মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীনের ২৪টি প্রদেশে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। দেশটি শেষ এমন বন্যা দেখেছিল ৭০ বছর আগে। এরই মধ্যে বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারী বর্ষণে একাধিক নদীর পানি উপচে প্লাবিত বিস্তীর্ণ অঞ্চল। চলতি জুন মাসে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্য অঞ্চল জুড়ে মুষলধারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। লাগাতার এই বর্ষণের কারণে একাধিক নদীর পানি উপচে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ অঞ্চল। আরো কয়েকটি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। ফলে, নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষজনকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ। ভয়ানক বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। এই বাঁধ ভেঙে গেলে চীনের ৪০ কোটিরও বেশি মানুষ ভয়ানক ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ বাঁধ চীনের 'থ্রি জর্জেস'। এই বাঁধের কাছে এরই মধ্যে বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এখানেই তৈরি হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম পানি বিদ্যুৎ প্রকল্প।
বর্ষার শুরুতেই বর্ষণের এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে চীনের পক্ষে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া মুশকিল হয়ে পড়বে। দু-তিন লাখ নয়। এক কোটিও নয়। ৪০ কোটি মানুষ! এক সঙ্গে এত মানুষের রাখার মতো স্থান সঙ্কুলান হবে কী করে তা নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের ঘুম ছুটেছে। এর মধ্যে যদি আবার বিপজ্জনক অবস্থায় থাকা থ্রি জর্জেস বাঁধ ভাঙে, তাহলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া চীনের পক্ষে মুশকিলই হবে।
অবশ্য চীনের জনপ্রিয় গ্লোবাল টাইমস পত্রিকা বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে। গ্লোবাল টাইমসের বক্তব্য, এ ধরনের যে রিপোর্ট বেরিয়েছে তা ঠিক নয়। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা হয়েছে। বন্যায় বাঁধ ভাঙার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে চীনেরই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারী বর্ষণ চলেছে। যার জেরে দক্ষিণ-পশ্চিম এবং মধ্য চীনের ২৪টি প্রদেশে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘোষণা করতে হয়েছে। বিশেষত, ইয়াংজি নদী ও থ্রি জর্জেস বাঁধের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে।
চীনের হুবেই প্রদেশের সান্দোপিং শহর পার্শ্ববর্তী ইয়াংজি নদীর উপর বিশ্বের সর্ববৃহৎ হাইড্রো-ইলেকট্রিক বাঁধটি তৈরি করা হয়। চীনের দাবি অনুযায়ী, এই বাঁধের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ২২ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। ২০১২ সালের জুলাই মাস থেকে চীনের এই পানিবিদ্যুৎ প্রকল্পটি চালু হয়েছে। বাঁধটির মূল পরিকাঠামোর কাজ শেষ হয়েছিল ২০০৬ সালে।
এশিয়ান টাইমস ফাইনান্সিয়্যাল-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৪৯ সালের পর চীনে এটাই সবচেয়ে বড় বন্যা। এই বন্যার কারণে থ্রি জর্জেস বাঁধের ভয়ানক ক্ষতি হয়েছে। থ্রি জর্জেস প্রকল্পের ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার ঝাও ইউনফা এরই মধ্যে জনগণকে সাবধান করেছেন। এই থ্রি জর্জেস বাঁধ যে পানি ধরে রাখার অবস্থায় আর নেই, তা তিনি জানিয়ে দিয়েছেন। বন্যার পানির চাপে বাঁধ যে বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে, তা তিনি গোপন করেননি। বলেছেন, পুরো ইয়াংজি নদী অববাহিকার বন্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা এই বাঁধের নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।