মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নেপাল দাবি করেছে, ভারত সীমান্ত নিয়ে তাদের সাথে আলোচনায় বসতে অস্বীকার করেছে এবং চীনের সাথে নেপালের কোনও সীমানা বিরোধ নেই। গত শুক্রবার ভারত ও চীনের সাথে সীমান্ত ভাগ করে নেয়া দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ জ্ঞাওয়ালির বরাত দিয়ে একাধিক সংবাদমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হয়। জ্ঞাওয়ালি ত্রৈদেশিক সীমান্ত বিরোধের বিষয়ে দু’টি মতামত ব্যক্ত করেছেন, যা নেপালি ও ভারতীয় উভয় গণমাধ্যমেই আলোচিত হয়েছে। প্রথমটি, ভারত আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিলেও নেপাল তা প্রত্যাখ্যান করেছে এবং চীন ভারতের চেয়ে বেশি নেপালি ভ‚খÐ দখলে নিয়েছে। ক্ষমতাসীন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির-এনসিপি’র চলমান স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এক বক্তব্যে জ্ঞাওয়ালি বলেছেন যে, নেপাল থেকে বারবার অনুরোধ করা সত্তে¡ও সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তি করতে ভারত নেপালের সাথে আলোচনায় বসার প্রস্তাবে অনিচ্ছুক। দ্বিতীয়টি হল, চীনের সাথে নেপালের কোনও সীমানা বিরোধ নেই এবং যদি এ জাতীয় কোনও বিরোধ দেখা দেয় তবে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।
নভেম্বরে ভারত যখন কালাপানিকে তার ভ‚খÐের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে একটি নতুন রাজনৈতিক মানচিত্র প্রকাশ করে, নেপাল কমপক্ষে ৩টি ক‚টনৈতিক বার্তা প্রেরণ করে ভারতকে আলোচনায় বসতে অনুরোধ জানায়। ভারত কোনও জবাব দেয়নি। মে’র গোড়ার দিকে ভারত লিপুলেখের মাধ্যমে একটি লিংক রোড খোলার পর নেপাল আবারও আলোচনার আহŸান করে। ভারত করোনা মহামারীর দোহাই দিয়ে তা প্রত্যখ্যান করে। পরে নেপাল ভারতের সাথে বিতর্কিত সমস্ত অঞ্চলকে একত্রিত করে একটি নতুন রাজনৈতিক মানচিত্র প্রকাশ করে। জ্ঞাওয়ালি বলেন, ‘আমরা নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারী ও মে’তে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলাম কিন্তু ভারত তাদের প্রত্যাখ্যান করে বলেছে যে, তারা কোভিড নিয়ে ব্যস্ত এবং উভয় দেশ মহামারীটি কাটিয়ে উঠলে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করা যেতে পারে’।
প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নারায়ণ কাজি শ্রেষ্ঠ বলেছেন যে, নেপালের চীনের সাথে লিপুলেখের বিষয়ে কথা বলা উচিত। তিনি বলেন, ‘ভারত লিপুলেখকে বিতর্কিত মনে করে, তবে ভারত ও চীন উভয়ই লিপুলেখ হয়ে বাণিজ্য পথ উন্নয়ন করতে সম্মত হয়েছে। লিপুলেখ একটি ত্রি-জংশন কিন্তু ভারত এবং চীন উভয়ই এই সত্যটি ভুলে গেছে, তাই আমাদের উভয় পক্ষের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ করতে হবে এবং চীনের সাথেও কথা বলা উচিত।’
শ্রেষ্ঠ আরো বলেছেন, ‘সরকারি পর্যায়ে আলোচনা করা সম্ভব না হলে, নেপালের উচিত দিল্লির সাথে বিকল্প যোগাযোগ মাধ্যম খোলা এবং ভারতের পদক্ষেপের কারণে ভারতীয় জনগণের নজরে আনার চেষ্টা করা উচিত যে, জনসাধারণের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং দু’দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি রোধ করার লক্ষ্যে নেপাল মানচিত্রটি প্রকাশ করেছে।’ নেপালের সরকার দলীয় কিছু সদস্য এমনকি নেপাল-ভারত সীমানাটিতে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার দাবি করেছেন। দেশটি ইতিমধ্যেই সীমান্তে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীকে নিয়োজিত করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।