পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেওয়ানগঞ্জ বাজার রেলওয়ে স্টেশনের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ বন্ধ গত দশ মাস ধরে। প্লাটফর্মের উপর একচালা ছাপড়া ঘর তৈরি করে চলছে কার্যক্রম। কর্মকর্তা কর্মচারীদের অসুবিধার পাশাপাশি যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি ।
এই স্টেশনে প্রতিদিন পাঁচটি ট্রেন আপ-ডাউন করে। দুইটি আন্তঃনগর (তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস), দুইটি কমিউটার ও একটি লোকাল ট্রেন। প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার যাত্রী যাওয়া আসা করে। যাত্রী সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্টেশন বিল্ডিং পুনঃনির্মাণ, প্লাটফর্ম বর্ধিত ও উঁচুকরণ, এক্সেস কন্ট্রোল এবং প্লাটফর্ম শেড নির্মাণের কাজ ২০২১ সালের ২১ অক্টোবর রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন শুভ উদ্বোধন করেন। ১৯১২ সালে দেওয়ানগঞ্জ বাজার রেলওয়ে স্টেশন চালু হয়। সেই অবকাঠামো থেকে ১১০ বছর পর নতুন রূপ পেতে যাচ্ছে স্টেশনটি। পুরাতন ভবন ভেঙ্গে প্লাটফর্ম বর্ধিত ও উঁচু করার কাজ শুরু করার দুই মাস পর সমস্ত কাজ বন্ধ হয়। যা এখন দশ মাস ধরে বন্ধ আছে। এতে সৃষ্টি হয়েছে নানামুখী সমস্যা। প্লাটফর্মের উপর ছাপড়া ঘর তৈরি করে স্টেশন মাস্টারের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এতে সমান্য বৃষ্টিতে পানি পড়ে। টিনের চালের নিচে পলিথিন বিছিয়ে রাখার পরও বৃষ্টির পানিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাগজ-পত্র নষ্ট হয়েছে। সামান্য বাতাসে ঘরটি ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়। যা সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ। গত একমাস আগে বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়েছে যাত্রীদের উদ্দেশ্য ঘোষণা দেওয়ার মাইক। এতে ট্রেনের বর্তমান অবস্থান জানতে সমস্যা হচ্ছে যাত্রীদের। এছাড়াও নষ্ট হয়েছে একাধিক বৈদ্যুতিক ফ্যান।
পার্শ্ববর্তী উপজেলা বকশিগঞ্জ, গাইবন্ধা, রৌমারি, রাজিবপুররে লোকজন ঢাকা যাওয়া-আসা করার জন্য এই স্টেশনটি ব্যাবহার করে। ভাঙ্গা গড়ার কাজের জন্য যাত্রা বিরতিতে ওয়েটিং রুমসহ প্লাটফর্মের উন্মুক্ত বসার বেঞ্চ সুবিধা থেকে বঞ্চিত যাত্রীরা। গাইবান্ধা থেকে আসা ঢাকাগামী বশির জানান, আমি ব্রহ্মপুত্র ট্রেন ধরার জন্য এসেছি। ঘাটে নৌকা দেরি হওয়ার কারণে ট্রেন ফেল করেছি। এখন তিস্তায় যাবো। আট ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। স্টেশনে বসার জায়গা নেই। বিভিন্ন টং দোকান, হোটেলে, চা-পান খেয়ে বসে থেকে সময় পার করছি ।
স্টেশনের পুনঃনির্মাণ কাজ বন্ধ থাকার ব্যাপারে উর্ধ্বতন উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. রেজাউল হক দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, প্রথমে এক তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণের টেন্ডার পাশ হয়। যাহার বাজেট ছিলো ২ কোটি ১৮ লক্ষ ২১ হাজার টাকা। পরবর্তীতে দ্বিতল বিশিষ্ট আধুনিক মডেলের বিল্ডিং তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। এতে বাজেট বেশি লাগবে। নতুন বাজেটের অপেক্ষায় বর্তমানে কাজ বন্ধ আছে। বাজেট পাশ হওয়ার পথে। খুব শীঘ্্রই কাজ শুরু হবে।
স্টেশন মাস্টার মো. আব্দুল বাতেন বলেন, স্টেশন নির্মাণাধীন কাজের জন্য যাত্রীদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে আমরা সর্বোচ্চ সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করছি। যাতে যাত্রীরা সহজ সুন্দর রেলসেবার মাধ্যমে ভোগান্তিহীন সেবা পায় ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।