মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
১৫ জুন রাতে চীনা সেনাদের সঙ্গে সংঘাতে ২০ ভারতীয় সেনা নিহতের পর পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে নজরদারি বাড়িয়েছে চীন ও ভারত। চলছে ব্যাপক যুদ্ধ প্রস্তুতি। উঁচু পাহাড়ে ঘেরা দুর্গম সঙ্ঘাতের ক্ষেত্রগুলোতে দ্রুত পৌঁছনোর জন্য মোতায়েন করা হয়েছে প্রশিক্ষণপ্রান্ত সেনা ও কমান্ডো বাহিনীকে। চীনা মার্শাল আটর্স বাহিনী মোতায়েনের খবরের একদিন পর জানা গেছে, ভারতীয় সেনার ঘাতক বাহিনী বলে পরিচিত স্পেশাল কমান্ডোদের বিতর্কিত সীমান্তে পাঠানো হচ্ছে। কাশ্মীর থেকে লাদাখে পাঠানো হয়েছে ভারতীয় দুটি প্যারা কমান্ডো ইউনিটকে। এরমধ্যে একটি রাষ্ট্রীয় রাইফেলস এবং দ্বিতীয়টি ইনফ্র্যান্টি ব্রিগেডের সঙ্গে ছিল। পাঠানো হয়েছে অতিরিক্ত সাত ব্যাটালিয়ন সেনাও।
কারা ঘাতক বাহিনী? : সময়টা ২০১৫ সাল। মাত্র ৪০ মিনিটে মিয়ানমারে ঢুকে গোটা একটা জঙ্গি দলকে শেষ করে দিয়ে ফিরে এসেছিল এই ঘাতক বাহিনী। যেমন তাদের দক্ষতা, তেমনই ক্ষিপ্রতা। ইসরায়েলের বিশেষ কমান্ডোদের আদলে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে তাদের। কোনো আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াই খালি হাতে শত্রু নিধনের ক্ষমতা রাখে এই বাহিনীর কম্যান্ডোরা। ক্ষিপ্র, ক্ষুরধার এই বাহিনীর কম্যান্ডোদের বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে এই ধরনের স্ট্রাইকের জন্য। যে কাজ কেউ পারে না, তাও চোখের নিমেষে করে ফেলতে পারে এই ঘাতক বাহিনী।
বিভিন্ন রিপোর্টে জানা গেছে, কর্নাটকের বেলগামে ৪০ দিনের বেশি সময় ধরে ট্রেনিং দেয়া হয় ঘাতক বাহিনীর কমান্ডোদের। দুর্গম এলাকায় অভিযানের জন্য শারীরিক ক্ষমতা ও ক্ষিপ্রতা বাড়াতে কড়া প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। প্রশিক্ষণের সময় ৩৫ কেজি ওজন কাঁধে নিয়ে ৪০ কিলোমিটার দৌড়াতে হয় এই কমান্ডোদের। বিশেষ হ্যান্ড টু হ্যান্ড কমব্যাটের জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এই কমান্ডোদের প্রত্যেকেই মার্শাল আর্টে দক্ষ। ঘাতক কমান্ডো ইউনিটের প্রতিটিতে অতিরিক্ত রিজার্ভ দলও প্রস্তুত রাখা হয়।
‘হ্যান্ড টু হ্যান্ড’ কমব্যাটই জরুরি : গত ১৫ জুন গলওয়ানের পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪-তে কাঁটাতার ও পেরেক বসানো লাঠি নিয়ে ভারতীয় সেনাদের আক্রমণ করেছিল চীনা সৈন্যরা। হামলায় ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়। গালওয়ান কান্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা ভারতীয় সেনার মুখোমুখি মোতায়েনের জন্য দক্ষ পর্বতারোহী এবং মার্শাল আর্টে দক্ষ এমন সেনাদের সন্ধান শুরু করেছে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। চীনের সরকারি গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে, তিব্বতের রাজধানী লাসায় পৌঁছেছে কুংফু ও তাইকোয়ান্দ প্রশিক্ষণ দল। লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় টহলদারির দায়িত্বপ্রাপ্ত চীনা সেনাদের প্রশিক্ষণ দেবে তারা।
চীনের ঢুকে পড়ার আতঙ্কে ভারতের গ্রামবাসীরা
ভারতের গ্রামে চীনা সেনাবাহিনীর ঢুকে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এতে করে ওই গ্রামের বাসিন্দাদের দিন কাটছে আতঙ্কে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত দুই থেকে তিন সপ্তাহের ভেতর চীনা সেনাবাহিনী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বা এলএসি বরাবর অন্তত চার জায়গা অতিক্রম করে অবস্থান নিয়েছে।
সেই জায়গাগুলো হলো- লাদাখের প্যাংগং সো বা প্যাংগং লেক, গালওয়ান নালা ও ডেমচক, আর সিকিমের নাকু লা। কিছুদিন আগে ভারতীয় ও চীনা সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ হয়। তখন প্যাংগং লেক পাড়ের গ্রামটির অবস্থা কী ছিল সেটির কিছু ফুটেজ পেয়েছে বিবিসি। চীনের সঙ্গে ভারতের বিতর্কিত সীমানার ৩০-৪০ কিলোমিটার দূরেই অবস্থান মান নামের এই গ্রাম। প্যাংগং লেক পাড়েই অবস্থিত এটি। এখানে মে মাসে চীন ও ভারতের সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ হয়। এই অঞ্চলটিকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। তাই স্থানীয়দের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ এক রকম অসম্ভব।
দুর্জয় নামে মান গ্রামের এক লোক বলেন, ‘আমাদের গ্রামে করোনাভাইরাস বা লকডাইন কিছুর প্রভাব নেই।’
গ্রামের সাবেক কাউন্সিলর নামগাল বুরবক বলেন, ‘তার গ্রামটি ভারত নিয়ন্ত্রিত লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের কাছে অবস্থিত। এখানে কিছুই যদি না হতো তাহলে এতো চীনা সেনা কেন? আমরা আগে ফিঙ্গার আর্ট পর্যন্ত যেতে পারতাম। এখন চীনের সেনারা এখান পর্যন্ত এসেছে। এটাও তো অনধিকারপ্রবেশ। দেখুন গালওয়ান উপত্যকায় আমাদের ঘোড়া চরে বেড়াতো। এখন চীনের সেনারা সেটা নিয়ন্ত্রণ করছে।’
বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, ‘যে সীমানা রেখা চীন ও ভারতকে আলাদা করেছে তার পুরোটাই বিতর্কিত। কারণ দু’দেশই দাবি করছে এটি তাদের অঞ্চল। আর এটিই গ্রামবাসীদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। কখন চীনের সেনাবাহিনী ঢুকে পড়ে তা নিয়ে আতঙ্কে কাটছে তাদের দিন।’ সূত্র : বিবিসি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।