Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীনের সাথে বিরোধ নেই : নেপাল

সীমান্ত আলোচনা নাকচ ভারতের

কাঠমান্ডু পোস্ট | প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০২০, ১২:০১ এএম | আপডেট : ১২:১৬ এএম, ৩ জুলাই, ২০২০

নেপাল দাবি করেছে, ভারত সীমান্ত নিয়ে তাদের সাথে আলোচনায় বসতে অস্বীকার করেছে এবং চীনের সাথে নেপালের কোনও সীমানা বিরোধ নেই। গত শুক্রবার ভারত ও চীনের সাথে সীমান্ত ভাগ করে নেয়া দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ জ্ঞাওয়ালির বরাত দিয়ে একাধিক সংবাদমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হয়। জ্ঞাওয়ালি ত্রৈদেশিক সীমান্ত বিরোধের বিষয়ে দু’টি মতামত ব্যক্ত করেছেন, যা নেপালি ও ভারতীয় উভয় গণমাধ্যমেই আলোচিত হয়েছে। প্রথমটি, ভারত আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিলেও নেপাল তা প্রত্যাখ্যান করেছে এবং চীন ভারতের চেয়ে বেশি নেপালি ভ‚খÐ দখলে নিয়েছে। ক্ষমতাসীন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির-এনসিপি’র চলমান স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এক বক্তব্যে জ্ঞাওয়ালি বলেছেন যে, নেপাল থেকে বারবার অনুরোধ করা সত্তে¡ও সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তি করতে ভারত নেপালের সাথে আলোচনায় বসার প্রস্তাবে অনিচ্ছুক। দ্বিতীয়টি হল, চীনের সাথে নেপালের কোনও সীমানা বিরোধ নেই এবং যদি এ জাতীয় কোনও বিরোধ দেখা দেয় তবে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।

নভেম্বরে ভারত যখন কালাপানিকে তার ভ‚খÐের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে একটি নতুন রাজনৈতিক মানচিত্র প্রকাশ করে, নেপাল কমপক্ষে ৩টি ক‚টনৈতিক বার্তা প্রেরণ করে ভারতকে আলোচনায় বসতে অনুরোধ জানায়। ভারত কোনও জবাব দেয়নি। মে’র গোড়ার দিকে ভারত লিপুলেখের মাধ্যমে একটি লিংক রোড খোলার পর নেপাল আবারও আলোচনার আহŸান করে। ভারত করোনা মহামারীর দোহাই দিয়ে তা প্রত্যখ্যান করে। পরে নেপাল ভারতের সাথে বিতর্কিত সমস্ত অঞ্চলকে একত্রিত করে একটি নতুন রাজনৈতিক মানচিত্র প্রকাশ করে। জ্ঞাওয়ালি বলেন, ‘আমরা নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারী ও মে’তে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলাম কিন্তু ভারত তাদের প্রত্যাখ্যান করে বলেছে যে, তারা কোভিড নিয়ে ব্যস্ত এবং উভয় দেশ মহামারীটি কাটিয়ে উঠলে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করা যেতে পারে’।

প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নারায়ণ কাজি শ্রেষ্ঠ বলেছেন যে, নেপালের চীনের সাথে লিপুলেখের বিষয়ে কথা বলা উচিত। তিনি বলেন, ‘ভারত লিপুলেখকে বিতর্কিত মনে করে, তবে ভারত ও চীন উভয়ই লিপুলেখ হয়ে বাণিজ্য পথ উন্নয়ন করতে সম্মত হয়েছে। লিপুলেখ একটি ত্রি-জংশন কিন্তু ভারত এবং চীন উভয়ই এই সত্যটি ভুলে গেছে, তাই আমাদের উভয় পক্ষের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ করতে হবে এবং চীনের সাথেও কথা বলা উচিত।’

শ্রেষ্ঠ আরো বলেছেন, ‘সরকারি পর্যায়ে আলোচনা করা সম্ভব না হলে, নেপালের উচিত দিল্লির সাথে বিকল্প যোগাযোগ মাধ্যম খোলা এবং ভারতের পদক্ষেপের কারণে ভারতীয় জনগণের নজরে আনার চেষ্টা করা উচিত যে, জনসাধারণের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং দু’দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি রোধ করার লক্ষ্যে নেপাল মানচিত্রটি প্রকাশ করেছে।’ নেপালের সরকার দলীয় কিছু সদস্য এমনকি নেপাল-ভারত সীমানাটিতে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার দাবি করেছেন। দেশটি ইতিমধ্যেই সীমান্তে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীকে নিয়োজিত করেছে।

 

 



 

Show all comments
  • Arif Hossain ৩ জুলাই, ২০২০, ১:২১ এএম says : 0
    বাংলাদেশের জণগণ ভারত বিরোধী হওয়ার আরো একটি প্রধান কারন বিভিন্ন নদ নদীর ন্যায্য পানির হিস্যা না পাওয়া।
    Total Reply(0) Reply
  • mithun gupta ৩ জুলাই, ২০২০, ১:২২ এএম says : 0
    আমার মনে হচ্ছে যুদ্ধ হবে না। কারণ বর্তমানের এ পরিস্থিতিতে যুদ্ধ ঘোষণা যে দেশই করবে তার পক্ষে বিশ্ববাসীর সমর্থন কখনোই থাকবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Salman Mirza ৩ জুলাই, ২০২০, ১:২৩ এএম says : 0
    ভারতের এই আগ্রাসন করোনাভাইরাসের চেয়েও মারাত্মক।
    Total Reply(0) Reply
  • বারেক হোসাইন আপন ৩ জুলাই, ২০২০, ১:২৩ এএম says : 0
    I think the time is close 7 sisters will be with Bangladesh.well be enjoy together the official language will be Bengali or Bangla. Language is the most powerful part in human life, its easy to make unity -just a matter of time,
    Total Reply(0) Reply
  • sumon ৩ জুলাই, ২০২০, ১:২৩ এএম says : 1
    India helped us in 1971. But now that India is not same like today’s India. Narendra Modi isn’t not like Srimoti Indira Gandhi. So we are grateful to Indira Gandhi and her India. We have no obligation to Modi and his India. His India isn’t not that India the works knew. But we will help Indian people if they need shelter when war starts.
    Total Reply(0) Reply
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৩ জুলাই, ২০২০, ১:২৪ এএম says : 0
    ভারত হচ্ছে এমন একটি দেশ যার সাথে কোন প্রতিবেশী দেশেরই ভাল সম্পর্ক নেই। ভারত বাংলাদেশকে একটি করদ রাজ্য বানিয়ে ফেলেছে। শত্রুর শত্রু বন্ধু সেই অর্থে দুরের চীনই বাংলাদেশের বন্ধু হতে পারে।
    Total Reply(0) Reply
  • কামাল রাহী ৩ জুলাই, ২০২০, ১:২৫ এএম says : 0
    ভারত আমাদের প্রতিবেশী হিসাবে একটি স্বার্থপর রাস্ট্র। সীমান্ত এলাকায় তারা আমাদের নাগরীকদেরকে র্নিবিচারে হত্যা করে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ