Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অ্যাপ বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে ভারতের প্রতি আহ্বান চীনের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০২০, ৫:২৩ পিএম

লাদাখে বিতর্কিত সীমান্তে সংঘর্ষের জেরে গত মঙ্গলবার ৫৯টি চীনা মোবাইল অ্যাপস নিষিদ্ধ করে ভারত। এর প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, চীনা সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ ভারত সংশোধন করবে বলে আশা করছে তারা।

চীনের বাণিজ্য ও মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গাও ফেং এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘চীন ভারতীয় পণ্য ও সেবার বিরুদ্ধে কোনও বিধিনিষেধমূলক বা বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।’ চীনের বিরুদ্ধে ভারতের নেয়া পদক্ষেপগুলো বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বিধি লঙ্ঘন করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

লাদাখে হিমালয় অঞ্চলের সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে মারাত্মক সংঘর্ষের পরে জাতীয় সুরক্ষা এবং গোপনীয়তার উদ্বেগের বরাত দিয়ে জনপ্রিয় মোবাইল অ্যাপ টিকটক এবং উইচ্যাটসহ ৫৯ টি চীনা মোবাইল অ্যাপস নিষিদ্ধ করেছিল।

ভারতে আনুমানিক ১২ কোটি মানুষ টিকটক ব্যবহার করতো। ভারতের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অ্যাপ্লিকেশনগুলো ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা, প্রতিরক্ষা, রাষ্ট্রের সুরক্ষা এবং জনসাধারণের শৃঙ্খলা রক্ষামূলক কার্যক্রমের সাথে জড়িত রয়েছে। ভারত সরকার কিছু নির্দিষ্ট অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে...এই সিদ্ধান্তটি ভারতীয় সাইবার স্পেসের সুরক্ষা এবং সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নেয়া একটি পদক্ষেপ।’ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ব্যবহারকারীদের ডেটা চুরি করা এবং ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একাধিক অভিযোগ আসার পরে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়।

বুধবার ভারতের সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেও চীনের ওয়েইবো প্ল্যাটফর্মে নিজের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে এই প্রচারণায় অংশ নেন। ওয়েইবো জানিয়েছে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধে মোদির গত পাঁচ বছরের ছবি এবং ১১৫ টি পোস্ট মুছে ফেলা হয়েছে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ চীনের বিরুদ্ধে ভারতের এই পদক্ষেপকে ‘ডিজিটাল স্ট্রাইক’ বলে উল্লেখ করেছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেশবাসীর তথ্য নিরাপত্তার স্বার্থেই চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছি আমরা। এটা একটা ডিজিটাল স্ট্রাইক।’ এর পরই তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ভারত শান্তির পক্ষে। কিন্তু কেউ যদি আমাদের চোখ রাঙায়, তা হলে তার উপযুক্ত জবাব দেব।’ সূত্র: ডন, টাইমস নাউ।

 



 

Show all comments
  • আবু আব্দুল্লাহ ২ জুলাই, ২০২০, ৬:২৪ পিএম says : 0
    তার মানে চীন ও বসে থাকবেনা আশা করি চীন ও বাংলাদেশ দেশ যৌথ ভাবে হিন্দুদের প্রোগ্রাম নিষিদ্ধ
    Total Reply(0) Reply
  • abul kalam ২ জুলাই, ২০২০, ৭:১৩ পিএম says : 0
    ভারতীয় পণ্য চারমাস ধরে আমি বর্জন করেছি, চীনও করবে- সব মুসলিমের ভারতকে বর্জন করা উচিত, তা হলে ভারত ভিক্ষাও পাবেনা, গোবর- গো-মুত্র ফুরিয়ে যাবে-
    Total Reply(0) Reply
  • Dr Manik Lal Das ৩ জুলাই, ২০২০, ৮:২৬ এএম says : 0
    দুটি সর্ববৃহৎ বিশ্বশক্তির মধ্যে ফলপ্রসু আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধান প্রত্যাশা করি। না হলে আমাদের মতো ছোট ছোট দেশ অস্তিত্ব সংকটে পড়ে যাবে। জিনিসপত্রের দাম ৫-১০ গুন বেড়ে যাবে। আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটতে পারে। চীন ভারতের শান্তিপূর্ণ অবস্থান চাই।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ