিদর্শন।
‘ওয়ামিন আয়াতিহী খালকাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি ওয়াখতিলা ফি আলসিনাতিকুম ওয়া আলওয়ানিকুম।’
‘খালাকাল ইনসানা আল্লামাহুল বায়ান।’ বাংলা, ইংরেজি, আরবি, উর্দু, ফার্সি, হিব্রæ, লাতিন, ফ্রেঞ্চ, জার্মান সকলই আল্লাহর দেয়া। তাই ভাষা হিসাবে একের ওপর অন্যের প্রাধান্য দাবি করা এককে অপরের ওপর মর্যাদাবান মনে করার কোনো মৌলিক ভিত্তি নেই।
বিশ্ব শান্তির জন্য মানুষে মানুষে সাম্য চাই, মৈত্রীর বন্ধন চাই, সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে বৃহত্তর ঐক্য চাই। আর এক্ষেত্রেও বিশ্বনবীর অবদান যে অপরিমেয়, ইতিহাস তার সাক্ষী। তার প্রতিষ্ঠিত সমাজ ছিল এক মহাসাম্যের সমাজ। আচারে-আচরণে, ইবাদতে-বন্দেগীতে, বিচারে-ইনসাফে কোনো কিছুতেই বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়নি। মহানবী (সা.) সবাইকে নিয়ে এসেছেন একই সমতলে। ইসলামের বিভিন্ন ইবাদতের মধ্য দিয়েও দেওয়া হয়েছে সাম্য-ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যের তালিম। সামাজিক অবস্থান যাই হোক না কেন, সবার জন্য একই রূপ সিয়াম সাধনা। সবাই একই ইমামের পেছনে একই কাতারে। একজন দীনমজুর শ্রমিক আগে আসলে দাঁড়াবে সামনের সারিতেই আর রাষ্ট্রনায়ক, সম্রাট, রাজা-বাদশা, আল্লামা, মনীষী, যিনিই হোন না কেন পরে আসলে ওই শ্রমিকের পেছনের সারিতে দাঁড়াবে।
‘একহি সফমে খাড়ে হোগ্যায়ে মাহমুদ ও আয়ায
নাহ কুই বান্দা রাহা আওর না কুই বান্দা নেওয়ায।’
হজ্বের আনুষ্ঠানিকতাসমূহের মধ্য দিয়ে সাম্যের কী অপূর্ব দৃশ্যই না ফুটে ওঠে। এক কাবাকে কেন্দ্র করে সব বর্ণ, ভাষা, মর্যাদার মানুষ করছে তাওয়াফ, একই সাথে একই নিয়মে করে যাচ্ছে সাফা-মারওয়ার সায়ী। আর আরাফাতের দৃশ্যের তো কোনো তুলনাই হয় না। ঊর্ধ্বে একই নীল আকাশ, পদতলে একই বালু কঙ্করময় ময়দান, সাদা-কালো, পীত-হলুদ-লাল সব রঙের মানুষের দুনিয়ার সকল ভাষার লোক, বাদশা-ফকির দুনিয়ার সব পদ মর্যাদার লোকদের পরিধানের একই ধরনের সেলাইবিহীন শ্বেত-শুভ্র বসন, সবার কণ্ঠে ‘লাব্বায়েক, আল্লাহুম্মা লাব্বায়েক’। ‘প্রভূ হে তোমার বান্দা হাজির তোমার দরবারে...’। এই বিশ্ব-সম্মেলনের এমন নজির যদি বিশ্বময় প্রতিষ্ঠা করা যায়, তবে এই পৃথিবীও হতে পারে শান্তির পৃথিবী।
প্রিয় নবী (সা.)-এর শিক্ষা হচ্ছে, মানুষ হিসেবে সকলে সমান, কর্মের মাধ্যমেই নিরূপিত হবে তার মর্যাদা। এক সময়ের কাফ্রী, ক্রীতদাস কৃষ্ণাঙ্গ বেলাল মসজিদে নববীর সম্মানীত মুয়াজ্জিন, এককালীন ক্রীতদাস যায়েদ যুদ্ধের সেনাপতি, তার পুত্র উসামা ইবনে যায়েদ আরেক অভিযানের সমরনায়ক। আল্লাহর দেয়া পানিতে, বায়ুতে, সূর্য রশ্মিতে, চাঁদের আলোকে যেমন সবার অধিকার বিশ্বনবী (সা.) প্রচারিত আদর্শ ও দ্বীনেও সব কিছুতে তেমন দেয়া হয়েছে সবাইকেই সমান সুযোগ, সমঅধিকার। এ জন্যই ইসলাম সাম্যের ধর্ম, শান্তির ধর্ম, নিরাপত্তার ধর্ম, ঐক্যের ধর্ম, সমঅধিকারের ধর্ম, সার্বজনীন বিশ্বধর্ম।
বিশ্বনবী (সা.) কর্তৃক প্রদত্ত ‘মদীনা সনদ’ দুনিয়ার প্রথম লিখিত শাসনতন্ত্র হিসেবে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্বীকৃত। এই সনদকে লীগ অব নেশনস, জাতিসংঘ, আটলান্টিক সনদ, ডিকলারেশন অব হিউম্যান রাইটস-এর প্রেরণা বলেও আখ্যায়িত করা হয়। আমরা সুবিখ্যাত সীরাত গ্রন্থ ‘বিশ্বনবী’ থেকে সনদটির সারকথা তুলে ধরছি: ‘মদীনার ইহুদী, নাসারা, পৌত্তলিক এবং মুসলিম সকলেই এক দেশবাসী। সকলেরই নাগরিক অধিকার সমান। ইহুদী, নাসারা, পৌত্তলিক এবং মুসলমান সকলেই নিজ নিজ ধর্ম পালন করিবে। কেহই কাহারও ধর্মে হস্তক্ষেপ করিতে পারিবে না। কেহই হযরত মুহাম্মদের বিনা অনুমতিতে কাহারও সহিত যুদ্ধ করিবে না। নিজেদের মধ্যে কোনো বিরোধ উপস্থিত হইলে আল্লাহ ও রাসূলের মীমাংসার উপর সকলকে নির্ভর করিতে হইবে। বাহিরের কোনো শত্রু র সহিত কোনো সম্প্রদায় গুপ্ত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হইবে না। মদীনা নগরীকে পবিত্র মনে করিবে এবং যাহাতে ইহা কোনরূপ বহিশত্রু র দ্বারা আক্রান্ত না হয় সেই দিকে লক্ষ রাখিবে। যদি কোনো শত্রু কখনও মদীনা আক্রমণ করে তবে তিন সম্প্রদায় নিজেদের ব্যয়ভার নিজেরা বহন করিবে। নিজেদের মধ্যে কেহ বিদ্রোহী হইলে তাহার সমুচিত শাস্তি বিধান করা হইবে। সে যদি আপন পুত্র হয়, তবুও তাহাকে ক্ষমা করা হইবে না। এই সনদ যে বা যাহারা ভঙ্গ করিবে, তাহারা বা তাহাদের উপর আল্লাহর অভিসম্পাত।’
মহানবী (সা.) সত্যের বাণী প্রচার করেছেন, সত্য গ্রহণের জন্য আহবান জানিয়েছেন, কিন্তু সত্য গ্রহণের জন্য কাউকে বাধ্য করেননি, কারো ওপর জোর জবরদস্তি করেননি। পবিত্র কোরআন বলছে- ধর্মগ্রহণের ব্যাপারে নেই কোনো জবরদস্তি। তোমার ধর্ম তোমার, আমার ধর্ম আমার। ইসলামের নীতি হলো প্রচার করে যাওয়া, যার ইচ্ছা মানবে, যার ইচ্ছা মানবে না। এটাই ডেমোক্রেসি বা গণতন্ত্রেরও মূলনীতি। মেরে কেটে, নগর-জনপদ ধ্বংস-বিধ্বস্ত করে কোনো মতবাদ-নীতিবাদ অন্যের ওপর চাপিয়ে দেয়া ইসলাম সমর্থন করে না। এটা ফ্যাসিবাদ, ইসলাম এর ঘোর বিরোধী।
শান্তির মহান দূত প্রিয় নবী (সা.) ইসলামের মহাশত্রু র সঙ্গেও কোনো দিন দুর্ব্যবহার করেননি, কাফির-মুশরিকদের প্রতিও সদ্ব্যবহার করেছেন। তাদের আঘাতে আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছেন, রক্তাক্ত হয়েছেন, সে অবস্থায়ও তাদের অভিশাপ দেননি। ওহুদের যুদ্ধে যখন প্রিয় নবী (সা.)-এর ডানপাশের ৪নং দাঁতটি শহীদ হয়ে গেল এবং তার চেহারা মোবারক ক্ষত-বিক্ষত হয়ে গেল, সাহাবায়ে কেরাম তখন অত্যন্ত ব্যথিত হয়ে বললেন, ইয়া, রাসূলাল্লাহ আপনি তাদের বদদোয়া করুন। দয়াল নবী উত্তরে বললেন, আমি বদদোয়া-অভিশাপ দেয়ার জন্য প্রেরিত হইনি, আমি এসেছি আহবানকারী হিসেবে। শান্তি ও কল্যাণের প্রতিভূ হিসেবে। ঐ শত্রু দের জন্য এই বলে দোয়া করলেন, প্রভূ হে, তুমি আমার সম্প্রদায়কে সৎপথ প্রদর্শন করো, তারা জানে না, বোঝে না। (শিফা)
প্রিয় নবী (সা.) ইহুদী-খ্রিস্টানদের সাথে অমায়িক ব্যবহার করেছেন। তাদের সাথে শান্তি চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছেন। নজরানের খ্রিস্টান প্রতিনিধিরা তাঁর সাথে আলোচনার জন্য যখন মদীনায়ে তাইয়্যেবায় আগমন করল, তখন তিনি তাদের অভ্যর্থনা জানালেন। আলোচনা চালালেন, তাদের প্রার্থনার সময় হলে মসজিদে নববীতে তাদের প্রার্থনা করার জন্য জায়গা করে দিলেন।
ইসলাম পৌত্তলিকতার, মূর্তিপূজার ঘোর বিরোধী হওয়া সত্তে¡ও নিষেধ করা হয়েছে তাদের দেব-দেবীদের গালি-গালাজ করতে। পবিত্র কোরআনে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, ‘অলা তাসুব্বুল্লাজিনা ইয়াদউনা মিন দুনিল্লাহি, ফাইয়াসুব্বুল্লাহা আদওআম বিগাইরি ইলমিন।’ ‘তারা আল্লাহ তায়ালার বদলে যাদের ডাকে, তাদের তোমরা কখনো গালি-গালাজ করোনা, নইলে অজ্ঞতার বশবর্তী হয়ে না জেনে আল্লাহ তায়ালাকেও তারা গালি-গালাজ করবে।’ (আনআম : ১০৮)
সূরা মায়েদার ৮ম আয়াতে আল্লাহ পাক বলেছেন, ‘অলা ইয়াজরি মান্নাকুম শানাআনু কাউমিন আলা-আল্লা-তা’দিলু, ই’দিলু।’ ‘(মনে রাখবে বিশেষ) কোন সম্প্রদায়ের দুশমনী যেন তোমাদের এমনভাবে প্ররোচিত না করে যে, তোমরা ন্যায় ও ইনসাফ থেকে সরে আসবে; তোমরা ইনসাফ করো।’
দেশের মধ্যে কোনো প্রকারে যেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট না হয়, যেন সৃষ্টি না হয় অশান্তির আবহাওয়া সে জন্য পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘ইয়া আইয়্যুহাল্লাজীনা আমান লা-ইয়াসখার কাইমুন মিন কাউমিন’। ‘হে ঈমানদারগণ তোমাদের মধ্যকার কোন সম্প্রদায় যেন অন্যকোন সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্রুপ না করে।’ (হুজুরাত : ১১)
বিশ্ব শান্তির মহোত্তম আদর্শ বিশ্বনবী (সা.) এই নীতি ও আদর্শ বাস্তবায়িত করে সর্বকালের মানবমন্ডলীর জন্য দিয়ে গেছেন পথের দিশা।
মহান আল্লাহ বিশ্বজগতের স্রষ্টা ও প্রতিপালক। মানবগণ তাঁর থেকেই এসেছে এবং প্রত্যাবর্তন করতে হবে তারই কাছে। জবাবদিহি করতে হবে তারই হুজুরে সকল কৃত কর্মের। তাই সবাইকে আদায় করতে হবে আল্লাহর হক। তেমনি মানুষ স্রষ্টার সেরা সৃষ্টি, স্বয়ং আল্লাহর প্রতিনিধি। আর সমগ্র সৃষ্টি হচ্ছে আল্লাহর পরিবার। আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে আল্লাহর এই মহাপরিবারের প্রতি রয়েছে মানুষের কর্তব্য। যেমন আল্লাহর হক রয়েছে তেমনি রয়েছে বান্দার হক। এই উভয় হক যিনি পালন করেন তিনিই হচ্ছেন সত্যিকার মানুষ। এই উভয় হক যথাযথভাবে পালন করার উপর নির্ভর করে ইহ ও পরকালের সাফল্য। নির্ভর করে সত্যিকার শান্তি। প্রিয় নবী (সা.) একদিকে যেমন আল্লাহর হক সম্পর্কে সচেতন করেছেন, পথ নির্দেশ দিয়েছেন অপরদিকে তেমনি বান্দার হক আদায়ের ব্যাপারেও আরোপ করেছেন সীমাহীন গুরুত্ব। পিতা-মাতার হক, স্বামী-স্ত্রীর হক, ভাই-বোনের হক, পুত্র-কন্যার হক, প্রতিবেশীর হক, ইয়াতীম মিসকীন, অনাথ অসহায়ের হক ইত্যাদি প্রত্যেকের হক সম্পর্কে অবহিত করে গেছেন। সতর্ক করে গেছেন ও সকলের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। প্রকৃত শান্তি, বিশ্বশান্তি নির্ভর করে এ সকল হক আদায় ও প্রতিষ্ঠার ওপর। বিশ্বনবী (সা.) মানব জাতির মহান শিক্ষক হিসেবে বাস্তব ক্ষেত্রে তা প্রয়োগ করে, প্রতিষ্ঠা করে সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ রেখে গেছেন বিশ্ববাসীর জন্য। তাই তো তিনি বিশ্বশান্তি ও কল্যাণের সর্বোত্তম আদর্শ। যদিও মুসলিমরা বহুক্ষেত্রে আজ বিশ্বনবীর আদর্শ থেকে সরে গেছে, তবুও বর্ণবিদ্বেষ, শ্রেণি বিদ্বেষ থেকে তারা এখনো মুক্ত। অন্যদিকে বিশ্বজুড়ে মানুষ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষ সাধন করেছে। চন্দ্র বিজয় করেছে, গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে পাড়ি দিতে চলছে তবু এ পৃথিবীতে জ্বলছে দাউ দাউ করে অশান্তির দাবানল।
তবু-
‘এখানে এখনো নিপীড়িত লাখো দুর্গতদের সারি
এখানে এখনো বঞ্চিত ভূখা মানুষের আহাজারি
এখানে এখনো বিধবা, এতীম শিশুর আর্তনাদ
এখানে এখনো জুলুমের আর শোষণের শত ফাঁদ
আকাশ বাতাস বিষবাষ্প ও বারুদ গন্ধ ভরা
মহাপ্রলয়ের দ্বারদেশে আজ হাজির বসুন্ধরা
চাই না প্রলয়, ধ্বংসযজ্ঞ হানাহানি আর রণ
বিশ্ব শান্তি কায়েমে নবীর আদর্শ প্রয়োজন।’
(সমাপ্ত)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।