বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিএনজি অটোরিকশা চালকদের আচরণে কেউ খুশি নয়। রাজধানী ঢাকায় যাত্রী পরিবহণ করে জীবিকা নির্বাহ করলেও আচরণে তারা রাজা-বাদশার মতো। ভাড়া বেশি তো নেনই; তারপর যেখানে সেখানে যেতে চান না। যাত্রীদের জিম্মি করে বেশি ভাড়া আদায় করেন। যাত্রীদের মুখের উপর বলে দেন যাব না। সেই অটোরিকশ চালকদের চরিত্রের পরিবর্তন ঘটেছে করোনায়। এখন যাত্রীর আশায় সারাদিন গুমড়ে মরছেন সিএনজি অটোরিকশা চালকরা। সড়কে সারাদিন হন্যে হয়ে খুঁজছেন যাত্রী। দিনের বেশির ভাগ সময় গাড়ির চাকা থাকছে অচল। যাত্রী পাওয়া যায না। পাওয়া গেলেও মিটারের বাইরে কেউ বাড়তি টাকা দিতে চান না।
রাজধানীর অটোরিকশা স্ট্যান্ডলোতে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র। অটোচালকরা স্ট্যান্ডে দীর্ঘ অপেক্ষার পর যাত্রী পেলেও ভাড়া নেমে এসেছে প্রায় অর্ধেকে। চালকরা জানান, দেশে করোনা থাবার পর দীর্ঘ সময় সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল। এ সময় তারা হয়ে পড়েন কর্মহীন। ধার দেনা করে চললেও পরবর্তীতে অটো চালানোর ঘোষণা আসায় তারাও রাস্তায় নেমে পড়েন। কিন্তু যাত্রী স্বল্পতার কারণে তারা অটোর ডেইলি জমাই তুলতে পারছেন না।
জানা যায়, করোনার কারণে সিএনজি মালিকরা ডেইলি জমা এক হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৬শ’ টাকা করে দেন। আধা বেলার জন্য কমিয়ে জমার পরিমাণ করা হয় করা হয় তিনশ থেকে ৩শ’ ৫০ টাকা। কিন্তু তাতেও যাত্রী মিলছে না। যানজট কম হওয়ায় সিএনজি অটোরিকশা চালকরা উৎসাহ নিয়ে রাস্তায় নেমেই থমকে যান। দেখেন যাত্রী নেই। অথচ এক সময় একটি সিএনজি চালিত ফোরস্টোক অটোরিকশার জন্য সড়কে মানুষ অপেক্ষা করত। বেশিরভাগ গাড়িতেই থাকত যাত্রী। কোন খালি সিএনজি পেলে একাধিক লোক গিয়ে হাজির হতো। ‘এই যাবে?’, ডাক শুনে চালক বেশি দামের জন্য বেঁকে বসতো। মিটারে যাব না। বেশি ভাড়া দিতে হবে। অগত্যে বাধ্য হয়েই যাত্রীরা সিএনজি অটোরিকশা উঠে পড়তেন।
গতকার রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে দেখা গেল যাত্রী না থাকায় কয়েকজন করে যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে অটোরিকসা। মতিঝিল, হাটখোলা, ফার্মগেইট, শনিরআখড়া, ধোলাইপাড়, জুরাইনে দেখা যায়, অটোরিকশা চালকরা যাত্রীর জন্য ঠাক বসে থাকছেন। কেউ কেউ ভেঙ্গে ভেঙ্গে শেয়ারে যাতায়াতাতের জন্য যাত্রী খুঁজছেন। চালকদের হাঁকডাকে যাত্রীদের কেউ কেউ অটোত উঠছেন। মতিঝিল থেকে যে শনিরআখড়া অটো ভাড়া দুইশ টাকার কমে পাওয়া যেত না; সেখানে শেয়ারে ৪ জন যাত্রী ২০ টাকা করে ৮০ টাকায় যাতায়াত করছেন। গতকাল মতিঝিলের শপলা চত্বরে শহিদ নামের এক অটোরিকশা চালক জানালেন, কখনো কখনো চারজন যাত্রী মেলাতে ঘন্টা পেরিয়ে যায়। এমন দুর্দশায় কখনোই পড়তে হয়নি। শনিরআখড়ার সিএনজি চালক মো. টিপু মিয়া বলেন, যাত্রীর জন্য তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষা করতে হয়। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও যাত্রী পাওয়া যায় না। আগে দুই হাজার টাকা আয় হতো এখন এক হাজার টাকা রোজগার করাই কঠিন। করোনা আমাদের শেষ করে দিয়েছে। সামনে কি হয় জানিনা।
গতকাল সকালে শনির আখড়ার বর্ণমালা হাইস্বুলের সামনে দেখা গেল ১০টি সিএনজি অটোরিকসা যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছে। শনিরআখড়া বাসস্ট্যান্ডে দেখা গেল ১৫ থেকে ২০টি অটোরিকশা যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।